মিরপুর-মাধবপুর অভিযান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পাশেই অবস্থিত মিরপুর-মাধবপুর গ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অপারেশন এই এলাকায় করা হয়। বিশেষত কালামুড়িয়া ব্রিজ ধ্বংস ও তার পরবর্তীতে রাস্তায় অ্যাম্বুশ পরিচালনা ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল থানায় মুক্তিযুদ্ধের সময় শত্রু প্রধান সড়ক পথের প্রায় সবকটি ব্রিজ-কালভাট স্থানীয় রাজাকারদের সাহায্যে পাহারা দেবার ব্যবস্থা করেছিল। বড় বড় ব্রিজগুলোতে ইপিসিএএফ এবং রাজাকারদের সমন্বয়ে পাহারার ব্যবস্থা করে। কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে কালামুড়িয়া ব্রিজটিতে সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার বোরহান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল রাজাকার দিবারাত্রি পাহারারত ছিল। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধারাও কালামুড়িয়া ব্রিজ ধ্বংস করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, কারণ তাহলে প্রধান রাস্তা পাকিস্তানীদের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মুক্তিবাহিনী কালামুড়িয়া ব্রিজ ধ্বংসের পরিকল্পনা করে। হাবিলদার বোরহান উল্লাহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। সে কারণে ঐ রাস্তা দিয়ে মুক্তিবাহিনী বা শরণার্থীদের যাতায়াতে কোনো প্রকার বাধা দিতেন না। মুক্তিবাহিনী কর্তৃক কালামুড়িয়া ব্রিজটা উড়িয়ে দেবার ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হলে তিনি তাতে সম্মতি দেন। ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সি কোম্পানির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন গাফফার এ কাজের দায়িত্ব দেন সুবেদার (ইপিআর) গোলাম আম্বিয়াকে। ২৪ আগস্ট রাত ১২ টায় অপারেশনটি পরিচালনার দিন ও ক্ষণ হিসেবে নির্ধারিত হয়। অপারেশনটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সি কোম্পানি থেকে একটি অ্যাম্বুশ পার্টি পাঠানো হয় কালামুড়িয়া ব্রিজের উত্তর পাশে। উদ্দেশ্য ডেমোনিশনের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত উত্তর দিক থেকে শত্রুর কোনো যানবাহন যাতে না আসতে পারে। আরেকটি অ্যাম্বুশ পার্টি পাঠানো হয় কালামুড়িয়া ব্রিজের প্রায় দেড়মাইল দক্ষিণে। যাতে শত্রুর কোনো যানবাহন অপারেশন চলাকালীন সময়ে ঐ দিক থেকে না আসতে পারে। এ দুটি অ্যাম্বুশপার্টি ছাড়া সি কোম্পানির একটি শক্তিশালী দলকে পাকিস্তানীদের শালদানদী প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে গোলাগুলি নিক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর সুবেদার আম্বিয়া তার ডেমোনিশন পার্টি নিয়ে কালামুড়িয়া ব্রিজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। অ্যাম্বুশ পার্টিগুলোও নিজ নিজ গন্ত ব্যস্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে সুবেদার আম্বিয়া কালামুড়িয়া ব্রিজ অবস্থানে পৌঁছে ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেন। পাহারারত ১৮ জন রাজাকার পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্ত্রশস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। আনুমানিক রাত বারটার দিকে ডেমোনিশন পার্টি এক্সপ্লোসিভ লাগিয়ে ব্রিজটি ধ্বংস করে দেয়। ৭ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার ওহাবের প্লাটুনটি কালামুড়িয়া ব্রিজ ডেমোনিশনের সময় শত্রুর শালদা নদী অবস্থানে গোলাগুলি নিক্ষেপে নিয়োজিত ছিল। ব্রিজটি ধ্বংস করার শব্দ পেয়ে তিনি তার প্লাটুন নিয়ে অন্যান্যদের সাথে মন্দভাগ রেলস্টেশন এলাকায় চলে আসেন। ইতোমধ্যে অ্যাম্বুশ পার্টির লোকেরাও কোনাবনে ফিরে আসে। এদিকে