শায়েস্তাগঞ্জ-আখাউড়া রেলপথ আক্রমণ, হবিগঞ্জ
১৫ জুন একটি স্মরণীয় অপারেশন সংঘটিত হয় শায়েস্তাগঞ্জ-আখাউড়া রেলপথে। রেলপথ দিয়েই সিলেটসহ অন্যান্য স্থানে পাকবাহিনী সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা-নেয়া করত। সড়ক পথ ছিল বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের খাদ্য সরবরাহ হতো এ পথে৷ তাই ওরা মরিয়া হয়ে ওঠে যেকোনোভাবে রেলপথ এ সেকশনটি চালু রাখার জন্য। এ পরিবহন পথ মুক্তিবাহিনী কোনোভাবেই যেন ধ্বংস করতে না পারে সে জন্য তারা সমগ্র বাহিনী চুনারুঘাট থেকে প্রতিদিন গাজীপুর ও বাল্লা আসত। রাস্তাটির ইসালিয়া সেতুটি ধ্বংস করতে পারলে বাল্লা সীমান্ত পর্যন্ত পাকবাহিনীর যোগাযোগ বিঘ্নিত হবে। তাই সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে মুক্তিবাহিনীর ২১ সদস্যের একটি গ্রুপ ইপিআর সুবেদার সামছুল হুদার নেতৃত্বে ইসালিয়া অভিমুখে রওনা হয়। সহঅধিনায়ক ছিলেন ফয়সল আহমদ চৌধুরী ও সুবেদার এস এম চৌধুরী। শক্তিশালী ডিনামাইট দিয়ে রাত দুটোর সময় সেতুটি ধ্বংস করে। ডিনামাইট দিয়ে সেতুটি ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আব্দুল লতিফ, আবদুর রহমান, আব্দুল লতিফ (২), কাজী গোলাম মরতুজ, আবুল হোসেন, মানিক মিয়া, আবদুল মালিক প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা।
[৬৩] মাহফুজুর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত