মির্জাপুর থানা দখল, টাঙ্গাইল
১৯ নভেম্বর আজাদ কামালের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা মির্জাপুর থানা ঘেরাও করে আক্রমণ পরিচালনা করে। দীর্ঘ সময় গোলাগুলি চালিয়েও শত্রু সেনাদের পর্যুদস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এই সময় কোম্পানী কমান্ডার আব্দুস সবুর খানের নেতৃত্বে আরও তিনশত মুক্তিযোদ্ধা ও কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক জনতা সহযোগিতা করতে থাকে। তবুও শত্রু সেনারা সারেন্ডার না করায় সবুর খান অভিনব বুদ্ধি ও কৌশল অবলম্বন করেন। আশে পাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭টি পাওয়ার পাম্প ও পাইপ সংগ্রহ করে। মির্জাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল হতে পানি তুলে খান সেনাদের বাংকারে অবিরাম বর্ষণ করা হয়। সে সময় শীতের প্রকোপ ছিল। পানিতে সয়লাব হয়ে যায় শত্রুর অবস্থান। হানাদারদের পক্ষে ছয় ঘণ্টা টিকে থাকা সম্ভব হয় না। ১২ জন খান সেনা ও ৭০ জন রাজাকার অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করে।
[৬২২] কে. এম. আবদুস সালাম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত