বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ
বাংলাদেশের সহায়তার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ভারতে নানা ধরনের ‘সহায়তা পরিষদ’ বা সমিতি গঠিত হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে জুন মাসে এ ধরনের একটি পরিষদ গঠিত হয় যার নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ মৈত্রী পরিষদ। কয়েকজন সমাজসেবী ও সংস্কৃতিকর্মী একত্রিত হয়ে এই পরিষদ গঠন করেন। মৈত্রী পরিষদের উদ্দেশ্য ছিল—
১. বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে আসা শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মীদের ‘সাময়িক পুনর্বাসন’-এর কিছু দায়িত্ব গ্রহণ।
২. বাংলাদেশের এই বুদ্ধিজীবীরা যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন শুরু করেছেন, সেই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ যাতে আরও প্রসারিত হয় তার উপযুক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সর্বতোভাবে সহায়তা করা।
এইসব কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ২২ জুন পরিষদ বরীন্দ্র সদনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাতে কিছু অর্থ সংগৃহীত হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুচিত্রা মিত্র, অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, রাখী চক্রবর্তী (বাংলাদেশ) ও ক্যালকাটা কয়্যার। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ওপর রচিত ‘লাশ ঘুইরা যাউক’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে থিয়েটার গিল্ড।
পরিষদের সভাপতি ছিলেন বানীকান্ত গুহ।
সূত্র: যুগান্তর, 28.6.1971
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন