মারি ফঁস স্নিদলার প্রচেষ্টা
মারি ফঁস স্মিদলা একজন ফরাসি নারী। মার্চে সংঘটিত গণহত্যার খবর শোনার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই সমভাবাপন্ন পরিচিতদের বাংলাদেশের ঘটনাবলি জানান। তিনি ফরাসিদের এগিয়ে সচেতন করতে চাইছিলেন যাতে তাঁরা বাঙালিদের সমর্থন করে। তিনি বলেছেন, “তবে বুদ্ধিজীবীদের সমর্থন পেলেও প্রথমদিকে রাজনীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ খানিকটা উদাসীন ছিলেন, অন্তত খুব বেশি উৎসাহী ছিলেন না। যাই হোক, আমার চেষ্টা ছিল আন্তরিক, তাই পাকিস্তানিদের গণহত্যা আর নির্যাতনের বিপক্ষে আমরা প্রতিবাদ করেছি।”
এরপর তাদের সহায়তায় ভারতে কর্মরত ফরাসি যাজক ফাঁলোকে প্যারিস নিয়ে আসেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ফাঁলো সব বিবৃত করেন বিশেষ করে শরণার্থীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বাঙালিদের সাহায্যের জন্য একটি কমিটিও গঠিত হয়। ফ্রান্সে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে উঠতে থাকে এবং তীব্র হয়ে ওঠে আঁদ্রে মালরোর বক্তব্যের পর। এরপরই কুঁয়ো পাকিস্তানি বিমান হাইজ্যাক করেন।
সূত্র: আনা ইসলাম, ‘মারি ফঁসের মুক্তিযুদ্ধ’ প্রথম আলো, ২৬.৩.১৯৯৯
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন