You dont have javascript enabled! Please enable it!

আক্কেলপুর থানা আক্রমণ (আক্কেলপুর, জয়পুরহাট)

আক্কেলপুর থানা আক্রমণ (আক্কেলপুর, জয়পুরহাট) ১৩ই ডিসেম্বর পরিচালিত হয়। এ আক্রমণে ২ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও ৭ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযােদ্ধারা ৫টি অস্ত্র ও প্রচুর বিস্ফোরক হস্তগত করেন। ১০ই ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর বিমান আক্রমণ শুরু হলে আক্কেলপুরের মুক্তিযােদ্ধারা গেরিলা অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসেন। তারা বুঝতে পারেন শত্রুরা আর বেশিদিন টিকতে পারবে না। ফলে চারদিক থেকে তাঁরা শত্রুদের অবস্থানের কাছাকাছি চলে আসতে থাকেন এবং আক্কেলপুর থানা দখলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরই মধ্যে পাকিস্তানি সৈন্যদের বেশির ভাগ জয়পুরহাট সদরের দিকে পালিয়ে যায়। ১৩ই ডিসেম্বর ভাের ৫টার দিকে মাে. নবীবুর রহমান, মাে. আব্দুর রাজ্জাক, মাে.আব্দুল জলিল, মাে. আফজাল হােসেন, মাে. মােশারফ হােসেন ও মাে. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযােদ্ধা থানার পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে এবং কাজী ফরমুজুল হক পান্না ও জাহাঙ্গীর আলমসহ বদলগাছির শতাধিক মুক্তিযােদ্ধা তাদের গ্রুপ কমান্ডারের নেতৃত্বে পশ্চিম দিক থেকে গুলি করতে-করতে আক্কেলপুর থানায় প্রবেশ করেন। মুক্তিযােদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে হানাদারারা তেমন কোনাে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে পারেনি। একপ্রকার বিনা বাধায় মুক্তিযােদ্ধারা আক্কেলপুর থানা দখল করেন। তারা এদিন আক্কেলপুর থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। এ-যুদ্ধে ২ জন পাকিস্তানি সৈন্য ও ৭ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযােদ্ধারা ৫টি অস্ত্র ও প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করেন। এ-যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৩ দিন পূর্বে আক্কেলপুর থানা মুক্তিযােদ্ধাদের দখলে আসে। [রেহানা পারভীন]।

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!