ম্যাডিসন স্কোয়ারে প্রতিবাদ
ম্যাডিসন স্কোয়ারে ১ আগস্ট অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কনসার্টের কথা আমরা সবাই জানি। এই কনসার্টের ফলেই বাংলাদেশ নামটি রাতারাতি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে। কিন্তু আমরা জানি না, ঐ কনসার্টে আগত দর্শকরা একটি প্রতিবাদ লিপিও তৈরি করেছিলেন।
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য বিংহাম ১৭ ডিসেম্বর বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, আগস্ট ম্যাডিসন স্কোয়ারে বাংলাদেশের সাহাযার্থে কনসার্ট হয়েছে সেখানে ৪০,০০০ শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন। ঐ কনসার্টে উপস্থিত ৫০০০ এরও বেশি শ্রোতা একটি আবেদনপত্রে সই করে তা বিতরণ করেন। “আমি,” জানান বিংহাম, “হাউসরুলের অধীনে তা” পেশ করি যাতে তা বৈদেশিক ও সংশ্লিষ্ট দফতরে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তিনি জানান, ঐ স্মারকলিপি পেশের পর অনেক কিছু ঘটেছে, খানিকটা হলেও শান্তি ফিরেছে। তবে, প্রতিবাদলিপিতে উল্লিখিত শরণার্থী সমস্যা এখনও বিদ্যমান। তা সমাধান করতে হবে।” বিংহাম যখন এই বক্তৃতা করেন ১৭ ডিসেম্বর যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। শরণার্থী সমস্যার যাতে সুষ্ঠু সমাধান হয় এ কারণেই বোধ হয় বিংহাম কংগ্রেস অধীনে তা উত্থাপন করেছিলেন।
আবেদন পত্রে বলা হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানে অবশ্যই শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সূত্র: দলিলপত্র: খন্ড ১৩
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন