শামস্-উল-জামান, লে. কর্নেল (২২ এফ এফ, পিএ-৪৭৪৫)
আব্দুল খালেক কায়ানী, মেজর (৬ পাঞ্জাব, পিএসএস-৮৫৪৭)
নাদির পারভেজ খান, মেজর (৬ পাঞ্জাব, পিএ-৬৭২৬)
এম ইয়াহিয়া হামিদ খান, মেজর (৬ পাঞ্জাব, পিএ-২৮১৮)
মোঃ জামিল, ক্যাপ্টেন (৬ পাঞ্জাব, পিএসএস – ১০২৮৭)
শওকত নওয়াজ খান, ক্যাপ্টেন (৬ পাঞ্জাব, পিএসএস-৯৫০৮)
গুলফারাজ খান আব্বাসী, ক্যাপ্টেন (২২ এফএফ, পিএসএস-৯৪৪০)
স্থান: খালিশপুর, খুলনা।
অপরাধ: নিউজপ্রিন্ট মিলসহ খালিশপুরের অন্যান্য চটকলগুলোতে বাঙালি শ্রমিকদেরকে এরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। রেডিওতে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলায় গরিব বাঙালি শ্রমিকদের অনেকেই পেটের দায়ে কাজে যোগ দেন। কিন্তু সেদিনই তাঁদেরকে গ্রেফতার করে একে একে হত্যা করে রূপসায় ভাসিয়ে দেয়া হয়। ক্রিসেন্ট জুট মিলের এক্সাইজ ইন্সপেক্টরকে হত্যা করে খণ্ড বিখণ্ড করে ঝুলিয়ে রাখা হয় নৌ কমান্ডার গুলজারিনের নির্দেশে। প্লাটিনাম জুট মিলের ৫৬ জন বাঙালি শ্রমিককে বস্তাবন্দি করে জ্বলন্ত বয়লারের মধ্যে নিক্ষেপ করে।
সাক্ষী: মোঃ হাদিস, কে-১৮ হাউজিং, পুরাতন কলোনি।
এ ছাড়া খুলনায় সংঘটিত অন্যান্য গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও ৬ পাঞ্জাব, ২৭ বেলুচ ও ২২ এফএফ জড়িত ছিল।
উপরোক্ত পাকি অফিসার ও তাদের সহযোগীদেরকে তাদের কৃত অপরাধের জন্য
অভিযুক্ত করা যায়।
[১৪] ডা. এম.এ. হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত