অভিনব প্রতিবাদ
শিকাগোতে ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের অফিস। তাঁরা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স-কে [পি আই এ] দু’টি বোয়িং ৭০৭ লিজ দিয়েছিল। দু’টি বিমানের জন্য পি আই এ ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজকে ১৭০,০০০ ডলার প্রতি মাসে দেবে বলে চুক্তি করেছিল। এ বিমানে পাকিস্তানি সৈন্যদের ঢাকা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছিল।
এ কথা জেনে ফ্রেন্ডস অব ইস্ট বেঙ্গল-এর শিকাগো শাখা ঠিক করেছিল ২৪ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহ ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের সামনে সমাবেশ করবে। সমাবেশে প্রতিদিন কাগজের প্লেন বানিয়ে ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনসের অফিসের দিকে ছুঁড়ে ফেলা হতো। সেখানে লেখা থাকত এতে আছে সৈন্য ও ট্যাংক। রাস্তার পাশে বক্তৃতার আয়োজন করা হতো। বেলুন দিয়ে তাঁরা মানুষের ফিগার তৈরি করে তা লাল রংয়ে চুবিয়ে সামনে জলাশয়ে রেখে দিয়েছিল। নদীতে রক্তাক্ত লাশ ভেসে যাচ্ছে—এটি ছিল তারই প্রতীক। এ কারণে পরিবেশ দূষণ আইনে ৩০ আগস্ট ডিক মারি ও উইলিয়াম হোগানকে গ্রেফতার করা হয়। শিকাগোর সংবাদপত্র ও টিভিতে এই সাতদিনের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে প্রচার করা হয়েছিল। ফলে, পাকিস্তানের বিপক্ষে জনমত সংগঠন সহজ হয়েছিল। অক্টোবর ২৮ তারিখে আরেকটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে একবাল আহমদ বক্তৃতা করেন।
,
অক্টোবর ২১ তারিখে তাঁরা আরেকটি অভিনব সমাবেশের আয়োজন করেন এয়ারওয়েজের দফতরের সামনে। সেখানে মিস ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজ ও যমের বিবাহ উদযাপন করা হয়।
সূত্র: Bangladesh Newsletter, 10.9.1971, 10.11.1971
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন