সাটুরিয়া থানা আক্রমণ-২, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে উত্তর-পূর্বে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর ও মির্জাপুর থানার সীমান্তে সাটুরিয়া থানা অবস্থিত। ১৯৭১ এর নভেম্বর মাসে মোঃ আবদুল বাতেন এবং দেলোয়ার হোসেন হারিছ তিন কোম্পানী মুক্তিযোদ্ধাসহ দৌলতপুর থানার কালিয়া বাজার স্কুলে অবস্থানরত ছিলেন। কমর উদ্দিন নামক সংবাদদাতার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন যে পাকবাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় সাটুরিয়া এলাকায় গণহত্যা চালাবে। তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রাম ও এলাকা চিহ্নিত করে ফেলেছে। এ সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ধলেশ্বরী নদী পার হয়ে দরগ্রাম কলেজে এসে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সাটুরিয়া থানার পাকসেনা ক্যাম্প আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। ২০ নভেম্বর রাত ১০টার সময় মুক্তিযোদ্ধারা সাটুরিয়া থানা আক্রমণ করে ও পাকসেনাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের ক্যাম্পকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে। সারারাত বিরামহীন সংঘর্ষ চলে এবং অবশেষে সাটুরিয়া পাকসেনাদের ক্যাম্প চূড়ান্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে। এ অপারেশনে ২১ নভেম্বর ভোর ছটায় চন্দ্রাখালি খালের উপর ব্রিজের কাছে পাকসেনাদের মেশিনগানের গুলিতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়ারত আলী শাহাদৎ-বরণ করেন।
[৫৯৪] তানজিলা তওহিদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত