You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদ
১১ মার্চ ১৯৬৯
টুকি-টাকি

রাওয়ালপিণ্ডি, ১০ই মার্চ (এপিপি/পিপিআই)।— গোলটেবিল বৈঠকের অদ্যকার অধিবেশন ২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। বৈঠক শেষে সর্বপ্রথম প্রেসিডেন্ট আইয়ুব বাহিরে আসেন। খাজা শাহাবুদ্দীন ও চৌধুরী ফজলে এলাহী তাঁহাকে অনুসরণ করেন।
অদ্যকার অধিবেশনে নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান, শেখ মুজিবর রহমান, খান আবদুল ওয়ালী খান এবং মওলানা মুফতী মাহমুদ আহমদই ছিলেন প্রধান বক্তা। তবে শেখ মুজিবের বক্তব্যই ছিল দীর্ঘ।
বৈঠক শেষে বিদেশী সাংবাদিকগণ শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেন: বৈঠক ভাল হয়েছে তো?
উত্তরে শেখ মুজিব বলেন: নিশ্চয়, ভালই হয়েছে। বৈঠক সব সময়েই ভাল। শেখ মুজিব ইহার বেশী আর কোন কিছু বলিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন, যুক্ত ইশতেহারেই সব কিছু দেখতে পারেন।
প্রেসিডেন্টের অতিথি ভবনে আজ রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও পত্রিকা সম্পাদক এবং বিদেশী সাংবাদিকদের ভীড় পরিলক্ষিত হয়।
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব নওয়াবজাদা নসরুল্লাহকে তাঁহার বক্তব্য পেশের আহবান জানাইলে তিনি বলেন: আমি ‘ডাক’-এর সর্বসম্মত দুইটি দাবী পেশ করছি। বিভিন্ন পার্টি প্রধানগণ অন্যান্য বিষয় পেশ করবেন।
তাঁহার শেখ মুজিবর রহমান ৬-দফা ও ১১ দফা পেশ করিয়া বলেন যে, বক্তব্য অনুযায়ী শাসনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধান হইলে জানা গিয়াছে যে, শেখ মুজিব ৬-দফা ও ১১ দফা পেশ করিয়া শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে নিম্নোক্ত ৫-দফা সুপারিশ করিয়াছেন:
১) সার্বজনীন প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার। ২) ফেডারেল পার্লামেন্টারী পদ্ধতির সরকার ৩) আওয়ামী লীগের ৬-দফার ভিত্তিতে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন। ৪) জনসংখ্যার ভিত্তিতে জাতীয় পরিষদে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা ও ৫) এক ইউনিট বাতিল করিয়া পশ্চিম পাকিস্তানের একটি সাব-ফেডারেশন গঠন। বলা হয় যে, খান আবদুল ওয়ালী খান শেখ মুজিবকে সমর্থন করিয়াছেন।

সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!