ফেরি করে ছবি বিক্রি
২৪ এপ্রিল থেকে প্রতি শনিবার ভিক্টোরিয়া হাউসের বিপরীতে কলকাতার শিল্পীরা এগিয়ে এলেন চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে। কম দামে ছবি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ ছিল মূল উদ্দেশ্য। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, “তাঁদের এই ছবিগুলো জলরং, তেলরং, প্যাস্টেল কালার প্রভৃতির কোনো কোনো ছবি শিল্পকর্ম ও সৃষ্টি ধর্মের বিচারে পাঁচ শ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাম করা চলত। কিন্তু, এখানে তাঁরা মাত্র দশ টাকার বিনিময়ে এক একটি ছবি বিক্রি করছেন। অবশ্য কোনো ক্রেতা বা সাহায্যকারী ১০ টাকার বেশি ইচ্ছামতো দাম দিয়ে ছবি কিনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।”
যেসব শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা হলেন প্রবীর দাশগুপ্ত, সুনীল দাশ, অমিতাভ ব্যানার্জি, শ্যামল দত্ত রায়, শৈলেন মিত্র, রবীন মণ্ডল, সনৎ কর, মানু পারেখ, মানু রাযোড, লালু প্রসাদ সাহা, শ্রীমতী জফিন মুছলা, অমরেন্দ্রলাল রায় চৌধুরী, জগদীশ ব্যানার্জি, শুভাপ্রসন্ন, সুহাস রায়, পানেশ্বরসহ অনেকে।১ স্বপন চৌধুরীর লেখা থেকে নাম পাই, মাধবী পারেখ ও বিকাশ ভট্টাচার্যের।
স্বপন চৌধুরীও তখন সবেমাত্র পাস করে বেরিয়েছেন। তিনিও কলকাতায় চলে যেতে বাধ্য হন। বাংলাদেশের গানের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আঁকাআঁকি করেছেন। তিনি লিখেছেন, অ্যাসপ্ল্যানেডের মোড়ে ফুটপাতের রেলিঙে কলকাতার শিল্পীরা তাঁদের ছবি ঝুলিয়ে প্রদর্শনী করলেন। ছবির দাম কুড়ি থেকে এক শ’ টাকা। বিক্রয়লব্ধ টাকা যাবে বাংলাদেশের সাহায্যে। স্বপনও তাঁর ছবি ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।২
সূত্র:
১. দৈনিক কালান্তর, কলকাতা, ৭.৬.১৯৭১
২. স্বপন চৌধুরী, একাত্তরের চিত্রকলা, ঢাকা, ২০১০
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন