You dont have javascript enabled! Please enable it! হবিগঞ্জ জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

হবিগঞ্জ জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা

ক্রমিক নং শহীদদের নাম ও ঠিকানা সমাধিস্থলের অবস্থান এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর যুদ্ধের বিবরণ
শহীদ হাফিজ উদ্দিন,

পিতাঃ মৃত নেসার উদ্দিন,

ইউনিয়নঃ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা,

থানা ও জেলাঃ হবিগঞ্জ।

বড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন গবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের পশ্চিমে।

৬১২৯৩৩, ৭৮ পি/৭

শহীদ হাফিজ উদ্দিন ও শহীদ মহফিল হোসেন প্রায় ৫০০জন লোক নিয়ে মনু নদের ওপর শেরপুর ফেরিঘাটের (পরে ব্রিজ নির্মিত হয়) পশ্চিম তীরে অবস্থান করেন। ৪-৫ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী নদীর অপর পাড়ে পৌঁছানোর সাথে সাথে উভয়পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে হাফিজ উদ্দিন ও মহফিল হোসেন শহীদ হন। মোস্তফা আলী এমএলএ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আফসার আলী, ছাত্রনেতা মতিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মো. আনজব আলী (হবিগঞ্জ সদর থানার ৫ নম্বর গোপাইয়া ইউপি’র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য) উল্লেখিত শহীদদ্বয়ের লাশ এখানে এনে পাশাপাশি বড়চর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয় সংলগ্ন হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ

সড়কের পশ্চিমে দাফন করেন । তাঁরাই বৃহত্তর সিলেট জেলার প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ।

শহীদ আবুল খালেক,

বীরবিক্রম,

পিতাঃ মৃত আব্দুল গফুর,

ইউনিয়নঃ ২ নম্বর আহমদাবাদ,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

নালুয়া চা-বাগান।

৬৯৩৬৯৩, ৭৮ পি/১২

নলুয়া চা-বাগানের কলঘরের পূর্ব পাশে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হলে ১০২জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে আব্দুল খালেক বীরবিক্রম শহীদ হন এবং ২জন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এঁদের ১জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অন্যজন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আবদুল খালেক বীরবিক্রমের লাশ নলুয়া চা- বাগানে দাফন করা হয় ।
শহীদ নিবারণ উরাং,

পিতাঃ মৃত লালু উরাং,

ইউনিয়নঃ ৩ নম্বর দেওয়ার গাছ,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

চান্দপুর বাগানে সিঅ্যান্ডবি সড়ক কুমিল্লা-সিলেট সড়কের ডান পাশে।

৬৫৯৭৮৮, ৭৮ পি/১২

চান্দপুর বাগানে সিঅ্যান্ডবি সড়ক কুমিল্লা-সিলেট সড়কের ডান পাশে নিবারণ উরাংয়ের সমাধিস্থল । শহীদ নিবারণ উরাংয়ের নেতৃত্বে নলুয়া চা- বাগানের শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১৭ জনের ১টি তীরন্দাজ বাহিনী গঠিত হয়। পাকিস্তানি সেনারা এঁদের সবাইকে নলুয়া ধরমনাথ কুলি লাইনের পাকাকুয়াসংলগ্ন বটগাছের নিচে (বটগাছটি পরে কেটে ফেলা হয়) হত্যা করে বটগাছের নীচে নিবারণ উরাংকে সমাহিত করে। স্বাধীনতার ১০ মাস পর তাঁর দেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে বর্তমান স্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয় ।
শহীদ কৃষ্ণ সর্দার (বাউরী),

পিতাঃ মৃত বেহারী রাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোলা,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

শায়েস্তাগঞ্জের দক্ষিণে শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি রাস্তার পাশে।

৫৭২৮৭৫, ৭৮পি/৮

শায়েস্তাগঞ্জের দক্ষিণে শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি রাস্তার পাশে ১১জন শহীদের সমাধি রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর পর পরই এঁদের সবাইকে পাকিস্তানি বাহিনী শায়েস্তাগঞ্জ নিয়ে আসে। শায়েস্তাগঞ্জ রেল ক্রসিংয়ের কাছে তাঁদের সবাইকে হত্যা করে একটি গর্তে মাটি চাপা দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার ১০ মাস পর তাঁদের হাড়গোড় এনে এ স্থানে সমাধিস্থ করা

হয়।

শহীদ সুনীল বাউরী,

পিতাঃ মৃত কৃষ্ণ বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোলা,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

শহীদ ভুবন বাউরী,

পিতাঃ মৃত কৃষ্ণ বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

শহীদ মহাদেব বাউরী,

পিতাঃ মৃত মিতাই বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

শহীড লাল সাধু,

পিতাঃ মৃত হরিদাস সাধু,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

শহীদ আনু মিয়া,

পিতাঃ মৃত আতাব আলী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

১০ শহীদ রাজেন্দ্র রায়,

পিতাঃ মৃত বেহারী বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

১১ শহীদ গহর রায়,

পিতাঃ মৃত বেহারী বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

১২ শহীদ নেপু বাউরী,

পিতাঃ মৃত সন্ন্যাসী বাউরী,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

১৩ শহীদ রাজ কুমার গোয়ালা,

পিতাঃ মৃত কুমার গোয়াল,

ইউনিয়নঃ ৫ নম্বর শানখোল,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

১৪ শহীদ মোঃ ফারুক মিয়া,

পিতাঃ মৃত শেখ আবুল খায়ের ,

ইউনিয়নঃ ৯ নম্বর নোয়াপাড়া,

থানাঃ মাধবপুর,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

নোয়াপাড়া।

৫১৫৮৪২, ৭৮ পি/৮

শহীদ ফারুক ১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি তেলিয়াপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপারেশনে যোগ দেন। সেপ্টেম্বর মাসের্রর মাঝামাঝি সময় রাজাকার গবরু মিয়া কর্তৃক তিনি শহীদ হন। সেখানেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়। এ সমাধির বর্তমানে এক অংশ ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে । জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না করলে পুরো সমাধি বিলীন হয়ে যাবে।
১৫ শহীদ নাজিম উদ্দিন তালুকদার,

পিতাঃ মৃত আফছর উদ্দিন,

ইউনিয়নঃ ৯ নম্বর নোয়াপাড়া,

থানাঃ মাধবপুর,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

নোয়াপাড়া।

৫১৫৮৪৭, ৭৮ পি/৮

শহীদ নাজিম উদ্দিন তালুকদার হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের দ্বিতীয়

বর্ষের ছাত্র থাকাকালে ৪ নম্বর সেক্টরে

যোগদান করেন এবং আখাউড়া

এলাকায় অপারেশন পরিচালনায়

অংশ নেন। ২০-২১ সেপ্টেম্বর ৪- ৫জন রাজাকার তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং রেস্ট হাউজে নিয়ে হত্যা করে। ৩ দিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করে কবর দেওয়া

হয়।

১৬ শহীদ আক্কাছ আলী,

পিতাঃ মোঃ সৌর উদ্দিন,

গ্রামঃ মৌজপুর,

ইউনিয়নঃ বহরা,

থানাঃ মাধবপুর,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

৫০৭৬৬৬, ৭৮ পি/৮ পাওয়া যায়নি। সমাধি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে ।
১৭ শহীদ রমিজ আলী,

বীরবিক্রম,

ইউনিয়নঃ ১ নম্বর গাজীপুর,

থানাঃ চুনারুঘাট,

জেলাঃ হবিগঞ্জ।

রেমা চা-বাগানের বালুমারা রেমা বন বিট অফিসের পাশে।

৮১১৭৫৪, ৭৮ পি/১২

রেমা চা-বাগানের বালুমারা রেমা বন বিট অফিসের পাশে পাকিস্তানি বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এক ভয়ানক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ যুদ্ধে রমিজ আলী বীরবিক্রম শহীদ হন এবং সেখানে ৩জন পাকিস্তানি সেনা মারা যায়। এখানেই শহীদ মো. রমিজউদ্দিন বীরবিক্রমের সমাধিস্থল ।