You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফেনী জেলার শহীদমুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের সমাধিস্থলের তালিকা

 শহীদদের নাম ঠিকানা কবরের অবস্থান এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বিবরণ
১. শহীদ মাহবুবুল হক (দুলাল),

ইউনিয়ন: ফাজিলপুর,

থানা: ফেনী সদর।

 

পরিবারিক গোরস্থান, (ফাজিলপুর )

৬৬৩৩১৮ ৭৯ এন/৫

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা জেলার অমপিনগর ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণ করেন । সেখান থেকে বাংলাদেশের ২ নম্বর সেক্টরে বিভিন্ন সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন এবং বিভিন্ন অভিযানে সাহসিকতার নিদর্শন দেখান। তাঁরা পাকিস্তানি সেনাদের যথেষ্ট ক্ষতি এবং সামরিক পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটান। সেক্টর অধিনায়ক ছিলেন মেজর হায়দার ।

২. শহীদ শাহ আলম, ইউনিয়ন: ছনুয়া,

থানা: ফেনী সদর

পারিবারিক কবরস্থান।

৬৫০৩১৮, ৭৯ এন/৫

রমজানের ঈদের দুদিন পূর্বে খাইয়ারা বাজারের পশ্চিম পাশে দিঘির পাড়ে রাজাকার অধিনায়ক নূর ইসলামের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।

৩. শহীদ সাহাব উদ্দিন,

ইউনিয়ন: ফরহান নগর, থানা: ফেনী সদর।

 

মৃত ডাঃ আবুল ফয়েজের পারিবারিক গোরস্থান ( গ্রামঃ কে এম হাট )।

৬৭৬৩০২, ৭৯ এন/৫

ভারতের অমপিনগর ক্যাম্পে ভারতের সেনা কর্মকর্তার অধীনে মুক্তিবাহিনী ট্রেনিং করে, যার স্থিতিকাল ১ মাস। অতঃপর ত্রিপুরা রাজ্যের হরিণা ক্যাম্পে ৩ মাস অবস্থান করেন। উল্লেখ থাকে যে এ স্থিতিকাল সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ভেতরে এসে বিভিন্ন সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন। মৃত্যুর ১ মাস পূর্বে তিনি ভারত থেকে শ্রীনগর বর্ডার হয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব গ্রামে এসে আত্মগোপন করেছিলেন।

৪. শহীদ জাগীর আহম্মদ, ইউনিয়ন: লেমুয়া,

থানা: ফেনী সদর

 

মোঃ করম আলী হাজিবাড়ির পারিবারিক কবরস্থান।

৬৪৪৩০৩, ৭৯ এন/৫

জাগীর আহমেদ ১৯৭১ সালের এইচএসসি পাস করেন। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন বছর বয়সের একটি কন্যাসন্তান ছিল । যুদ্ধের সময় অধিনায়ক মফিজ তাঁকে ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে পাঠান এবং সেখানে ট্রেনিং শেষ করে এফএফ ফোর্সের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জুন মাসে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি শেষ হয়ে যায়, তখন মুক্তিযোদ্ধারা সীমান্ত পার হওয়ার উদ্দেশ্যে জিনার হাটের পূর্বে ঢাকা- চট্টগ্রাম সড়ক অতিক্রম করার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

৫. শহীদ নূর ইসলাম ইউনিয়ন: লেমুয়া,

থানা: ফেনী সদর ।

আশকর ভূঁইয়া বাড়ির পুকুরের পূর্ব পাড়ে ।

৬৩২২৯০, ৭৯ এন/৫

 

অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের বাঘের দিঘির পশ্চিম পাড়ে রাজাকার অধিনায়ক নূর ইসলাম মুক্তিবাহিনীর ওপর আকস্মিকভাবে হামলা করে। এতে মুক্তিবাহিনীর ৩জন সদস্য শহীদ হন। তাঁদের মাঝে শহীদ নূর ইসলামও ছিলেন।
৬. শহীদ জালাল আহম্মদ,

ইউনিয়ন: লেমুয়া,

থানা: ফেনী সদর

 

