১০ এপ্রিল ১৯৭১ঃ বাহিনী পুনর্গঠন ও প্রতিরোধ যুদ্ধ- সিলেট
সিলেটে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান গুলিতে প্রচন্ড হামলা করে। হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেয়। সিলেটের খাদিমনগরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকসেনারা একই সঙ্গে স্থল ও বিমান হামলা চালায়। পাকজঙ্গী বিমানগুলো ব্যাপক বোমা নিক্ষেপ করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে এসে হরিপুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। তাদের আগেই সিআর দত্ত নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন তারা তাদের সাথে পেরে উঠতে না পারলে তারা যেন তামাবিলের দিকে ক্যাপ্টেন মুতালিবের সাথে যোগ দেয়। এ পরাজয়ের পর মৌলভীবাজারে ব্রিগেডিয়ার পাণ্ডে এবং ওসমানীর সাথে সিআর দত্তের সাক্ষাৎ হয়। তখন ওসমানী সিলেট লেঃকঃ নুরুজ্জামানের উপর দায়িত্ব দেন এবং সিআর দত্তকে সিলেট ও মৌলভীবাজারের পূর্বাংশের দায়িত্ব প্রদান করেন। অবশ্য কিছুদিন পর নুরুজ্জামানকে সেক্টর অধিনায়ক করে রাজশাহী সীমান্তে প্রেরন করা হয়।
নোটঃ পরদিন প্রবাসী সরকার সেক্টর পুনর্গঠন করে ৮ টি সেক্টর করেন।