You dont have javascript enabled! Please enable it!

মৌলভীবাজার জেলার গণহত্যার তালিকা

ক্রমিক নম্বর স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা
শাহবাজপুর রেল স্টেশনের পশ্চিমে

খালের পাড়ে পতিত ভূমি,

ইউনিয়ন: উত্তর শাহবাজপুর,

থানা: বড়লেখা।

৪৬৯৫৭০, ৮৩ ডি/১

১৫ সেপ্টেম্বর এখানে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা ।

 

খাগালা গ্রাম,

ইউনিয়ন: বড়লেখা,

থানা: বড়লেখা ৷

বর্গ ৪৬৬৭, ৮৩ ডি/২

৩০ মে পাকিস্তানি বাহিনী এখানে গণহত্যা করে। গণহত্যার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা ।

থানা পরিষদ চত্বর,

 ইউনিয়ন: দক্ষিণ শাহবাজপুর,

থানা: বড়লেখা ।

৪১১৪৫১, ৮৩ ডি/2

 ২২ মে পাকিস্তানি বাহিনী এখানে গণহত্যা চালায় । গণহত্যার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা

 

রশিদাবাদ চা-বাগান বস্তি,

ইউনিয়ন: দক্ষিণ ভাগ,

থানা: বড়লেখা ।

৪১৩৩৭৮, ৮৩ ডি/২

২২ জুন পাকিস্তানি বাহিনী রশিদাবাদ চা- বাগানে ৬-৭জন লোককে গুলি করে হত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা ।

জুরী ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ সিকান্দার আলীর বিল্ডিং,

ইউনিয়ন: দক্ষিণ শাহবাজপুর,

থানা: বড়লেখা ।

৩৪৮৩১৭, ৮৩ ডি/২

মে মাসে পাকিস্তানি বাহিনী এখানে গণহত্যা চালায় ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা ৷

 

নবীনচন্দ্র স্কুল চৌমুহনীর কাছে কালীবাড়ির গণহত্যা (রাম বিরিজ গোয়ালা বাড়ি),

ইউনিয়ন: কুলাউড়া পৌরসভা,

থানা: কুলাউড়া ।

২৫১২১৬, ৮৩ ডি/২

পাকিস্তানি বাহিনী জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথমে বন্দিশিবিরে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের কুলাউড়া নবীনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের চৌমোহনায় গুলি করে হত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা

কুলাউড়া রেললাইনের পার্শ্বে হাকাতির পাড়ে গণহত্যা,

ইউনিয়ন: কুলাউড়া পৌরসভা,

থানা: কুলাউড়া ।

২৪৫২১৫, ৮৩ ডি/৩

পাকিস্তানি বাহিনী জনসাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথমে বন্দিশিবির থেকে নিয়ে গিয়ে কুলাউড়া রেল লাইনের পাশে হাকাতির পাড়ে গুলি করে হত্যা করে। গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: কাঁচা ।

 

দেউড়াছড়া বাগানের ২৫ নম্বর সেকশন,

ইউনিয়ন: রহিমপুর,

থানা: কমলগঞ্জ ।

৯৮৯১৪৯, ৭৮ পি/১৫

 ৩ মে সোমবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটায় পাকিস্তানি বাহিনী ৭৩জন লোককে

রেশন দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে ওঠায় । পরে তাঁদের দেওড়াছড়া বাগানের ২৫ নম্বর সেকশনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: গণকবরের চিহ্ন আছে ৷

শমসেরনগর বিমানঘাঁটি,

ইউনিয়ন: শমসেরনগর,

থানা: কমলগঞ্জ ।

১২৪০৮৩, ৭৮ পি/১৫

 

১৭ মে পাকিস্তানি সেনারা বাড়ি থেকে কিছু লোককে ধরে নিয়ে প্রথমে শমসেরনগর ডাকবাংলোয় অকথ্য নির্যাতন করে এবং পরে তাঁদের শমসেরনগর বিমানঘাঁটিতে এনে গুলি করে হত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: গণকবরের চিহ্ন আছে ।

১০ পাঁচগাঁও হিরন্ময় দাসের দিঘিরপাড়ের গণহত্যা,

ইউনিয়ন: পাঁচগাঁও,

থানা: রাজনগর ।

০৫৪২৬৭, ৭৮ পি/১৪

 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শব্দকরের ভাষ্যমতে,

বাংলা ১৩৭৮ সনের ২৩ বৈশাখ পাকিস্তানি বাহিনী পাঁচগাঁও গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ৭০-৮০জন লোককে হিরন্ময় দাসের দিঘির পাড়ে ধরে আনে। রাজাকারদের সহায়তায় সবাইকে উলঙ্গ করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিঘিতে ফেলে দেয়। দিঘিতে ফেলে পাকিস্তানি বাহিনী ব্রাশফায়ার করে।

শব্দকর ও নব শব্দকরকেও একসাথে বেঁধে দিঘিতে ফেলে দেওয়া হয়। নব শব্দকরের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে তিনি সাথে সাথে শহিদ হন। শব্দকর পানিতে ডুবে কোনোরকমে আত্মরক্ষা করেন। পরবর্তী সময় কোনো লোকের সাড়াশব্দ না পেয়ে শব্দকর নিজেই নিজের বাঁধন খুলে ওপরে উঠে আসেন এবং দেখতে পান যে দিঘিতে প্রচুর লাশ ভেসে আছে। শহিদদের মধ্যে ৫৮জনকে হিরন্ময় দাসের দিঘির পাড়ে

গণকবর দেওয়া হয় ।

গণহত্যা স্থানের চিহ্ন বর্তমানে বিলুপ্তির

পথে।

১১ মনির পাড়া সাগরদিঘির পাড়ের গণহত্যা,

ইউনিয়ন: রাজনগর,

থানা: রাজনগর।

০৫৪২৪৬, ৭৮ পি/১৪

১৩৭৮ বাংলা সনের ২২ বৈশাখ শুক্রবার রাজনগর থানার ৫ নম্বর রাজনগর ইউনিয়নের মনিপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৫জন হিন্দুকে গুলি করে হত্যাকরে।
১২ ১২. খালগাঁও ধর বাড়ির গণহত্যা, ইউনিয়ন: মুন্সিবাজার,

থানা: রাজনগর ৷

০৯১২৭৮, ৭৮ পি/১৪

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শতদল ধরের ভাষ্য মতে, ৩ ডিসেম্বর ভোরবেলা পাকিস্তানি বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় খালগাঁও গ্রামের বেশ কিছু লোককে বাড়ি থেকে ধরে এনে সুরতি ধর বাবুর বাড়িতে একত্র করে এবং ১৪জনকে গুলি করে হত্যা করে । এঁরা সবাই হিন্দু ছিলেন। গণহত্যা স্থানের চিহ্ন বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
১৩ কুলাউড়া মৌলভীবাজার রাস্তার পার্শ্বের গণহত্যা,

ইউনিয়ন: মুনসুর নগর,

থানা: কমলগঞ্জ ।

০৩১২১৮, ৭৮ পি/১৪

 

১৩৭৮ বাংলা সনের ১৭ বৈশাখ পাকিস্তানি বাহিনী পঞ্চশ্বর গ্রামে প্রবেশ করে । মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার কারণে তারা এ গ্রামের নরেন্দ্র নারায়ণ বিশ্বাস ও জিতেন্দ্র নারায়ণ বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের চিহ্ন বর্তমানে বিলুপ্তির পথে ।

১৪ ১৪. শ্রীমঙ্গল বিডিআর ক্যাম্প (সাধুবাবার থলী),

ইউনিয়ন: শ্রীমঙ্গল পৌরসভা,

থানা: শ্রীমঙ্গল ।

৯৩৬৯৫৯, ৭৮ পি/১১

এ স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে ।

গণহত্যা স্থানের চিহ্ন বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।

 

১৫ সিন্দুরখান বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন স্থান,

ইউনিয়ন: সিন্দুরখান,

থানা: শ্রীমঙ্গল ।

৮৮২৮৬৩, ৭৮ পি/১২

এ স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণকে ধরে এনে আটক রেখে পরে তাঁদের গুলি করে হত্যা করতো।
১৬ শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের পার্শ্বস্থ ভাড়উড়ার গণহত্যা,

ইউনিয়ন: শ্রীমঙ্গল পৌরসভা,

থানা: শ্রীমঙ্গল ।

৯৪০৯৫৭, ৭৮ পি/ ১১

এ স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে ৷
১৭ পিবি কমপ্লেক্সের সন্নিকটের স্থান,

ইউনিয়ন: শ্রীমঙ্গল পৌরসভা,

থানা: শ্রীমঙ্গল ।

৯১৪৯৬৭, ৭৮ পি/১১

১৮ নারিয়া গ্রামের গণহত্যা,

ইউনিয়ন: কাগাবালা,

থানা: মৌলভীবাজার সদর ।

৮৫২৪, ৭৮ পি/১০

এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নারিয়া গ্রামের অনেক লোককে গুলি করে হত্যা করে । গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থান: গণকবরের চিহ্ন আছে ।
১৯ নালিউরি যাওয়ার রাস্তার পাশে গণকবর,

ইউনিয়ন: কামালপুর,

থানা: মৌলভীবাজার সদর ।

৯০২২৫৪, ৭৮ পি/১০

 

পাকিস্তানি বাহিনী সিলেট থেকে মৌলভীবাজার অগ্রসর হওয়ার সময় শেরপুরের কামালপুরে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রতিরোধ করলে এখানে একটি খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম জানা যায়নি ।

গণহত্যা স্থানের চিহ্ন বর্তমানে বিলুপ্তির পথে ।

২০ ফরেস্ট অফিস নদীর পাড়ের গণহত্যা, ইউনিয়ন: মৌলভীবাজার পৌরসভা,

থানা: মৌলভীবাজার সদর ।

৯৬৬১৬৯, ৭৮ পি/১৫

২৭ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী ফরেস্ট অফিস রোডের নদীর পাড়ে গণহত্যা চালায় ।

গণহত্যা স্থানের বর্তমান অবস্থা: ফরেস্ট অফিস আছে ।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!