You dont have javascript enabled! Please enable it!

আইরন যুদ্ধ (কাউখালী, পিরােজপুর)

১৭ই নভেম্বর সংঘটিত হয়। এ-যুদ্ধে মুক্তিযােদ্ধা আব্দুল মাজেদ (কেউন্দিয়া) শহীদ হন।
কাউখালী সদর থেকে তিন কিলােমিটার দূরে আইরন ও জয়কুল গ্রামদুটির অবস্থান। কেউন্দিয়া এবং কুতুবকাঠীর যুদ্ধে বিজয়ের পর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে আইরন ও জয়কুল গ্রামের উৎসাহী কয়েকজন যুবক মুক্তিযােদ্ধাদের নিজ গ্রামে অভ্যর্থনার আয়ােজন করেন। তারা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও তার সহযােদ্ধাদের আইরন-জয়কুল গ্রামে নিমন্ত্রণ জানান। কমান্ডার হাবিবুর রহমান এ আহ্বান সাদরে গ্রহণ করেন। এ গ্রামে মুক্তিযােদ্ধাদের আগমনের খবর স্থানীয় রাজাকাররা হানাদার বাহিনীর কাউখালী এবং ঝালকাঠী ক্যাম্পে পৌছে দেয়। হানাদার বাহিনী দুটি যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশােধ নেয়ার জন্য আইরন-জয়কুল গ্রামে মুক্তিযােদ্ধাদের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। ১৭ই নভেম্বর মুক্তিযােদ্ধারা দুপুরের খাবার গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় ঝালকাঠী এবং কাউখালী থেকে হানাদার বাহিনীর দুটি দল আইরন জয়কুল গ্রামের দিকে আসতে থাকে। লুক আউট ম্যান-এর মাধ্যমে মুক্তিযােদ্ধারা এ খবর জানতে পারেন। সঙ্গে-সঙ্গে তারা ছােটছােট দলে বিভক্ত হয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে পজিশন নেন। হানাদাররা কাছাকাছি এসে আক্রমণ শুরু করে। মুক্তিযােদ্ধারা পাল্টা জবাব দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ-যুদ্ধে হানাদার বাহিনী পিছু হটে এবং আব্দুল মাজেদ নামে একজন মুক্তিযােদ্ধা (কেউন্দিয়া) শহীদ হন। আইরন যুদ্ধে কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আ. ওয়াজেদ, সাবারেক আলী, মােহন, ছৈয়দুল হক, হারুন, মানিক, মতিয়ার রহমান, খলিলুর রহমান, আ. জিয়াদ, মাে. লতিফুর রহমান, মােহন, কবির হােসেন, আ. হামিদ প্রমুখ। মুক্তিযােদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]।

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!