You dont have javascript enabled! Please enable it! লক্ষ্মীপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

লক্ষ্মীপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা

শহীদের নাম ও ঠিকানা কবরের অবস্থান এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা
১. শহীদ মো. ইসমাইল,

পিতা: মোহাম্মদ উল্লাহ, ইউনিয়ন: ১ নম্বর উত্তর

হামছাদী ,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর  সদর,

জেলা: লক্ষ্মীপুর

 

শ্যামগঞ্জ, কাজীরদিঘির পাড় মসজিদ।

৯৩৬৪১৪, ৭৯ আই/১৬

 

সেপ্টেম্বর কাজীরদিঘিরপাড় মসজিদে হাবিলদার মেজর আব্দুল মতিন পাটোয়ারী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার) এবং হামদে রাব্বির নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকারদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধ চলাকালে কাজীরদিঘিরপাড় মসজিদের সম্মুখস্থ রাস্তা ক্রলিং করে অতিক্রম করার সময় মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল শত্রুর গুলিতে শহীদ হন। তাঁকে শ্যামগঞ্জে তাঁর নানার বাড়ির পাশে সমাধিস্থ করা হয়। এ যুদ্ধে মোট ৪জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ।
২.`শহীদ মুনছুর আহাম্মদ,

পিতাঃ মোঃ উল্লাহ,

ইউনিয়নঃ ১ নম্বর উত্তর

হামছাদী,

থানাঃ লক্ষ্ণীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্ণীপুর।

সবিলপুর, কাজীরদিঘির পাড় মসজিজ,

৯৩৫৪২০, ৭৯ আই/১৬

 ১০ সেপ্টেম্বর কাজীরদিঘির পাড় মসজিদের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মো. মুনছুর আহাম্মদ শত্রুর গুলির আঘাতে নিহত হন। পরবর্তী সময় তাঁর বাড়ির লোক এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় শ্যামগঞ্জে তাঁর বাড়ির পাশে সমাধিস্থ করা হয়। এ যুদ্ধে মোট ৪জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ।
৩. শহীদ আ. হালিম ( বাশু),

পিতাঃ অজি উল্লাহ,

গ্রামঃ বাশুবাজার ( হাসন্দী ), ইউনিয়নঃ উত্তর হামছাদী,

থানাঃ লক্ষ্ণীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্ণীপুর।

রায়পুর এলএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বাশুবাজার ( হাসন্দী)।

৯৩৯৩৯০, ৭৯ আই/১৬

১ অক্টোবর ভোরবেলা রায়পুর এল এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাজাকারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা উল্লিখিত বিদ্যালয়ে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প তিন দিক থেকে ঘিরে আক্রমণ করেন । ওই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম ওরফে বাশু শহীদ হন। তাঁকে পরবর্তী সময় হাসন্দীতে সমাধিস্থ করা হয় এবং তার নামানুসারে ওই স্থানের নামকরণ করা হয় বাশুবাজার। এখানে উল্লেখ্য, শহীদ আব্দুল হালিমের সমাধির পাশেই আরও ২জন মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রয়েছে (শহীদ আতিক উল্লাহ ও মো. আবুল খায়ের ভূতা মিয়া)
৪. শহীদ আতিক উল্লাহ,

পিতা: মৌলভী মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী, বাশুবাজার (হাসন্দী), ইউনিয়ন: ১ নম্বর উত্তর

হামছাদী,

থানা: লক্ষ্মীপুর সদর, জেলা: লক্ষ্মীপুর।

গ্রাম: বাশুবাজার

(হাসন্দী), কাফিলাতলী, ইউনিয়ন: ১ নম্বর

উত্তর হামছাদী,

থানা: লক্ষ্মীপুর সদর।

৯৩৯৩৯০, ৭৯ আই/১৬

 

১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর রাজগঞ্জ রাস্তার ওপর কাফিলাতলী নাম স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। পরবর্তী সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর লাশ সংগ্রহ করে হাসন্দীর বাশু বাজার নামক স্থানে আরও ২জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধিসংলগ্ন স্থানে সমাহিত করেন।
৫. শহীদ মোঃ আবুল খায়ের ভুতা মিয়া,

গ্রামঃ বাশুবাজর ( হাসন্দী ),

ইউনিয়নঃ উত্তর হামছাদী ,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

বাঘাবাড়ি মাদাম ব্রিজ, বাশুবাজার,

ইউনিয়নঃ ১ নম্বর  উত্তর হামছাদী,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

৯৩৯৩৯০, ৭৯ আই/১৬

৩ ডিসেম্বর ভোরবেলা বাঘাবাড়ি মাদাম ব্রিজের গোড়ায় পাকিস্তানি বাহিনী ও ব্রিজ, তার দোসর রাজাকারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।

 

৬. শহীদ আবু ছায়েদ ,

পিতাঃ আব্দুল বারেক,

গ্রামঃ সোনাপুর,

ইউনিয়নঃ শরবর্তীপুর নগর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর , জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

বাঘাবাড়ি মাদাম ব্রিজ,

গ্রামঃ সোনাপুর,

ইউনিয়নঃ শরবর্তীপুর নগর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর। ৯৬৫৩৬৫, ৭৯ জে/১৩

৭. শহীদ আব্দুল মমিন,

পিতাঃ হাজী নজরুল ইসলাম পন্ডিত, বিরাহিমপুর,

ইউনিয়নঃ বশিকপুর, থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

আমিশ্বা পাড়া, বেগমগঞ্জ বিরাহিমপুর,

ইউনিয়নঃ ৮ নম্বন বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৮১,

৭৯ আই/১৬

৩১ অক্টোবর ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে লক্ষ্মীপুর আসার পথে রাত আনুমানিক ৪টায় বেগমগঞ্জ থানার আমিশ্বা পাড়া নামক স্থানে একদল পাকিস্তানি মিলিশিয়া এবং রাজাকারের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। পরে পাকিস্তানি বাহিনী আব্দুল মমিনকে গ্রেপ্তার করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। ওই যুদ্ধে ১১জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের কবর বশিকপুরে। এ যুদ্ধে একমাত্র জীবিত মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল করিম (পিতা : মৃত হাজি রুস্তম আলী)। শহীদ ৭জনের মধ্যে ২জনের নাম এখনো অজ্ঞাত।
৮. শহীদ আবু হাই,

পিতা: ছুরুত আলী, বিরাহিমপুর,

ইউনিয়ন: ৮ নম্বর নম্বর বশিকপুর,

থানা: লক্ষ্মীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

 

আমিশ্বা পাড়া, বেগমগঞ্জ,

ডবরাহিমপুর,

 ইউনিয়ন: ৮ নম্বর

নম্বর বশিকপুর,

থানা: লক্ষ্মীপুর সদর,

৯৯৭৩৮৭,

৭৯ আই/১৬

৯. শহীদ আব্দুল মতিন,

পিতাঃ আব্দুল মান্নান,

বিরাহিমপুর,

ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

আমিশ্ব পাড়া বেগমগঞ্জ, উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৮১, ৭৯ আই/১৬

১০. শহীদ আহম্মদ উল্লাহ,

পিতাঃ গোলাম রহমান,

ইশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ বশিকপুর, থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

আমিশ্বা পাড়া, বেগমগঞ্জ, উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৮১, ৭৯ আই/১৬

১১. শহীদ সিরাজ উল্লাহ,

পিতাঃ সেকান্দার মুন্সি উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ বশিকপুর, থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

আমিশ্বা পাড়া, বেগমগঞ্জ,উশিয়ারকান্দি ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর ,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৮১, ৭৯ আই/১৬

১২. শহীদ আবুল বাশার বাসু,

পিতাঃ মৃত ওয়ালী উল্লাহ ( চেয়ারম্যান ), উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর, থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর,

জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

কফিলাতলী, উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৭৭,

৭৯ আই/১৬

লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ রাস্তার ওপর কফিলাতলী নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর মুক্তিযোদ্ধারা ১টি ফাঁদ পাতার চেষ্টা করেন। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে ফায়ার শুরু করে। উপরিউক্ত স্থানে প্রায় ১৫ মিনিট যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ২জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শহীদ আবুল বাশার ২জনের মধ্যে ১জন।

 

১৩, শহীদ ইসমাইল,

পিতাঃ আজগর, উশিয়ারকান্দি , ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর, জেলাঃ লক্ষ্মীপুর।

কফিলাতলী, উশিয়ারকান্দি, ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর বশিকপুর,

থানাঃ লক্ষ্মীপুর সদর।

০০৩৩৭৭, ৭৯ আই/১৬

১৪. শহীদ মোঃ আব্দুল্লাহ,

পিতাঃ আসলাম মিয়া, সাগরদী,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর বামনী ,

থানাঃ রায়পুর।

সাগরদী ( মধ্য সাগরদী জামে মসজিদের পেছনে ), ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর বামনী,

থানাঃ রায়পুর।

৯১০৪০৯, ৭৯ আই/১৬

২৬ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের একটি ফুট প্যাট্রল লক্ষ্মীপুর থেকে দালালবাজার হয়ে রামগঞ্জ যাবে, এ তথ্য পেয়ে হাবিলদার আ. মতিন পাটোয়ারীর কাফিলাতলী বাজারের দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে ফাঁদ পাতেন। আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে ফুট প্যাট্রলটি টার্গেট এলাকায় প্রবেশ করলে মুক্তিযোদ্ধারা ফায়ার শুরু করেন। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্য ও রাজাকাররা উল্টোদিকে দৌড়ে কাজীরদিঘির পাড় মসজিদে অবস্থান নেয় এবং পাল্টা গুলি শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা মসজিদের তিন দিক থেকে ফায়ারিং করতে থাকেন । এভাবে প্রায় ৩ ঘণ্টা ফায়ার চলার পর লক্ষ্মীপুর থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর সাহায্য আসে এবং মসজিদ থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।
১৫. শহীদ মোঃ বজল হক,

পিতাঃ মৃত ইদ্রিস পাটোয়ারী,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর বামনী,

থানাঃ রায়পুর।

সাগরদী ( মধ্য সাগরদী জামে মসজিদের পেছনে ),

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর বামনী,

থানাঃ রায়পুর।

৯১০৪০৯, ৭৯ ই/১৬

১৬. শহীদ মোহাম্মদ মোস্তফা,

পিতাঃ হাজী মোঃ বাদশা মিয়া, উত্তর কেরোয়া, ইউনিয়নঃ ৬ নম্বর কেরোয়া, থানাঃ রায়পুর

উত্তর কেরোয়া ( উত্তর কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৮০০ গজ উত্তর পশ্চিম ), ইউনিয়নঃ ৬ নম্বর কেরোয়া,

থানাঃ রায়পুর।

৮৯৪৪৫৫৭, ৭৯ ই/১৬

২৬ আগস্ট কাজীরদিঘির পাড়ের যুদ্ধে শহীদ হন (বিস্তারিত বিবরণের জন্য কাজীরদিঘির পাড়ের যুদ্ধ দেখুন)।

 

১৭. শহীদ মোঃ নজিব উল্লাহ,

পিতাঃ মৃত মোঃ শামসুল হক,

মাঝির গাঁও,

ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর মাঝারি গাঁও ,

থানাঃ রায়পুর।

মাঝির গাঁও ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর মাঝিরগাঁও,

থানাঃ রামগঞ্জ।

৯৬৮৪৫৬, ৭৯ আই/১৬

জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের এক রাতে (সঠিক দিন জানা যায়নি) লক্ষ্মীপুর বাজারের একটি ঘরে চলছিল শান্তি কমিটির সভা। সেই সভায় ছিল ১০-১৫জন অস্ত্রধারী রাজাকার । পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের সম্বন্ধে খবরাখবর আদায়ের লক্ষ্যে ৩জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল সভায় অংশগ্রহণরত রাজাকারদের সাথে মিশে যায়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা মো. নাজিব উল্লাহর পকেটের গ্রেনেড এক রাজাকারের চোখে পড়লে তিনি ধরা পড়ে যান । তবে অন্য ২জন মুক্তিযোদ্ধা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরবর্তী সময় রাজাকাররা তাকে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করলে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে নৃশংসভাবে অত্যাচার করে হত্যা করে। ২দিন পর লক্ষ্মীপুরের উত্তর সাহাপুরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময় তাঁকে মাঝির গাঁও পৈতৃক বাড়িতে কবর দেওয়া হয় ।
১৮. শহীদ মোঃ আক্তারুজ্জামান,

পিতাঃ মৃত হাজী আব্দুর রব, চর জাঙ্গালিয়া, ইউনিয়নঃ চর লরেঞ্জ, থানাঃ রামগতি।

চর লরেঞ্জ,

ইউনিয়নঃ চর লরেঞ্জ,

থানাঃ রামগতি।

৯৬৩০৯৫, ৭৯ জে/১৩

৭ নভেম্বর ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাসেরহাট বাজার থেকে বাজার করতে গেলে মিলিশিয়া ও রাজাকাররা বাজার ঘেরাও করে তাঁকে ধরে হাজীরহাট পাকিস্তানি বাহিনীর মিলিশিয়া ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথে উত্তর চর জাঙ্গালিয়া নামক স্থানে রাস্তার পাশে গুলি করে। ওই হত্যাকাণ্ডে মোট ৪জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯. শহীদ মোঃ ছায়েদুর,

পিতাঃ মৃত মৌলভী আব্দুল হক, চর লরেঞ্জ , ইউনিয়নঃ চর লরেঞ্জ, থানাঃ রামগতি

চর লরেঞ্জ,

চর লরেঞ্জ,

থানাঃ রামগত।

৯৭৬০৯৩, ৭৯ জে/১৩

২০. শহীদ ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত নূরু মিয়া হাওলাদার, চর লরেঞ্জ,

ইউনিয়নঃ চর লরেঞ্জ,

থানাঃ রামগত।

চর লরেঞ্জ,

ইউনিয়নঃ চর লরেঞ্জ,

থানাঃ রামগতি।

৯৭১০৯০, ৭৯ জে/১৩

২১. শহীদ মোঃ আবু তাহের,

পিতাঃ মোঃ ফজর হক,

উত্তর চর জগবন্ধু,

ইউনিয়নঃ চর কালকেনী,

থানাঃ রামগতি।

উত্তর চর, জগবন্ধু, ইউনিয়নঃ চর কালকেনী,

থানাঃ রামগত।

৯৫১১০৪, ৭৯ জে/১৩

২২. শহীদ লকিয়ত উল্লাহ,

পিতাঃ মৃত আব্দুল আমিন পাটোয়ারী, চর জাঙ্গালিয়া,

ইউনিয়নঃ চর জাঙ্গালিয়া,

থানাঃ রামগত।

চর জাঙ্গালিয়া,

ইউনিয়নঃ চর জাঙ্গালিয়া,

থানাঃ রামগতি।

৯৮০০৮৮, ৭৯ জে/১৩

২০ আগস্ট হাজীরহাট মিলিশিয়া ক্যাম্প রেকি করতে গিয়ে রাজাকারদের সামনে পড়ে গেলে রাজাকাররা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাঁকে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে ।

 

২৩. শহীদ আবুল বাসার,

পিতাঃ মৃত আবুল বাসার,

গ্রামঃ চর জাঙ্গালিয়া,

ডাকঘরঃ হাজিরহাট,

থানাঃ রামগতি,

জেলাঃ লক্ষ্ণীপুর।

চর জাঙ্গালিয়া,

ইউনিয়নঃ হাজিরহাট,

থানাঃ রামগতি।

০০০০৬৩, ৭৯ আই/১৪

১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-রাজগঞ্জ রাস্তার ওপর কাফিলাতলী নামক পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন।

 

২৪. শহীদ মমিন উল্লাহ,

পিতাঃ মৃত নূরুল হক,

গ্রামঃ চর জাঙ্গালিয়া,

ডাকঘরঃ হাজীরহাট,

থানাঃ রামগতি,

জেলাঃ লক্ষ্ণীপুর।

চর জাঙ্গালিয়া ( হাজীরহাট ),

ইউনিয়নঃ হাজীরহাট,

থানাঃ রামগতি।

৯৮১০৬৫, ৭৯ জে/১৪

২৫. শহীদ আজিজ উল্লাহ,

পিতাঃ মৃত ইয়াছিন, পাটোয়ারী, চরজাঙ্গালিয়া,

ইউনিয়নঃ ৪ নম্বর হাজীরহাট,

থানাঃ রামগতি

চর জাঙ্গালিয়া, ইউনিয়নঃ ৪ নম্বর হাজীরহাট,

থানাঃ রামগত।

৯৭৫০৭৬, ৭৯ জে/১৩

শহীদ আজিজ উল্লাহ একজন নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সেপ্টেম্বর ১৯৭১- এর এক শুক্রবার (তারিখ জানা যায়নি) রাজাকার বাহিনী খবর পেয়ে তারা বাসা ঘেরাও করে তাঁকে ধরে। ধরার পর প্রথমে মারধর করে এবং পরবর্তী সময় নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে।

 

২৬. শহীদ আব্দুর রাজ্জাক,

পিতাঃ মৃত আনার উল্লাহ, উত্তর চর জগবন্ধু,

ইউনিয়নঃ চর কালকেনী, রামগতি।

উত্তর চর জগরন্ধু,

ইউনিয়নঃ চর কালকেনী,

থানাঃ রামগতি।

৯৫০১০৬, ৭৯ জে/১৩

১৬ সেপ্টেম্বর ধান কাটা অবস্থায় হাজীরহাট ক্যাম্পের কতিপয় রাজাকার স্থানীয় মিলিশিয়া ক্যাম্পের মিলিশিয়াদের সহায়তায় ক্যাম্পে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে ।

 

২৭. শহীদ আব্দুল মান্নান,

ইউনিয়নঃ পৌর এলাকা,

থানাঃ রামগঞ্জ, লক্ষ্ণীপুর।

রামগঞ্জ কলেজ মাঠ,

ইউনিয়নঃ পৌর এলাকা,

থানাঃ রামগঞ্জ।

৯৬৭৫০১, ৭৯ জে/১৬

কাফিলাতলী স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। পাকিস্তানি ও রাজাকার বাহিনী নিয়মিত টহলে আসত। এ এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ১৫/20 জনের মুক্তিবাহিনীর একটি দল কাফিলাতলী এলাকায় আশ্ৰয় নিয়েছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর, মুক্তিবাহিনীর দলটি আশ্রয়স্থল ছেড়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনীর দলটি রাস্তায় ওঠার পর পরই পাকিস্তানি বাহিনীর সামনে পড়ে গেলে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। এ যুদ্ধে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা রামগঞ্জ কলেজের ছাত্র আব্দুল মান্নান শহীদ হন ।