মিয়ার বাজার যুদ্ধ-৩, কুমিল্লা
পাকসেনারা অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মিয়ার বাজারের কাছে তাদের একটি ঘাঁটি স্থাপন করে। আগস্ট মাসে এই অবস্থান থেকে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। পুনরায় এই ঘাঁটি স্থাপন করায় মুক্তিবাহিনী বুঝতে পারে যে, পাকসেনারা চট্টগ্রাম-কুমিল্লার সড়ক পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য প্রথম অবস্থাতেই মিয়ার বাজারে শত্রু ঘাঁটিটি ধ্বংস করার জন্য ক্যাপ্টেন মাহবুব একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৭ অক্টোবর রাত ৭টায় মুক্তিবাহিনীর একটি কোম্পানি পাকসেনাদের ঘাঁটি রেইড করার উদ্দেশ্যে তাদের নিজেদের বেইস থেকে রওনা দেয়। রাত প্রায় ১১টায় মিটার বাজারের উপর মুক্তিবাহিনীর সৈন্যরা আক্রমণ চালায়। এই আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ২ ঘণ্টা যুদ্ধের পর ২১ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়। পাকসেনাদের নিহত ও আহত সৈনিকদের পরের দিন গাড়িতে করে কুমিল্লার দিকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। মুক্তিবাহিনীর দলটি রাস্তায় ফিরে এসে পাকসেনাদের ঘাঁটির কিছু দূরে সেই রাস্তার উপর মাইন এর সাহায্যে বুবী ট্র্যাপ লাগিয়ে আসে। পরদিন সকালে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল সেই রাস্তার খবরাখবর নেয়ার জন্য অগ্রসর হবার পথে বুবী ট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে যায় এবং মাইন বিস্ফোরণের ফলে ১৬ জন সেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত