সান্তানপাড়া গ্রামে অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ
১ নভেম্বর এ.কে.এম. আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের ঘোড়াশাল পূবালী মিলের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে সান্তানপাড়া গ্রামে পাকবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সাথে এক সংঘর্ষ হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতে পারেননি এমন আকস্মিকভাবে তারা পাকসেনাদের সামনে পড়বেন। হঠাৎ এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার জন্য দলকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন এ.কে.এম. আব্দুল আজিজ। প্রাণপণে যুদ্ধ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। শেষমেষ এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার এ.কে.এম আব্দুল আজিজ পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ২ নভেম্বর তাঁকে তেজগাঁও থানায় ও পরে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা, ঘাঁটির অবস্থান জানার জন্য পাক আর্মিরা তাঁর উপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। এত নির্যাতনের পরেও মুখ খোলেননি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৮ নভেম্বর রাত ৭-৩০ মিনিটে তাঁকে মুক্তি দেবে বলে পাকবাহিনীর মেজর মোস্তাক আহমদ এক জিপে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত