দি নিউইয়র্ক টাইমস, জুন ২২, ১৯৭১.
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র প্রেরণ
ট্যাড সুলচ
নিউইয়র্ক টাইমসের বিশেষ প্রতিনিধি
ওয়াশিংটন, জুন ২১ – পাকিস্তানের পতাকাবাহী একটি মালবাহী জাহাজ মার্কিন সমরাস্ত্র নিয়ে আজ নিউইয়র্ক থেকে করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, আপাতদৃষ্টিতে এ ধরণের সরবরাহের উপর এই সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়ায়, স্বীকার করেন যে অন্তত আরো একটি জাহাজ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানের পথে রয়েছে যা তাদের বর্ণনা অনুযায়ী “বৈদেশিক সামরিক বিক্রয়”-এর পণ্য বহন করছে।
এই পণ্যগুলো, তারা জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃত্ত সরবরাহ থেকে এসেছে এবং পাকিস্তানে এধরণের সমরাস্ত্র প্রেরণে তিন মাস আগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার বিভ্রান্তির ফলশ্রুতিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
“এখানে স্পষ্টতই অসাবধানবশতঃ কোনো ধরণের বিচ্যুতি ঘটেছে,” এক কর্মকর্তা বলেন।
অগাস্ট মাসে করাচিতে পদ্মা, যে জাহাজটি নিউইয়র্ক থেকে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, সেটি আটটি যুদ্ধবিমান, প্যারাসুট এবং হাজার হাজার পাউন্ড ওজনের খুচরা যন্ত্রাংশ এবং যুদ্ধবিমান এবং সামরিক যানবাহনের আনুষঙ্গিক উপকরণ নিয়ে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে করাচীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সুন্দরবন, পাকিস্তানে নিবন্ধিত আরেকটি জাহাজ, মে মাসের ৮ তারিখে নিউইয়র্ক থেকে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তানের জন্য অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে, যার মধ্যে সৈন্যবাহী সাঁজোয়া যানের যন্ত্রাংশ রয়েছে, জাহাজের মালামালের তালিকা এবং সাথে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া রপ্তানি অনুমোদন অনুযায়ী। এই বুধবার জাহাজটির করাচী পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই সমস্ত সরঞ্জাম বৈদেশিক সামরিক বিক্রয় আইনের ধারা মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করেছে।
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর, মূলত পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদেরকে গত ২৫শে মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনকে দমন করার নির্দেশ দেয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয় যে পাকিস্তানের কাছে সকল প্রকার সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয় স্থগিত করা হলো এবং এই কার্যক্রম, যেটি ১৯৬৭ সালে শুরু করা হয় সেটি এখন “পুনঃবিবেচনা” করা হচ্ছে।
আজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, পদ্মা এবং সুন্দরবনের যাত্রা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, বলেন যে এটি এখনো এই সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতিতে রয়েছে যে পাকিস্তানের জন্য সবধরণের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয় নিষিদ্ধ।
এই কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করেন যে মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হওয়া স্বাধীনতা আন্দোলনের নিষ্ঠুর দমন শুরু হবার পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী এর পরবর্তী সংঘর্ষে অন্ততঃ ২,০০,০০০ পূর্ব পাকিস্তানী নাগরিক নিহত হয়েছে এবং প্রায় ষাট লক্ষ শরণার্থী ভারতে পালিয়ে গিয়েছে।
আজকের সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলেন যে ২৫শে মার্চের পর পাকিস্তানের জন্য কোনো সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ব্যাপারে তারা অবগত নন।
তারা স্বীকার করেন যে এরকম কিছু পাঠানো হলে তা ঘোষিত নীতির পরিপন্থী হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে যে ২৫শে মার্চের পর বৈদেশিক বিক্রয় কার্যক্রমের আওতায় কোনো ধরণের সামরিক সরঞ্জাম “পাকিস্তানের সরকার বা পাকিস্তান সরকারের কোনো প্রতিনিধি”-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি
তারা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আজকের আলোচনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই নীতি মেনে চলার ব্যাপারে “পুনঃনিশ্চয়তা” দিয়েছে। তারা অবশ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কিভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতির সাথে প্রকৃত ঘটনাকে খাপ খাওয়ানো যায়, এখানকার পাকিস্তান দূতাবাসে পেশ করা বহন পত্র অনুযায়ী, সুন্দরবন জাহাজে যে সরঞ্জামগুলো তোলা হয় সেগুলো ২৩শে এপ্রিল এবং পদ্মা জাহাজে যে সরঞ্জামগুলো তোলা হয় সেগুলো ২১শে মে তে নিউইয়র্ক বন্দরে গ্রহন করা হয়।
রপ্তানিকারকেরা পাকিস্তান দূতাবাসের প্রতিরক্ষা ক্রয় বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম. আম্রাম রাজাকে ২১শে মে একটি চিঠি পাঠান যার মধ্যে এই দুটি জাহাজের জন্য বন্দর রশিদ সংক্রান্ত বিষয় ছিল।
এই সরবরাহগুলো সম্বন্ধে গত শনিবার এবং আজকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে, তারা সবধরণের অনুসন্ধানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যেতে বলে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার আলোকে এই সরবরাহগুলো কিভাবে হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে অপারগ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায় ২৫শে মার্চের পর পাকিস্তানের কাছে কোনো কিছু বিক্রয় বা সরবরাহের অনুমোদন দেয়া হয়নি এবং যে সরঞ্জামগুলো এই দুটি জাহাজে তোলা হয়েছে সেগুলো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে কেনা হয়েছে।
কিন্তু বন্দরে পাঠানো এবং প্রকৃত সরবরাহগুলি ২৫শে মার্চের পরে কেনো করা হলো এব্যাপারে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত ১৭ই জুনে পাঠানো একটি চিঠির জবাব দেয়নি যেটি সিনেটর চার্চ, আইডাহো অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব উইলিয়াম পি. রজারস কে লেখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে “বিশেষ কিছু সামরিক সরঞ্জাম” পাকিস্তানে প্রেরণের ব্যাপারে তথ্য জানানোর অনুরোধ জানিয়ে।
সিনেটর চার্চ, যিনি সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য, মিঃ রজারসকে জানান যে তিনি উপলব্ধি করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সরঞ্জামগুলোর জন্য অনুমতিপত্র নম্বর. ১৯২৪২ প্রদান করেছে।
সুন্দরবন জাহাজে বহনকৃত মালামালের বহন পত্র নিরীক্ষণে জানা যায় এই অনুমতিপত্রের অন্তর্গত একটি সামগ্রীর বর্ণনা আছে এভাবে “২৩টি স্কিড, যন্ত্রাংশ”, ওজন ১১,৮৯৫ পাউন্ড। এই সামগ্রীগুলোর আর কোনো বর্ণনা ছিল না।
কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রদানকৃত আরেকটি অনুমতিপত্র অনুযায়ী সুন্দরবন জাহাজের মালামালের বর্ণনা আছে এভাবে “সামরিক যানবাহনের জন্য যন্ত্রাংশ এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম”। সুন্দরবন জাহাজে মোট ২১ ধরণের সামগ্রী বহন করা হচ্ছে, বন্দরে সরবরাহ করার তালিকা অনুযায়ী, যেগুলো কাগজপত্রে বর্ণনা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র শক্ত কাগজের বা কাঠের বাক্স ভর্তি “গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম”, “স্কিড এবং যন্ত্রাংশ”, “বাক্স” এবং “যন্ত্রাংশ”।
তালিকায় রয়েছে বিমান এবং প্যারাসুট
পদ্মা জাহাজের জন্য বন্দরে সরবরাহ করার তালিকাতে দুইটি অংশে লেখা আছে “চারটি বিমান” প্রতিটিতে, ১১৩টি প্যারাসুট এবং যন্ত্রাংশ, এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ, আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম, স্কিড এবং “কাঠের বাক্স”।
একটি সামগ্রীর বর্ণনা আছে এভাবে “বাক্স বাণ্ডিল এবং যন্ত্রাংশ” যার ওজন লেখা আছে ১৪.১৩৩ পাউন্ড।
পাকিস্তানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির কার্যক্রম, যেটি শুরু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে, চলছিলো প্রতি বছরে প্রায় ১ কোটি মার্কিন ডলার করে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, রবার্ট জে. মেক্লস্কির ভাষ্যমতে। ঐ বছর যুক্তরাষ্ট্র ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশের কাছেই “অ-প্রাণঘাতী” সরঞ্জাম বিক্রি করতে রাজি হয়, ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সামরিক সরবরাহের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার মাধ্যমে।
১৯৭০ সালের অক্টোবর মাসে, ব্যতিক্রম হিসেবে, এই সরকার রাজি হয় পাকিস্তানের কাছে অনুল্লেখিত সংখ্যক এফ-১০৪ জঙ্গিবিমান, বি-৫৭ বোমারু বিমান, এবং সৈন্যবাহী সাঁজোয়া যান বিক্রি করতে। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ নিশ্চিত করেছে যে এই “ব্যতিক্রমী” সরঞ্জামগুলোর কোনোটিই সরবরাহ করা হয়নি।
কিন্তু এখানকার নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, যারা পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক, ১৯৬৭ সাল এবং ৩০শে এপ্রিল, ১৯৭০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র বিমান বাহিনীর কাছ থেকে পাকিস্তানে সামরিক সরঞ্জামের প্রবাহ ৪,৭৯,৪৪,৭৮১ মার্কিন ডলার হয়েছে।
ডেনভারে অবস্থিত বিমান বাহিনীর রাজস্ব ও হিসাবরক্ষণ সদরদপ্তর থেকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের প্রতিরক্ষা ক্রয় বিভাগের কাছে ২৮শে মে একটি চিঠি পাঠানো হয় যাতে রয়েছে “একটি প্রতিবেদন … যেখানে রয়েছে চলতি সকল বৈদেশিক সামরিক বিক্রয়ের তালিকা, প্রতিটির মূল্য, সংগৃহীত অর্থ, সরবরাহকৃত এবং যা কিছু সরবরাহ করা বাকি রয়েছে”।
এই চিঠিটি – ইলেইন বি. লোভেনথাল কর্তৃক স্বাক্ষরিত, ডেনভারে অবস্থিত সদরদপ্তরের বৈদেশিক সামরিক বিক্রয় শাখার প্রধান হিসাবাধ্যক্ষ – যিনি “যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সামরিক বিক্রয়ের লেনদেন এবং সরবরাহের বিস্তারিত তালিকা তৈরি”-এর প্রধান ছিলেন।
এই “প্রতিবেদন”-এ উল্লেখ আছে যে পাকিস্তানের সামরিক ক্রয়ের পূর্বের হিসাব ২,৫৬,৭৯,৬৫৪.১০ মার্কিন ডলার, সরবরাহ করা হয়নি এমন সামগ্রীর মোট মূল্য ২,১৭,৩০,৭৪০.০৭ মার্কিন ডলার এবং “এখন পর্যন্ত গৃহীত নগদ অর্থ”-এর পরিমাণ ২,৪৩,৪২,৭৮২.৩৭ মার্কিন ডলার।
এই প্রতিবেদনটি ঠিক কোন সময়সীমার হিসাবকে অন্তর্ভুক্ত করেছে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে বলতে পারেননি।
তবে বিমান বাহিনীর প্রতিবেদনটিতে আরো বলা আছে, যে পাকিস্তান সরকারকে ১৯৭১ সালের ৩১শে মে বা তার আগেই মোট ৩৩,৭৬,২৫৩.৫১ মার্কিন ডলার পাঠাতে হবে আরো “মোট নগদ অর্থের প্রয়োজন” মেটাতে।
এই রিপোর্টের একটি টীকায় দেখানো আছে যে পাকিস্তানের কাছ থেকে “১৯৭১ সালের মে মাসে” ৫৪,০৪,১১৬.৪৯ মার্কিন ডলারের একটি চেক পাওয়া গেছে।
এখানকার নির্ভরযোগ্য সূত্র আরো জানিয়েছে যে “সমূহ সম্ভাবনা” আছে সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীও পাকিস্তানের কাছে আরো সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে।
ইস্ট ওয়েস্ট শিপিং এজেন্সীর মুখপাত্র, যারা কিনা পদ্মা এবং সুন্দরবন জাহাজ দুটির নিউইয়র্কের প্রতিনিধি, ইংগিত দেন যে পদ্মা জাহাজটি তার সাম্প্রতিক আরো কিছু যাত্রায় পাকিস্তানের জন্যে সামরিক সরঞ্জাম বহন করেছে, সর্বশেষ যেটি মার্চের ২২ তারিখে করাচীতে পৌঁছে দিয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে সৈনিকদের অভিযান চালানোর তিনদিন আগে।
পদ্মা জাহাজটি যে যাত্রার জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে সেটি ২৫শে মার্চের পরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সামরিক সরঞ্জাম বহন করে করাচীতে নিয়ে যাওয়ার প্রথম সমুদ্রযাত্রা। সুন্দরবন জাহাজটির বর্তমান সমুদ্রযাত্রাটিও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর প্রথম যাত্রা। কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে যে পাকিস্তানের জন্য সামরিক সরঞ্জামাদি নিয়ে অন্য আরো জাহাজ ২৫শে মার্চের পরেও পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলো থেকে যাত্রা করে থাকতে পারে।