সোনাকান্দা ডক ইয়ার্ড সংলগ্ন মাহমুদনগর অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
শান্তি কমিটির কনভেনার ছাহেব আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে গ্রামবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা। তাকে শায়েস্তা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন। আশাবউদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম মফিজ, আজিজুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক, বাবু, মোক্তাবেদ, মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ সালেক হাজীর চালের আড়ৎ মদনগঞ্জে অবস্থান নেন। সাহেব আলী ও তার সহযোগী রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান টের পেয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। এরপর ৬ নভেম্বর আবার আশাবউদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, মোজাম্মেল হক (আলীনগর), আমিনুল হক, আব্দুর রব, মোহন মিয়া মাহমুদনগর আব্দুল হামিদের বড় ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান নেন। ৭ নভেম্বর সকাল সোয়া ১১টায় তারা মাহমুদনগর সড়কের ওপর শান্তিকমিটির কনভেনার আলহাজ সাহেব আলীকে রাজাকার বেষ্টিত অবস্থায় অতর্কিত আক্রমণ করে হত্যা করেন। এই সময় রাজাকার কাশেম (মাহমুদনগর) মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলি ছুড়লে আশাবউদ্দীনের পায়ে গুলি লেগে মারাত্মকভাবে আহত হন। মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক নিজে রিকশা চালিয়ে আশাবউদ্দীনকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। ঐ দিন রাতেই এই অপারেশনের খবর ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হয়।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত