You dont have javascript enabled! Please enable it! সুনামগঞ্জ জেলার গণহত্যা ও শহীদদের তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

সুনামগঞ্জ জেলার গণহত্যা ও শহীদদের তালিকা

ক্রমিক নম্বর স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর , ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা শহীদদের তালিকা
নৈনগাঁও,

ইউনিয়ন: দোয়ারাবাজার,

থানা: দোয়ারাবাজার ।

বৰ্গ ৭৪৮৩, ৭৮ ও /১২

 

১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের দিকে মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলায় অবস্থিত গ্যাসফিল্ডে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা নৈনগাঁও এলাকায় টেংরাটিলা ছাতক গ্যাস লাইনের কিছু অংশ এক্সপ্লোসিভ দিয়ে উড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় পাকিস্তানি বাহিনী দ্রুত নৈনগাঁও ঘিরে ফেলে । গ্রামের নিরপরাধ লোকজন ছোটাছুটি করে গ্রামের একটি মসজিদে প্রবেশ করে । পাকিস্তানি বাহিনী তখন সেই মসজিদ থেকে ১৮জন বাঙালিকে বন্দি করে । পরবর্তী সময় তাঁদের হত্যা করে গণকবর দেয় ।

 

 

শহীদ রহমত আলী, শহীদ গোবিন্দ দাস, শহীদ ইদ্রিস আলী মাস্টার,

শহীদ আনফর আলী, শহীদ আসক আলী, শহীদ ময়না মিয়া,

শহীদ আনফর আলী, শহীদ জাফর আলী, শহীদ মনফর আলী, শহীদ সিরাজ আলী, শহীদ কাচা মিয়া,

 শহীদ ছাইম উল্লাহ, শহীদ আ. মুনাফ,

শহীদ আ. রউফ,

শহীদ আব্দুর রাজ্জাক,

শহীদ আব্দুল হাকিম,

শহীদ আ. ওয়াহিদ,

শহীদ মফিজ আলী।

 

কাজীগাঁও,

ইউনিয়ন : জামালগঞ্জ,

থানা: দোয়ারাবাজার ।

বৰ্গ ২৭৭৪, ৭৮ পি/১

 

 

জামালগঞ্জ সাচনা বাজার এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। এ ঘাঁটিটি অনেক দিন থেকে মুক্তিবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য আক্রমণস্থল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। এ উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনী প্রায়ই কাজীরগাঁও এলাকার মধ্য দিয়ে চলাফেরা করতো। কাজীরগাঁও এলাকার জনসাধারণ মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করতো । কাজীরগাঁও এলাকার লোকের মুক্তিবাহিনীর প্রতি সহায়তার কথা জানতে পেরে আগস্ট মাসে পাকিস্তানি বাহিনী রাজাকার লালিমার সহযোগিতায় কাজীরগাঁওয়ে প্রবেশ করে নিরপরাধ ১০-১১জন লোককে গুলি করে হত্যা করে ।

 

 

শহীদ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া,

শহীদ আসাদ উল্লাহ ভূঁইয়া,

শহীদ কাজী মোরশেদ

উল্লাহ,

শহীদ মনসুর আলী,

শহীদ আবুল কাশেম, শহীদ বীরেন্দ্র দাস, শহীদ কার্তিক চন্দ্র দাস, শহীদ সুবল চন্দ্র দাস, শহীদ বুলবুল মিয়া, শহীদ রাজধর আলী, শহীদ আবুল হায়াত,

শহীদ জালাল উদ্দিন, শহীদ নীল কান্ত বিশ্বাস, শহীদ জালাল উদ্দিন,

শহীদ জাকির মোল্লা ।

রানীগঞ্জ বাজার,

ইউনিয়নঃ রানীগঞ্জ,

থানাঃ জগন্নাথপুর।

৬৯৪৪৩৯, এমএস ৭৮ পি/১০

৮ সেপ্টেম্বর বুধবার পাকিস্তানি বাহিনীর এক দল সৈনিক কয়েকজন রাজাকার নিয়ে রানীগঞ্জের ৩০জন নিরীহ লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে । পাকিস্তানি বাহিনী ছিরমিশির ন্যায় রানীগঞ্জেও ৩০জন নিরীহ

লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে । পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে গুরুতর রূপে আহত হয়েও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ৬জন লোক । এরপর পাকিস্তানি বাহিনী রানীগঞ্জ বাজারের প্রায় ১৫০টি দোকানে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

শহীদ তছর উদ্দিন,

শহীদ আলতা মিয়া,

শহীদ সোনাহর আলী,

শহীদ মদরিছ উল্লা, শহীদ আনোয়ার হোসেন,

শহীদ আপিল মামুদ,

শহীদ আবদার মিয়া,

শহীদ ক্বারি মনতাজ

আলী,

শহীদ ধন মিয়া,

শহীদ মশিয়ার আলী, শহীদ মিছির আলী, শহীদ আব্দুল হেকিম,

শহীদ ফয়জুর রহমান,

শহীদ আব্দুল মজিদ,

শহীদ ড. সিরাজুল

শহীদ মাসুদ মিয়া,

শহীদ ইউসুফ আলী,

শহীদ বুরহান আলী,

শহীদ নূরুল ইসলাম,

শহীদ হাজি আব্দুল

মমিন,

শহীদ ফয়জুর রহমান,

শহীদ নূর

শহীদ নূর উদ্দিন

টেইলার,

শহীদ ছয়েফ উদ্দিন, শহীদ আতাউর রহমান।

ছিরমিশি উচ্চ বিদ্যালয়,

ইউনিয়নঃ সৈয়দপুর শাহার পাড়া,

থানাঃ জগন্নাথপুর । ৮৩২৫১৭, এমএস ৭৮ পি/৯

৩১ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৯- ১০টায় ২৪জন পাকিস্তানি সৈন্য কয়েকজন রাজাকার, আলবদর নিয়ে জগন্নাথপুর থেকে ৮-৯টি নৌকায় ছিরমিশি বাজারে আসে । তারা তাদের দোসরদের দিয়ে গ্রামের সব মানুষকে শান্তি কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার | জন্য নির্দেশ দেয় । গ্রামের সাধারণ মানুষ ছিরমিশি উচ্চ

বিদ্যালয়ে জমায়েত হয় । যারা আসতে দেরি করে, তাদেরও ডেকে আনা হয়। গ্রামের যুবক, বৃদ্ধ, শিক্ষক, তহশিলদার, পোস্ট মাস্টার, ডাকপিয়ন এমনকি অতিথিদেরও ডেকে আনা হয় । আগত সবাই স্কুলের হলরুমে আলোচনা আরম্ভ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল । এমন সময় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী ও যুবকদের আলাদা রুমে নেয়া হয়। সেখানে ১৫-১৬জনকে পিছমোড়া করে একসঙ্গে বেঁধে নৌকায় তোলা হয় । পরে তাদের নদীতে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় । কোনো কোনো দলকে নিকটবর্তী পুকুরপাড়ে সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও পুনরায় গুলি করে তাদের হত্যা করে । এভাবে ১২৬জনকে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে হত্যা করে । উল্লেখ্য, ছিরমিশির হত্যাযজ্ঞের এ খবর নয়াদিল্লি থেকে বিবিসি’র সংবাদ দাতারা বিশ্ববাসীকে জানান । উল্লিখিত হত্যাযজ্ঞের স্মরণে ছিরমিশি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে মুক্তি সংগ্রাম স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছে। ছিরমিশি বাজার শহীদনগর নামকরণ করার জন্য এতদঞ্চলের ছাত্র-জনতার দাবি এখন পর্যন্ত অপূর্ণ রয়ে গেছে। এরূপ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসলীলায় হায়েনাদের সহযোগী হিসেবে দেখা যায় আহম্মদ মিয়া ও আব্দুল খালেক (ছিরমিশি), আনোয়ার (হাবিবপুর), সুন্দর আলী (কাঁঠালকাই) গয়রহকে।

 

 

শহীদ ছাদ উদ্দিন আহমেদ (হেড মাস্টার, ছিরমিশি উচ্চ বিদ্যালয়),

শহীদ মাওলানা আব্দুল হাই (হেড মাওলানা, ছিরমিশি উচ্চ বিদ্যালয়),

শহীদ সত্যেন্দ্র বাবু (তহশিলদার,

পীরেরগাঁও),

শহীদ ইয়াহিয়া (সহকারী

তহশিলদার, পীরেরগাঁও), শহীদ আব্দুল বারী (প্রাক্তন ইউপি সদস্য),

 শহীদ ফিরোজ মিয়া (প্রবাসী, কাদিরপুর ছিরমিশি),

শহীদ এখলাছুর রহমান (দিঘিরপাড়, ছিরমিশি), শহীদ শামছু মিয়া গেদু (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ আব্দুল জলিল (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ আলা মিয়া (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ ওয়ারিছ মিয়া (সাতহাল, ছির মিশি), শহীদ ছুয়া মিয়া (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ আব্দুল লতিফ (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ রইছ উল্লা (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ মানিক মিয়া (সাতহাল, ছিরমিশি), শহীদ দবির মিয়া

(আব্দুল্লাহপুর), শহীদ মরম আলী

(গদ্যভা), শহীদ মন্তাজ আলী, শহীদ মজিদ মিয়া (রসুলপুর), শহীদ নজির মিয়া

(রসুলপুর), শহীদ সুনু মিয়া (রসুলপুর)

শহীদ ডা. আ. মান্নান (ছিরমিশি বাজার),

শহীদ অজ্ঞাতনামা দর্জি,

শহীদ ছামির আলী (পশ্চিম ছিরমিশি), শহীদ রুপু (পশ্চিম ছিরমিশি),

শহীদ রুস্তম আলী

(পশ্চিম ছিরমিশি),

শহীদ আছা মিয়া (পশ্চিম

ছিরমিশি),

শহীদ তৈয়ব আলী

(পশ্চিম ছিরমিশি),

শহীদ রোয়াব আলী (পশ্চিম ছিরমিশি),

শহীদ তোফাজ্জল আলী

(পশ্চিম ছিরমিশি),

শহীদ মছদ্দর আলী (পশ্চিম ছিরমিশি), শহীদ অজ্ঞাতনামা শিক্ষক (ছিরমিশি), শহীদ অজ্ঞাতনামা (পোস্ট মাস্টার, ছিরমিশি ডাকঘর), শহীদ অজ্ঞাতনামা (ছিরমিশি ডাকঘর), শহীদ মোক্তার মিয়া (প্রবাসী, চকসিপুর), শহীদ অজ্ঞাতনামা (দোকান সহকারী,

ছিরিমিশি বাজার), শহীদ আব্দুল মান্নান (হাবিবপুর,জগন্নাথপুর), শহীদ নূর মিয়া,

শহীদ জহুর আলী ।