জিনহার হাট বর্ডার  (সমাধিস্থল খুঁজে পাওয়া যায়নি)। শহীদ জালাল আহমেদ ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত থাকাকালে তৎকালীন অধিনায়ক মফিজ কর্তৃক ভারতের বর্গা পাড়ায় ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। একমাস ট্রেনিং করে এসএফ বাহিনীর সদস্য হিসেবে জিনহার হাট বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমেণ অক্টোবর মাসের শেষের দিকে শহীদ হন।
৭. শহীদ শামসুল হক মজুমদার,

ইউনিয়ন: বারাইপুর,

থানা: ফেনী সদর

 

সমাধি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

পাকিস্তানি বাহিনীর তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বারাইপুর নূরানী মাদ্রাসার সামনে থেকে শহীদ শামসুল হককে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে। তাঁর লাশের খবর পাওয়া যায়নি ।
৮. শহীদ আব্দুস সোবহান,

ইউনিয়ন: সাবেক ধর্মপুর,

থানাঃ ফেনী সদর।

 

২৮ মার্চ সিও অফিসে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ সোবহান শহীদ হন ।
৯. শহীদ আজিজুল হক,

ইউনিয়ন: মটবী,

থানা: ফেনী সদর

মটবী, পতুল্লার পাড় ।

৬৬১৩৬৯, ৭৯ এন/৫

নভেম্বর মাসে তেতৈয়া গ্রামে রাজা অধিনায়ক নূর ইসলামের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।
১০. শহীদ হাবিলদার নুরুল ইসলাম,

ইউনিয়ন: মটব,

থানা: ফেনী সদর।

ফুলগাজী থানার দরবারপুর গ্রামের পুরালী মুন্সীর হাটের পেছনে ।

৬০৮৫০৪, ৭৯ এম/৮

গতিয়া ব্রিজ ধ্বংস করতে এলে মুক্তারবাড়ি পুকুরপাড়ে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।
১১. শহীদ আবুল কাশেম,

ইউনিয়ন: ৭ নম্বর ছাগলনাইয়া,

থানা: ছাগলনাইয়া

দক্ষিণ সতর খতছনি খাট । ৬৬৪৪৩৫, ৭৯ এম/৮

 

১৫ নভেম্বর জঙ্গলনিয়া বাজারে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।

           

১২. শহীদ আলাউদ্দিন,

ইউনিয়ন: ৮ নম্বর রামনগর, থানা: ছাগলনাইয়া।

নিজ পানুয়া মনকাজী পুকুরের পাড় ।

৭১৮৩৯৪

১৩. শহীদ কামাল উদ্দিন,

ইউনিয়ন: ৬ নম্বর পাঠাননগর,

থানা: ছাগলনাইয়া।

সত্য নগর, ভারতের পার্শ্বে ।

৭০৫৪৯৩

 

অক্টোবর মাসে বাঁশপাড়া গ্রামে রাজাকার- পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে তিনি শহীদ হন ।
১৪. শহীদ আব্দুর রাজ্জাক,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর ছাগলনাইয়া,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

শহীদের লাশ পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় পাকিস্তানি বাহিনীর মর্টারের গোলার আঘাতে তিনি শহীদ হন ।
১৫. শহীদ সিপাহি সুজা উদ্দিন,

নকশি বিওপি,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

২৬ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে সিপাহি সুজা উদ্দিন শহীদ হন ।
১৬. শহীদ ওসমান গনি,

ইউনিয়নঃ শুভপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রাশফায়ারে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে শহীদ হন ।
১৭. শহীদ ক্যাপ্টেন বদিউল আলম,

ইউনিয়নঃ শুভপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

১৮. শহীদ সিপাহি ফয়েজ আহম্মেদ,

ইউনিয়নঃ শুভপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

জানা যায়নি।
১৯. শহীদ সিপাহি নাসির উদ্দিন,

ইউনিয়নঃ রাধানগর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

২০. শহীদ সিপাহি মীর হোসেন,

ইউনিয়নঃ রাধানগর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

২১. শহীদ মমিনুল হক,

ইউনিয়নঃ ১০ নম্বর গোপালপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

সিলেটে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।

 

২২. শহীদ আনোয়ার হোসেন,

ইউনিয়ন: ১০ নম্বর

গোপালপুর,

থানা: ছাগলনাইয়া।

ভারত। ভারতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণকালে গ্রেনেড নিক্ষেপ করার সময় শহীদ হন ।
২৩. শহীদ মন্টু মিয়া, ইউনিয়ন: ১০ নম্বর গোপালপুর,

থানা:ছাগলনাইয়া।

লাশ পাওয়া যায়নি ৷ সিলেটে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।

 

২৪. শহীদ রুহুল আমিন ইউনিয়নঃ রাধানগর

থানা:ছাগলনাইয়া ।

জিনার বাজার মসজিদের পাশে। আগস্ট মাসে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন।
২৫. শহীদ আলী হোসেন,

ইউনিয়নঃ ১০ নম্বর গোপালপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

লাঙ্গাল মোড়া।

৭২৬২৯৯

৫ ডিসেম্বর ফেনী থানার ভূঁঞার হাট নামক পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর স্থানে রাজাকারের গুলিতে শহীদ হন ।

 

২৬. শহীদ আব্দুল ওয়াদুদ,

ইউনিয়নঃ ১০ নম্বর গোপালপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

দৌলতপুর।

৬৮৮৩০১

নভেম্বর মাসের শেষের দিকে গেরিলা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক তিনি ধৃত হন। পরে তাঁকে মুহুরী নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। বর্তমানে তাঁর কবর দৌলতপুর চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদের পাশে অবস্থিত ।
২৭. শহীদ ইলিয়াছ,

ইউনিয়নঃ ১০ নম্বর গোপালপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

দৌলতপুর।

৬৯৮২৯৫

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধড়া পড়েন। পরবর্তী সময় পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ফেনী ক্যাম্পে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে তিনি শহীদ হন ।
২৮. শহীদ দলিলের রহমান,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর গোপালপুর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

লাশ পাওয়া যায়নি। রেজু মিয়া ব্রিজের পাশে মুখোমুখি যুদ্ধে শহীদ হন ।
২৯. শহীদ আব্দুর রউফ,

ইউনিয়নঃ পাঠাননগর,

থানাঃ ছাগলনাইয়া।

কাতালিয়া কলিম উদ্দিন চৌধুরী বাড়ির সামনে।

৬২২৪৫৫

২০ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে শহীদ হন ।

 

৩০. শহীদ হাবিলদার এয়ার আহম্মদ, বীরবিক্রম,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর মুন্সী হাট,

থানাঃ ফুলগাজী।

পাইয়ারা বিডিআর ক্যাম্পের ৩০০ গজ দক্ষিণে এলাকাবাসীর অগণিত কবরস্থান পতিত অবস্থায় আছে। ইপিআর-এর একজন নিয়মিত ও কর্মরত সৈনিক হাবিলদার এয়ার আহম্মদ চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তান থেকে ছুটি নিয়ে আসেন। ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বি মুক্তিযুদ্ধে শুরু হয়। তিনি পাকিস্তানে গিয়ে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন।
৩১. শহীদ আইয়ুব আলী,

ইউনিয়ন ও থানাঃ ফুলগাজী।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়নি।

৫৫৪৫৬৬, ৭৯ এম/৮

সলিয়া গ্রামের সাহেববাড়ি মসজিদের পাশে পাকিস্তানি বাহিনীর জঙ্গি বিমানের শেলে শহীদ হন ।
৩২. শহীদ রবিউল হক,

ইউনিয়ন ও থানাঃ ফুলগাজী।

ফুলগাজী, মুন্সিরহাট।

৬০৬৪৮৭, ৭৯ এম/৮

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পাষাণনগরে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার সময় ভারী গোলার শেলে পেটের নাড়ি বের হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হন ।
৩৩. শহীদ সাহাব উদ্দিন মজুমদার,

ইউনিয়ন ও থানাঃ ফুলগাজী।

ফুলগাজী, মুন্সিরহাট।

৫৫৪৪৬৯, ৭৯ এম/৮

নোয়াপুর বিওপি রেইড করার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।
৩৪. শহীদ মোসলেহ উদ্দিন,

ইউনিয়ন ও থানাঃ ফুলগাজী।

সমাধি পাওয়া যায়নি। শালধর বিওপি ক্যাম্প আক্রমণ করার সময় মুখোমুখি যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ।
৩৫. শহীদ আবুল কাশেম,

ইউনিয়ন ও থানাঃ ফুলগাজী।

জানা যায়নি। ফুলগাজী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থান রেকি করার জন্য এলে হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ হন।
৩৬. শহীদ সিপাহি (এমটি) কাজী আনোয়ার উদ্দিন,

গ্রামঃ ফতেপুর,

ইউনিয়নঃ মুন্সীর হাট,

থানাঃ ফুলগাজী।

সমবেত কবরস্থানে মসজিদের উত্তর-পূর্বে কোনায় অবস্থিত।

৬২৯৫২৬, ৭৯ এম/৮

নভেম্বরের শেষ দিকে পাঠান নগরে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণ করার সময় প্রতিরক্ষায় শহীদ হন।
৩৭. শহীদ আবদুস

ছোবহান,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর সোনাগাজী,

থানাঃ সোনাগাজী।

 

মনগাজী বাজারের দক্ষিণ পাশে চৌবাড়ির সামনে পুকুরপাড়ি তিনি শহীদ হন।

৫৭৬২৯২, ৭৯ এন/৫

অক্টোবর মাসে সোনাগাজী থানা হাসপাতাল পাশে থেকে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সামনে | বিতাড়িত করার জন্য মুক্তিবাহিনীর সাথে তিনি | এক সম্মুখযুদ্ধ সংগঠিত হয়। এ যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা ও ৫জন রাজাকার নিহত হয় ।
৩৮. শহীদ আনার

আহম্মদ,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর সোনাগাজী,

থানাঃ সোনাগাজী।

সুজাপুর তাঁর নিজ বাড়িতে ( পুরাতন বাড়ি ) পূর্ব পাশের পুকুরপাড়ে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ২৮ জুলাই পাকিস্তানি বাহিনীর সোনাগাজী বাড়ির (পুরাতন থানা সোনাপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প আক্রমণ করলে শহীদ আনার অতি সাহসিকতার সাথে তাঁর সহপাঠীদের নিয়ে পরিচালনা করেন এবং এক পর্যায়ে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
৩৯. শহীদ নূরুল ইসলাম,

ইউনিয়নঃ নবাবপুর,

থানাঃ সোনাগাজী।

হাজীপুর জামে মসজিদের সামনে।

৬২২২৬৪, ৭৯ এন/৫

২৫ নভেম্বর মতিগঞ্জ সাবেক সিও, (উন্নয়ন) অফিসে অবস্থানরত পাকিস্তানি | বাহিনী উৎখাত করার জন্য এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ চলা অবস্থায় তিনি শহীদ হন।
৪০. শহীদ নূরুল করিম,

ইউনিয়নঃ নবাবপুর,

থানাঃ সোনাগাজী।

হাজীপুর জামে মসজিদের সামনে।

৬২২২৬৪, ৭৯ এন/৫

৪১. শহীদ সাহাব উদ্দিন,

ইউনিয়নঃ নবাবপুর,

থানাঃ সোনাগাজী।

হাজীপুর জামে মসজিদের সামনে।

৬২২২৬৪, ৭৯ এন/৫

১৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় মুক্তিযোদ্ধারা মতিগঞ্জে অবস্থিত পাকিস্তানি ক্যাম্প দখল করার জন্য হঠাৎ করে সে ক্যাম্পটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং ফায়ার শুরু প্রতি-উত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীও ফায়ার শুরু করে । হঠাৎ একটি গুলি এসে লাগে শহীদ সাহাব উদ্দিনের মাথায় এবং তিনি শহীদ হন।
৪২. শহীদ রুহুল আমিন,

ইউনিয়নঃ ৮ নম্বর আমিরাবাদ,

থানাঃ সোনাগাজী।

সোনাপুর বাদমতলী ৩ নম্বর সুইজ গেটই সংলগ্ন নদীর পশ্চিম পাড়ে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

৬৩৯২১২, ৭৯ এন/৫

আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানি বাহিনী হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করে । মুক্তিবাহিনীর প্রস্তুত হওয়ার পূর্বেই তারা তাদের তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ফায়ার করতে থাকে । একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। তারা তাঁকে ক্যাম্পের উত্তর পাশে সুইজ গেটে এনে গুলি করে হত্যা করে ।
৪৩. শহীদ নূরুল আফসার,

ইউনিয়নঃ ৭ নম্বর সোনাগাজী,

থানাঃ সোনাগাজী।

সোনাগাজী সদর হাসপাতালের পূর্ব পাশে।

৫৭২১৯৪, ৭৯ এম/৫

ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় সোনাগাজী থানার পূর্ব পাশে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে প্রচণ্ড গুলিবিনিময়ের সময় তিনি শহীদ হন ।
৪৪. শহীদ সফিউল্লাহ,

ইউনিয়নঃ ৯ নম্বর নবাবপুর,

থানাঃ সোনাগাজী।

ফতেহপুর গ্রামের কালিদাস পাহাড়ের খালের পাশে।

৬৫০২৭৭, ৭৯ এন/৫

আগস্ট মাসের শেষ দিকে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও বেড়িবাঁধের পাশে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।
৪৫. শহীদ বেলায়েত বেলায়েত হোসেন,

ইউনিয়নঃ ৪ নম্বর মতিগঞ্জ,

থানাঃ সোনাগাজী।

দুলাঝির বাড়ির পূর্ব পাড়ে বাঁশঝাড়ের পাশে দাফন করা হয়।

৫৭৯২৩৭, ৭৯ এন/৫

১৩ আগস্ট সোনাগাজী থানার ভাদাদিয়া মাদ্রাসার রাজাকারদের উৎখাত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ওই মাদ্রাসা আক্রমণ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা এ ক্যাম্পটি আক্রমণ করেছিলেন খুবই কৌশলগতভাবে। এ আক্রমণে রাজাকার আব্দুল মান্নানের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন শহীদ হন ।
৪৬. শহীদ আবুল কাশেম,

ইউনিয়নঃ মাতুভূঞা,

থানাঃ দাগনভূঞা।

নিজ বাড়ির উত্তর পাশে।

৫০৯২৯৬, ৭৯ এম/৫

৩০ মে পাকিস্তানি বাহিনী ভোররাতে শহীদ আবুল কাশেমের চাচা মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক শহীদ আবু বক্করের খোঁজে এসে তাঁর সহযোগী বলে তাঁকেও হত্যা করে ।
৪৭. শহীদ আব্দুল গফুর,

ইউনিয়নঃ ইয়াকুব,

থানাঃ দাগনভূঞা।

পারিবারিক কবরস্থান দেবরামপুর গ্রাম।

৪৬৫২২৬১, ৭৯ এন/৫

যুদ্ধের পূর্বে তিনি আনসারে চাকরি করতেন। যুদ্ধ শুরু হবার পর তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে এসে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অক্টোবর বাসায় পরিবারের সাথে দেখা করতে এলে তিনি রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন এবং নির্মমভাবে শহীদ হন ।
৪৮. শহীদ মেজর এম এ খালেক,

ইউনিয়ন ও থানাঃ দাগনভূঞা।

নিজ বাসা সংলগ্ন, গ্রাম গনিপুর।

৪৮০৩১১, ৭৯ এন/৫

 মৃত্যুর পূর্বে তিনি ময়মনামতি সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২৩ মার্চ তাকে ছুটি হতে সেনানিবাসে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় এবং ২৫ মার্চ সেনানিবাসের অন্যান্য বাঙালি অফিসারদের সাথে তাকেও হত্যা করা হয় ।
৪৯. শহীদ মফিজুর রহমান,

ইউনিয়ন ও থানাঃ দাগনভূঞা।

নিজ বাড়ির পূর্ব পাশে।

৪৬৯২৯৬, ৭৯ এন/৫

ভারত হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি ১৯ অক্টোবর দেশে পিরে আসেন এবং সেই দিনেই এক অপারেশনে যাওয়ার প্রাক্কালে রাজাকারদের হাতে ধৃত হন এবং তার পরের দিন সকাল ৮ টার সময় মাতুভূঁঞা ব্রিজের উপর তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়া হয় ।
৫০.শহীদ হাবিবুল্লাহ,

ইউনিয়ন: রামনগর,

থানা: পরশুরাম

লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর পূর্বে ইপিআর-এ চাকরিরত অবস্থায় পঞ্চগড়ে এক সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
৫১. শহীদ মোজাম্মেল হক (সাবধান মিয়া) (ইপিআর),

ইউনিয়ন: রামনগর,

থানা: পরশুরাম।

তিনি ইপিআর-এর সদস্য ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দিনাজপুর এলাকায় যুদ্ধ করার সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।
৫২. শহীদ রৌশন,

ইপিআর,

ইউনিয়ন ও থানা: পরশুরাম।

পরশুরাম থানার পুকুরের দক্ষিণে মাদ্রাসার উত্তর পাশে এলাকায় (মাদ্রাসাসংলগ্ন) মাদ্রাসা বিল্ডিং হতে ২-৩ হাত দূরে অবস্থিত ।

৬২১৬৩৯, ৭৯ এন/৫

৪ এপ্রিল বেলোনিয়া চেকপোস্টের ৩০০ গজ পশ্চিমে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।

 

৫৩. শহীদ আজিজুল

হক, ইপিআর,

ইউনিয়ন ও থানা: পরশুরাম।

৪ এপ্রিল বেলোনিয়া চেকপোস্টের ৩০০ গজ পশ্চিমে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ।
৫৪. শহীদ মোয়াজ্জেম

হোসেন, ইবি,

ইউনিয়ন ও থানা:

পরশুরাম

৫৫. শহীদ গোলাম

মোস্তফা,

ইউনিয়ন ও থানা:

পরশুরাম।

২১ নভেম্বর চিথলিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের সাথে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে একসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ।
৫৬. শহীদ ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা,

ইউনিয়ন: মির্জানগর,

থানা: পরশুরাম ।

 

নিজ কালী কাপুর মসজিদের উত্তর পাশে ফকিরের খিল পুকুরের পূর্ব-দক্ষিণ কর্নারে কবরটি অবস্থিত ।

৬১৩৬৭৩, ৭৯ এম/৫

বেলোনিয়ার চেকপোস্ট সংলগ্ন যুদ্ধের সময় গুলিতে আহত হয়ে বেলোনিয়ার হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসার পর তিনি শহীদ হন ।
৫৭. শহীদ রমজান

আলী,

ইউনিয়ন: মির্জানগর,

থানা: পরশুরাম।

বাংলাদেশও ভারতসংলগ্ন এলাকায় ডিএম সাহেবনগর এলাকায়। এটি গণকবর, যা ভারতের সাথে সংযুক্ত।

৫৯৪৬৭৮, ৭৯ এম/৮

২১ নভেম্বর ২ ও ৩ নম্বর সেক্টর সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সংঘটিত সম্মুখযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ।
৫৮. শহীদ সেকেন্দার আলী,

ইউনিয়নঃ চিথলিয়া,

থানাঃ পরশুরাম।

শহীদের নিজ বাড়িতে পুকুরের দক্ষিণ পাশে বাঁশঝাড়ের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

৬০১৬৪৩, ৭৯ এম/৮

৫ ডিসেম্বর ছাগলনাইয়া ও পাঠাননগর সংলগ্ন পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনী ১ ও ২নম্বর সেক্টরের আক্রমণের মুখে পড়ে এ যুদ্ধ চলাকালে হঠাৎ একটি গুলির আঘাতে শহীদ হন ।
৫৯. শহীদ মজল হক, ইউনিয়ন: চিথলিয়া,

থানা: পরশুরাম

শহীদের নিজ বাড়ির ৩০০ গজ দক্ষিণে কইয়া পুকুরের পূর্ব পার্শ্বে বাঁশঝাড়ের নীচে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

৬০০৬৪১, ৭৯ এম/৮

১ অক্টোবর অনন্তপুর ও কালিবাজার ও পরশুরাম সড়কের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা শহীদ হন ।
৬০. শহীদ আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনিয়ন ও থানা: মাতুভূঁঞা

 

শহীদের নিজ বাড়ির । ৫০৯২৯৬, ৭৯ এন/৫

 

৩০ মে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকাররা শেষ রাতে মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। রাইফেলের বেয়োনেট তাঁর গলা দিয়ে ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরবর্তী সময় আরও ১৫-২০ রাউন্ড গুলি করে তাঁর বুক ঝাঁঝরা করে দেয় ।
error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!