১১ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- যশোর
লেঃ হাফিজ ড্রাইভার সৈনিক কালামিয়াকে আরও ২ জন সহ কিছু জীপ ও ট্রাক সংগ্রহের জন্য কোটচাদপুর পাঠান। যাবার পথে কালীগঞ্জের দিকে পাকিস্তান বাহিনীকে কনভয় নিয়ে অগ্রসর হতে দেখেন। তারপর কালা মিয়া আশে পাশের এলাকা থেকে ১০ জন সশস্র মুজাহিদ নিয়ে কালিগঞ্জের ২ কিমি আগে পানবরজের ভিতর থেকে তাদের উপর আক্রমন করেন। তাদের আক্রমনে তিনটি গাড়ী নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে বিনষ্ট হয় এবং ১০ জন নিহত হয়। পাকবাহিনী গাড়ী থেকে নেমে পজিশন নেয়। কালামিয়া ক্রলিং করে গ্রেনেড ছুড়ে আরও ৩টি গাড়ী ধ্বংস করেন। যখন তিনি একটি গ্রেনেড একটি গাড়ীর উপর ছুড়তে যায় তখন সে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। পরদিন পাকবাহিনী এ এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। বেনাপোল সড়কে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়। ঝিকরগাছায় মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়।
নোটঃ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রে যখন লেঃ হাফিজ সাক্ষাৎকার দেন সে তথ্য অপেক্ষা তিনি যখন বই আকারে প্রকাশ করেন তখন অতিরিক্ত আরও তথ্য সংযোজন করেন।