বাংলাদেশে পুনর্গঠন শুরু
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর-বাংলাদেশের ও ভারতীয় ইনজিনীয়ারদের সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজ ইতিমধ্যেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ২২০টি সেতুর মধ্যে ১৮৬টি সেতু ইতিমধ্যেই সারানো হয়ে গেছে।
বাংলাদেশকে কারিগরি সাহায্যদানের ব্যাপার নিয়ে এখন ভারতীয় প্রতিনিধি শ্রী ডি পি ধর ও তাঁর অফিসারদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিদিনই দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত হয়েছে যে, হার্ডিঞ্জ সেতু ভৈরব সেতু ও তিস্তা সেতু শীঘ্রই সারিয়ে ফেলা যাবে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনই চালু করার জন্য আপাতত ঐসব জায়গায় ফেরি সারভিস চালু করা হবে। পাকশী ভেড়ামারা, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার ও খুলনা-তিস্তা শাখায় ফেরি প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারত সরকার ঐসব এলাকায় কিছু বজরা দেবেন। ভারত সরকার বাংলাদেশে ক্ষুদ্র সেচ চালু রাখার জন্য পাম্প-এর ডিজেল তেল ও হাইস্পীড তেল সরবরাহ করতে রাজি হয়েছেন।
নদীতে মাইন থাকার জন্য চট্টগ্রাম থেকে তৈলবাহী জাহাজগুলি এখনও বাংলাদেশে এসে পৌঁছতে পারছে না। ঠিক হয়েছে অবিলম্বে এইসব মাইন সাফ করতে হবে।
দৈনিক আনন্দবাজার, ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ . ১ম খণ্ড – মুনতাসীর মামুন