You dont have javascript enabled! Please enable it!

সলিমুল্লাহ, ব্রিগেডিয়ার
ইউনিট: ২০২ এডহক ব্রিগেড
রিয়াজ হোসেন জাভেদ, লে. কর্নেল (৩১ পাঞ্জাব, পিএ-৫০৭৪)
সরফরাজ খান মালিক, লে. কর্নেল (৩১ পাঞ্জাব, পিএ-৩৯৩২)
আব্দুল হামিদ, মেজর (৩১ পাঞ্জাব, পিএসএস-৮৩৯৪)
ইউনিট: ৩১ পাঞ্জাব
স্থান: সিলেট

অপরাধ: ২০২ ব্রিগেডের সদর দপ্তর ছিল সিলেটে। মাত্র একটি নিয়মিত পদাতিক ব্যাটেলিয়ান ৩১ পাঞ্জাব ছিল এর অধীনে। ২০২ ব্রিগেড কমান্ডার ও ৩১ পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ান কমান্ডার এবং তার অধীন সকল পাকিস্তানী অফিসার সিলেট অঞ্চলে সংঘটিত নৃশংস গণহত্যা, নির্যাতন, বন্দি, গুম, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত। সিলেট বিমান বন্দরের নিকটবর্তী মডেল স্কুলটিকে এই পাকসেনা ও তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের ন’মাস হত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্ৰ হিসাবে ব্যবহার করে। পার্শ্ববর্তী জঙ্গল ও স্কুল মাঠে মাটিচাপা দেয় অসংখ্য অসহায় নারী পুরুষ শিশুকে। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যুবতী মেয়েদের এখানে ধরে এনে তারা পাশবিক প্রবৃত্তি চরিতার্থ করে। পাহাড়ের ওপর অবস্থিত সিভিল সার্জনের বাংলোকেও তারা কসাইখানা হিসাবে ব্যবহার করে। এখানে এরা লাশগুলো পুঁতে ফেলত না বলে কিছুদিনের মধ্যেই দুর্বিষহ দুর্গন্ধে এ এলাকায় মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খাদিম নগর, আদিত্যপুর, বুরুঙ্গা, ভাটপাড়া-গালিমপুর, হরিকোনা, উমরপুর প্রভৃতি স্থানেও এরা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৭ ও ২৮ মার্চ শহরের নিম্বার্ক আশ্রমে হামলা চালিয়ে রাসবিহারী ধর, সুরতি ধর, নরেন্দ্র ধর, পাঁচু বাবু প্রমুখকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল ৩০ সদস্যের পাকসেনা দল হাওয়াপাড়াস্থ দিগেশ ঘোষের বাড়ির সবাইকে হত্যা করে এবং যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐ দিন শহর সংলগ্ন স্টার চা বাগানে প্রবেশ করে এরা রাজেন্দ্রলাল গুপ্তের পরিবারে সকল সদস্যসহ ৩৯ জন শ্রমিককে হত্যা করে। এসব গণহত্যা ও নির্যাতনের বিস্তারিত প্রমাণাদি প্রতিদিনই WCFFC-এর তদন্তে বেরিয়ে আসছে। খুব শীঘ্রই এদের অপরাধের পুঙ্খানুপুঙ্খ আরও বিবরণ আমরা প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করি।
৩৩ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের উপরোক্ত পাকি অফিসারদেরকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা. এম.এ. হাসান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!