সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব
সুদূর লাতিন আমেরিকায়ও বাংলাদেশের আর্তচিৎকার পৌঁছেছিল। লাতিন আমেরিকার বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গণহত্যার। ২৭ আগস্ট ভেনুজুয়েলার কারাকাসে লাতিন আমেরিকান পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। সেদিনই পার্লামেন্ট গণহত্যার নিন্দা করে প্রস্তাব গ্রহণ করে। পার্লামেন্টের প্রস্তাবের সারাংশ ছিল এ রকম—সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন জেনোসাইডের চার্টার বিবেচনায় নিয়ে;
বর্ণ, ধর্ম, ভাষা, ভূগোল ও আদর্শ মানব সংহতির বাধা হতে পারে না এ বিষয়ে সচেতন থেকে; পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ববঙ্গে মানবাধিকার বর্বরোচিতভাবে দমন করছে। বৃহৎ পরিসরে গণহত্যা চালাচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে সচেতন ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করছে। এর ফলে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে ৭৫ লক্ষ শরণার্থী যা এখনও চলছে এবং তা এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করছে। পার্লামেন্ট তার নিন্দা জানাচ্ছে।
পাকিস্তান সরকারকে পার্লামেন্ট অনুরোধ জানাচ্ছে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হচ্ছে পাকিস্তানকে প্রভাবিত করে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছতে যাতে পূর্ববঙ্গের মানুষ এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পায়।
উল্লেখ্য পার্লামেন্ট কখনও পূর্ব পাকিস্তান শব্দ ব্যবহার করেনি। পূর্ববঙ্গ বলে উল্লেখ করেছে পূর্ব পাকিস্তানকে যা ছিল এ অংশের আদি নাম।
সূত্র: Bangladesh Documents.
একাত্তরের বন্ধু যাঁরা- মুনতাসীর মামুন