You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফেনী জেলার বন্দিশিবিরসমূহের তালিকা

স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা বন্দিদের তালিকা
১. লালমোহন সাহার বিল্ডিং,

পৌরসভা: ফেনী,

থানা:ফেনী সদর ৷

৫৭১৩৮৯, ৭৯ এন/৮

 

২৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী ফেনী দখল করে স্থানীয় আইসিএস নেতা ইলিয়াসের  নেতৃত্বে একটি রাজাকার বাহিনী গঠন করে । বন্দিদের নাম জানা

যায়নি।

 

২. ফেনী পলিটেকনিক্যাল কলেজ, ফেনী সদর ।

৫৮৫৪১৫, ৭৯ এন/৮

 

ফেনী শহরে পলিটেকনিক্যাল কলেজে পাকিস্তানি বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। এখানে ফেনী ও অন্যান্য এলাকা হতে লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যা করতো।
৩. কালীদহ বরদা বাবুর বাড়ি, ইউনিয়ন: কালীদহ,

থানা: ফেনী সদর ।

৬১৯৩৫৮, ৭৯ এম/৫

 

এ বিল্ডিংটি ছিল ফেনীর দ্বিতীয় রাজাকার ক্যাম্প। রাজাকার অধিনায়ক নূর ইসলামের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে এখানে অত্যাচার করা হতো এবং এখান থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সহযোগীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিত ।
৪. ফুলগাজী খাদ্যগুদামও বন্দিশিবির,

ইউনিয়ন: ফুলগাজী,

থানা: পরশুরাম ।

 ৬০৩৫৫২, ৭৯এম/৮

পাকিস্তানি বাহিনী, রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের সহযোগিতায় এখানে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে এবং বিভিন্ন স্থান হতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ

জনগণকে ধরে এনে অত্যাচার ও হত্যা করতো। এ খাদ্যগুদামে প্রায়

৩০০জনকে হত্যা করা হয় এবং পার্শ্ববর্তী পুকুরে গণকবর দেওয়া হয় ৷

৫. রাজাপুর চৌধুরীবাড়ি, ইউনিয়ন: রাজাপুর

থানা: দাগনভূঞা ।

৪৭৯৩৯১, ৭৯ এম/৮

 

 যুদ্ধ শুরু হবার কিছুদিন পর ৫০-৬০জন রাজাকার পাকিস্তানি বাহিনীর সহায়তায় এখানে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে । এ ক্যাম্পে আশপাশের এলাকা হতে সাধারণ মানুষকে ধরে এনে অত্যাচার ও হত্যা করতো। জানা যায়নি।
৬. মানিক মিয়ার বাড়ি, ইউনিয়ন: মাতুভূঞা,

থানা: দাগনভূঞা ৷

৪৯১৩২১ ৭৯ এন/৫

যুদ্ধ শুরু হবার ৩ মাস পর পাকিস্তানি বাহিনী এলাকার রাজাকারদের একত্র করে ফেনীর সিও ক্যাম্পে ৭ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানে তাদের ক্যাম্প তৈরি করে দেয়। এ ক্যাম্পে মোট ৩২জন রাজাকার ছিল । তারা আশপাশের এলাকা হতে সাধারণ জনগণ ধরে এনে অত্যাচার করতো এবং ক্ষেত্রবিশেষে হত্যা করতো । হামিদুল হক,

পিতা:ইমাম আলী,

গ্রাম: আশরতপুর,

ইউনিয়ন: মাতুভূঞা

 

৭. দাগনভূঞা আতাতুর্ক উচ্চবিদ্যালয় রাজাকার ক্যাম্প,

ইউনিয়ন: ৬ নম্বর দাগনভূঞা, থানা: দাগনভূঞা ।

৪৬৬৩০২, ৭৯ এন/৫

 

আতিকুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল খালেক, কোরান মঞ্জিল ও আবুল বাশারসহ ৩০-৩৫জন রাজাকার এ ক্যাম্পে ছিল । তারা মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে যুবকদের ধরে এনে অত্যাচার চালাতো এবং মাতুভুঞা ব্রিজের উপর নিয়ে হত্যা করতো। জানা যায়নি ।
৮. পরশুরাম হাই স্কুল বন্দিশিবির,

ইউনিয়ন ও থানা:পরশুরাম ।

৬১৯৬৩৫, ৭৯ এম/৮

 

পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা মিলে পরশুরামের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের বন্দিশিবির গড়ে তোলে। এসব দানব মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের আত্মীয়স্বজনদের ধরে এনে অত্যাচার চালাতো এবং হত্যা করতো।
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!