You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.24 | ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা | আনন্দবাজার - সংগ্রামের নোটবুক

ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মধ্যে অনেকখানি জুড়ে ছিল ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করছিলেন, তখন জনতা কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে অভিনন্দিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ মহান ভারতের মহান জনগণ ও মহীয়সী নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। (ধ্বনি : ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী জিন্দাবাদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জিন্দাবাদ)। আমাদের এই বিপদে ভারত শুধু এগিয়েই আসেনি। আমাদের বক্তব্য পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের দ্বারে পৌঁছে দিয়েছেন। এই অপরাধে দস্যু সরদার ইয়াহিয়া ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ভারত পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাত থেকে ১৪ দিনের মধ্যে আমাদের উদ্ধার করেছে। এজন্য ভারতীয় স্থল-বিমান ও নৌ-বাহিনীকে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পরস্পরের সার্বভৌমত্বের মর্যাদা ও আদর্শের ভিত্তিতে চিরকাল আমরা বন্ধু হয়ে থাকব (হাততালি)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই দেশ পুনর্গঠন করতে হলে মহান ভারতের কাছ থেকে আমরা সাহায্য পাব এই আশা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক চক্র বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে মনোমালিন্য সৃষ্টি করতে পারে। তারা বলতে পারে, ভারত বাংলাদেশ দখল করতে চায়। ভারত দখল করতে চাইলে আমাদের স্বীকৃতি দিত না।

জাতির জনক মুজিবের এখনই মুক্তি চাই
ইউ এন আই জানাচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রী শ্রী তাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আজ বাস্তব সত্য। কিন্তু জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান যিনি স্বাধীনতার কারণে উৎসর্গীকৃতপ্রাণ এখন পাক সরকারের হেফাজতে বন্দী। আমরা চাই তাঁর মুক্তি এবং এখনই সেই মুক্তি চাই।
তিনি বলেন, পাক সরকার চেয়েছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে, বাঙালীদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে। কিন্তু আমাদের জনগণ জীবনপণ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে।
তিনি নয়া পাক প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর মতলবের উল্লেখ করে বলেন, মারকিন যুক্তরাষ্ট্র যেন পাকিস্তানের ইচ্ছায় কাজ না করে।
তিনি বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে কাজ করায় রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চীনের নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আহ্বান : বাংলাদেশের আসল সত্য জানুন এবং সঠিক নীতি অনুসরণ করুন।
দৈনিক আনন্দবাজার, ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ . ১ম খণ্ড – মুনতাসীর মামুন