You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.25 | সোনাইমুড়ির অন্যান্য যুদ্ধ, নোয়াখালী - সংগ্রামের নোটবুক

সোনাইমুড়ির অন্যান্য যুদ্ধ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির কয়েকটি যুদ্ধে পাকবাহিনীর চরম বিপর্যয় তাদের ভাবিয়ে তোলে। পাকবাহিনী তাই সোনাইমুড়িতে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। এ সময় কিছু লোক হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, যাদের অনেকে স্বাধীনতা লাভের সন্ধিক্ষণে মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয়।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকবাহিনী গাড়ির একটি কনভয় নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সোনাইমুড়ি হয়ে কুমিল্লা যাওয়ার সময় মুক্তিবাহিনীর পাতা মাইন বিস্ফোরণে ৪/৫টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বহু সৈন্য হতাহত হয়। ফলে পাকবাহিনীর অন্যান্য গাড়ি আর সম্মুখে অগ্রসর হয় নি। ৪/৫ ঘন্টা বিরতিহীনভাবে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে পাকবাহিনী। গুলিতে রামপুর ভুঁইয়া বাড়ির শামসুল হক, গার্ডের স্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রনেতা এ. বি. এম নিজামুল হকের মা আনোয়ারা বেগম শহীদ হন।
সোনাইমুড়িতে সংঘটিত যুদ্ধগুলোর মধ্যে অন্যতম ঘটনা সাহাবজাদা পুল ধ্বংস। পাকিস্তানী মিলিশিয়া ও রাজাকাররা বাঙ্কারে অবস্থান নিয়ে এই রেল ব্রিজটি প্রহরায় নিয়োজিত থাকলেও সুবেদার লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে ৪ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল ৭০ রাউন্ড বিস্ফোরণ স্থাপন করে ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়, যার ফলে রেল যোগাযোগ বিনষ্ট হয়। তখন ১ জন পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়।
২৫ অক্টোবর সুবেদার লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ব্যাংক ভবনে মর্টার হামলা চালায়। এতে ৫ জন পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়। ১৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাহাবজাদা পুল এলাকায় পাহারাধীন পাকিস্তানী মিলিশিয়া ও রাজাকারদের ওপর হামলা চালায়। এ যুদ্ধে ১ জন পাকিস্তানী সেনা আহত এবং রাজাকার নিহত হয়।
[৭] মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত