You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তি

মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের সংক্ষিপ্তাকারে ‘মুক্তি’ বলা হতো। গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত মানুষদের কাছে ১৯৭১ সালে এই শব্দ ছিল অতি-পরিচিত। মুক্তি বাহিনী বা মুক্তিযোদ্ধা না বলে তারা তাদের কাছে চিহ্নিত হতো মুক্তি হিসেবে। এই মুক্তিরা ছিল পাকিস্তানী হানাদার সৈন্যদের নির্মম অত্যাচার থেকে স্বাধীনতাকামী মানুষকে বাঁচাতে মুক্তির দূত স্বরূপ। রাইফেল, গ্রেনেড ও বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে মুক্তি বাহিনীর যোদ্ধারা অবলীলায় সাধারণের সাথে মিশে যেতো। গ্রামের কৃষক পরিবার তাদের আশ্রয় দিতো, খাবার জোগাতো। এর ফলেই মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে একটি শক্তিশালী সংঘবদ্ধ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হয়েছিল।
হারুন হাবীব

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!