You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফেনী জেলার গণহত্যার তালিকা

স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা শহীদদের নাম
১. ফাজিলপুর আলিয়া ও ফাজিলপুর সিনিয়র ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠ, ইউনিয়ন: ফাজিলপুর, থানা: ফেনী সদর । ৬৬৬৩১৮, ৭৯ এন/৫ পাকিস্তানি বাহিনী তাদের যাতায়াতের রাস্তায় ব্রিক শোলিংয়ের জন্য গ্রামের কিছু যুবককে নিয়ে আসে। কাজ শেষে এর মধ্য থেকে তাদের দৃষ্টিতে সন্দেহজনক কয়েকজনকে ফাজিলপুর রহিমুল্লাহ সাহাবের বাজারে নিয়ে এসে রাস্তার মাঝখানে এক লাইন দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। শহীদ অলি আহমদ ( পিতা; মুককুতুর রহমান),

শহীদ মানু মিয়া ( পিতাঃ চন্দু মিয়া )

২. পদুয়া ও মঠবাড়িয়া, ইউনিয়ন: পদুয়া, থানা: ফেনী সদর ।

পদুয়া-৫৪৫৪৩৬,

মঠবাড়িয়া-৫৪৬৪৩৬, ৭৯ এম/৮

 

২৪ এপ্রিল আনুমানিক দুপুর ১২টার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয় কুমিল্লা থেকে আসার সময় মোহাম্মদ আলী বাজারের দক্ষিণ পাশে রেলক্রসিংয়ে ১জন আনসার গুলি ছুড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রামে প্রবেশ করে ৩৫জন লোককে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। শহীদদের নাম জানা যায়নি।
৩. দক্ষিণ আনন্দপুর মাঝখানে, রেললাইনের পূর্ব পাশে, ইউনিয়ন: আনন্দপুর,

থানা: ফুলগাজী ।

৬০৭৪৬৩, ৭৯ এম/৮

এলাকার প্রায় ১৮-২০ জন মানুষকে পাকিস্তানি সেনারা বাড়ি থেকে ধরে এনে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে হত্যা করে। শহীদ হোসেন আহমেদ চৌধুরী,

শহীদ সুরুজ মিয়া ভূঁইয়া এবং বাকিদের নাম জানা যায়নি।

৪. মাইজ গ্রামে আজিজ আহমেদ চৌধুরীর দক্ষিণ- পশ্চিম পাশে বাঁশঝাড়ের নীচে পুকুরপাড়ে, ইউনিয়ন: আনন্দপুর,

থানা: ফুলগাজী ।

৬০৯৪৫৯, ৭৯ এম/৮

 

১৬ জুন বেলা ১১টার সময় | শহীদদের নাম জানা পাকিস্তানি বাহিনী মাইজ গ্রামে যায়নি । পৌঁছে আজিজ আহমেদ চৌধুরীর বাড়ি থেকে ৫জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম পুকুরপাড়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে । একই দিন তারা আজিজ আহমেদ চৌধুরীর উত্তর দিকে একটি বড় পুকুরের পাশে আরও ১৪ জনকে হত্যা করে । পরে সবাইকে এখানে গণকবর দেওয়া হয় । শহীদদের নাম জানা যায়নি।
৫. জামমুড়া মৃত ওয়ালী আহমেদের বাড়ি,

ইউনিয়ন: মুন্সীর হাট,

থানা: ফুলগাজী ।

৫৮১৪৯৫, ৭৯ এম/৮

 

এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি আর্টিলারি শেলের আঘাতে জামমুড়া গ্রামের মৃত ওয়ালী আহমেদের বাড়িতে আশ্রিত ৩০জন শরণার্থী শাহাদতবরণ করেন। ওই ৩০জনকে জামমুড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানসংলগ্ন গণকবরে সমাহিত করা হয়। জানা যায়নি।
৬. পরশুরাম বাজারের গণহত্যা, ইউনিয়ন ও থানা: পরশুরাম।

৬১৮৬৩৭, ৭৯ এম/৮

 

১৩ জুলাই মেজর ইফতেখারের । শহীদ রফিকুল হোসেন নেতৃত্বে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের | চৌধুরী (পিতা: মৃত দোসর রাজাকার, আলবদরদের । ছৈয়দুর রহমান), সহযোগিতায় উত্তর গুপুমা | শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীবাড়ির মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ | চৌধুরী (পিতা: মৃত উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর (মিহির) | ছৈয়দুর রহমান) । পিতা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ও তাঁদের বর্গা চাষি শুক্কুরকে ধরে এনে পরশুরাম হাইস্কুলের বন্দিশিবিরে আটক করে। এরপর গুলি করে হত্যা করে । একইভাবে ১২ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা মেজর মীর হোসেন ও এসপি শফিকুল হোসেন চৌধুরীর ভাই রফিকুল হোসেন চৌধুরী ও সিরাজুল হোসেন চৌধুরীকে বাজার থেকে ধরে এনে বন্দি শিবিরে আটক রেখে পরবর্তী সময় নির্মমভাবে হত্যা করে । শহীদ রফিকুল হোসেন চৌধুরী ( পিতাঃ মৃত ছৌয়দুর রহমান ),

শহীদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (পিতাঃ মৃত ছৈয়দুর রহমান)।

৭. মালিপাথরের গণহত্যা, ইউনিয়ন: চিথলিয়া,

থানা:পরশুরাম ।

৫৭৯৫৮৭, ৭৯ এম/৮

১০ নভেম্বর পালধরের যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ১২ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মালিপাথর গ্রামের তনু মৌলভীর বাড়িতে জামে মসজিদের সামনে ফজরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিমসহ ২১ জনকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং সমগ্র মালি পাথর গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। শহীদ মোঃ আঃ সাত্তার,

শহীদ মোঃ আঃ রহমান,

শহীদ মোঃ মোনাফ,

শহীদ মোঃ জানু মিয়া,

শহীদ মোঃ কালা মিয়া,

শহীদ ফয়জুল রহমান,

শহীদ হালিম মিয়া,

শহীদ মোঃ হেদায়েত আলী,

শহীদ মোঃ আব্দুর রহমান,

শহীদ মোঃ আব্দুর রশিদ।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!