একটি বন্দী শিবিরের কাহিনী
(স্টাফ রিপোর্টার)
কলকাতা, ৯ অক্টোবর-এখানে প্রাপ্ত ন্যাপের সাপ্তাহিক মুখপত্র ‘নতুন বাংলার’ ৭ অক্টোবর সংখ্যার বাঙলাদেশে পাকবাহিনীর অত্যাচারের একটি সংবাদ জানা গেছে। “একটি বন্দী শিবিরের কাহিনী” এই শিরোনামার সংবাদে বলা হয়েছে, নওগাঁ, মহকুমার মহাদেবপুর থানায় পাকবাহিনীর একটি কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্প থেকে একজন বন্দী মুক্ত হয়ে নির্যাতনের এক মর্মন্তদ কাহিনী, বর্ণনা করে। পাঁচজন ক্ষেতমজুর আউস ধান কাটার জন্য মহাদেবপুর থানায় এলে পাকবাহিনী তাদের বন্দী করে উক্ত কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তাদের প্রচণ্ড মারধর করে।
দিনকয়েক বন্দী রেখে এদেরকে রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের নির্দেশ দিয়ে ছেড়ে দেয়। মুক্ত বন্দীদের একজন জানায় ঐ বন্দীশিবির অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বহু যুবক আটক রয়েছে। কারও কারও জিহ্বা কেটে নেওয়া হয়েছে, অনেকের চোখ উপড়ে দিয়েছে, অনেককে দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। নতুন বাঙলার সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, নওগাঁ মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজনৈতিক কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে-বিশেষ করে যুবকদের বন্দী করে ঐ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দৈনিক কালান্তর, ১০ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ . ১ম খণ্ড – মুনতাসীর মামুন