You dont have javascript enabled! Please enable it!

আজাদ
৭ই মার্চ ১৯৬৯
লাহোরে জাতীয় সংহতি প্রশ্নে শেখ মুজিব

লাহোর, ৬ই মার্চ।-পুৰ্ব্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, তিন সহস্র দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া ঐক্যবদ্ধ থাকিতে পারিলে পাকিস্তানের দুইটি অংশ কেন ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান গড়িতে পারিবেনা? তিনি কেন্দ্রীয় ‘ডাকের’ বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশ্যে আজ বিকালে ঢাকা হইতে এখানে আগমনের অব্যবহিত পর সাংবাদিকদের সহিত আলোচনা করিতে ছিলেন।
শেখ সাহেব প্রসঙ্গতঃ বলেন, আমরা যদি পরস্পরের স্বার্থ ও মনোভাব হৃদয়ঙ্গম করি, তবে ‘আমরা শান্তিতে বসবাস করিতে পারি। ইহার অন্যথায় বিপর্য্যয় ঘটিবে। শেখ সাহেবকে বিমান বন্দরে যাহারা অভ্যর্থনা জানাইতে আসেন তাহাদের মধ্যে সরদার শওকত হায়াত খান, এয়ার মার্শাল আসগর খান ও জেনারেল আজম খানও ছিলেন।
শেখ মুজিব যখন বিমানের সিঁড়িতে আসিয়া দাড়ান তখন জনতা শেখ মুজিবর জিন্দাবাদ শ্লোগান সহকারে তাহাকে মাল্য ভূষিত করার জন্য সিঁড়িতে ভীড় করেন।
শেখ সাহেব পরে সিঁড়ি হইতে অবতরণ করিলে একটি জীপে করিয়া তাহাকে প্রধান ভবন লইয়া যাওয়া হয়। এই সময় এক দল লোক এক ইউনিট অক্ষুণ্ণ রাখার পক্ষে শ্লোগান দান করে। পক্ষান্তরে অপর একটি দলও এক ইউনিট বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে।
ঐক্যের জন্য “কিছু গ্রহণ ও কিছু ত্যাগের নীতি সম্পর্কে জনৈক সাংবাদিক তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিলে শেখ সাহেব বলেন, বাঙলা দেশ সর্ব্বদাই ত্যাগ করিয়া আসিয়াছে। বর্তমানে উহার ত্যাগের কিছুই নাই। ১৯৫৫ সালে মারীতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পূর্ব্ব পাকিস্তান জনসংখ্যা ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের অধিকার ত্যাগ করিয়াছে এবং সংখ্যা সাম্য মানিয়া নিয়াছে। তিনি বলেন, তিনি ইহাতে আস্থাশীল যে, পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণ পূর্ব্ব পাকিস্তানের লোকদের শোষণ করিতে চাহেন না এবং পুর্ব্ব পাকিস্তানীদের দাবীদাওয়ার প্রতি তাহাদের (পঃ পাকিস্তানী) পূর্ণ সহানুভূতি রহিয়াছে। -এপিপি

সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!