সুবেদার আম্বিয়া আত্মসমর্পণকারী ১৮ জন রাজাকারকে সাথে নিয়ে কোনাবন ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন গাফফারের কাছে রিপোর্ট করেন। এ সকল রাজাকারদের ঐদিন থেকেই মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মন্দভাগ পৌঁছেই সুবেদার ওহাব পরদিন কালামুড়িয়া ব্রিজ এলাকায় তার প্লাটুন নিয়ে অ্যাম্বুশ স্থাপনের অভিপ্রায় জানিয়ে ক্যাপ্টেন গাফফারের অনুমতি চান। কারণ হিসেবে সুবেদার ওহাব জানান যে কালামুড়িয়া ব্রিজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ডেমোনেশনের সংবাদ পেয়ে ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানী সেনা- কর্মকর্তারা অবশ্যই ব্রিজ অবস্থানের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য আসতে পারেন। ক্যাপ্টেন গাফফার সুবেদার ওহাবকে অ্যাম্বুশ অপারেশনে যাবার অনুমতি দিলেও মর্টার দুটি নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। অনুমতি পেয়েই সুবেদার ওহাব ঐ রাতেই তার প্লাটুনের সকল সদস্যকে ভোরে অ্যাম্বুশ অপারেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন বলে জানিয়ে দেন। ২৫ আগস্ট ভোরবেলা বেরিয়ে পড়লেন সুবেদার ওহাব তার প্লাটুন নিয়ে। চারদিকে পানি। নৌকাই একমাত্র ভরসা। ৪০/৫০ জনের দল। লুঙ্গি-গেঞ্জি পরনে। যেন সাধারণ গ্রামবাসী। তারা শালদা নদী এলাকা থেকে চাড়রা, ঝিকুরা শাইটগুলা হয়ে পৌঁছলেন মাধবপুর গ্রামে। স্থানীয় লোকজন জানাল পাকিস্তানীদের একটি পতাকাবাহী জিপ আর দুটি মাঝারি আকারের গাড়ি ইতোমধ্যে কুমিল্লার দিক থেকে কালামুড়িয়া ব্রীজের দিকে চলে গেছে। সুবেদার ওহাবের বুঝতে অসুবিধা হলো না যে পতাকাবাহী জিপটিতে অবশ্যই পাকিস্তানী কয়েকজন ঊর্ধ্বতন অফিসার রয়েছে। এরা অবশ্যই দিনেরবেলাতে কুমিল্লা সেনানিবাসে ফিরে যাবে। শত্রু হননের এ এক সুযোগ। কালক্ষেপণ না করে সুবেদার ওহাব রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে উত্তর দিকে মুখ করে অ্যাম্বুশ স্থাপন করলেন। সর্ব দক্ষিণের পুকুর পাড়ের ঝোপ-ঝাড়ের অবস্থানে এলএমজিসহ পাঠালেন নায়েক তাহেরকে, উত্তরে নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়ার দলকে। নিজে একটি এলএমজিসহ অবস্থান নিলেন রাস্তার পাশে মাটির দেয়ালের একটি কুড়ে ঘড়ের আড়ালে। অ্যাম্বুশ এলাকায় ছিল ছোট দুটি কালভার্ট। কালভার্ট দুটি পাহারা দিচ্ছিল রাজাকাররা। সুবেদার ওহাবের অবস্থান থেকে পাকা সড়কের দূরত্ব ছিল বড়জোর ১৫ গজ। রাজাকারেরা মুক্তিবাহিনীর ঐ এলাকায় আগমন সমন্ধে কিছুই টের পেল না। খুবই সতর্কতার সাথে একটি এলএমজিসহ একটি দলকে নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়া আরো কিছুটা দূরত্বে উত্তরে গিয়ে অবস্থান নিতে বললেন। উদ্দেশ্য শত্রুর বেশি সংখ্যক যানবাহন আসে তার সবগুলোই যাতে অ্যাম্বুশ এলাকায় পড়ে যায়। টহলরত রাজাকারদের নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়া এই বলে হুমকি দেন যে, তারা যদি পাকিস্তানীদের কোনো প্রকার ইঙ্গিত প্রদান করে তাহলে প্রাণে মারা পড়বে। অন্যথায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এসময় দক্ষিণ দিক থেকে জানালা বন্ধ ৩টি সিভিল বাসকে আসতে দেখা গেল। একজন বৃদ্ধ রাজাকার বাসগুলো থামিয়ে পেছনে ফিরে যেতে সংকেত দিল। জিজ্ঞেস করতে সে জানায় ওগুলো সিভিল বাস। বাস তিনটির পেছনেই ছিল কয়েকটি সেনা ট্রাক। বৃদ্ধ রাজাকারটি ঐগুলোকে থামিয়ে দেয়। সেনা ট্রাক দেখে বৃদ্ধ রাজাকারের সাহস বেড়ে যায়। সে বাসগুলোকে ব্যাক গিয়ারে পেছনে যেতে নির্দেশ করে। এই সময় সিভিল বাস তিনটি থেকে দ্রুত বেগে পাকসেনা সদস্যদেরকে বেরিয়ে এসে রাস্তার আড়ালে অবস্থান নিতে দেখা গেল। দুপুর ২ টার দিকে নায়েব আবু তাহের সুবেদার ওহাবের কাছে গুলি ছোঁড়ার অনুমতি চান। সুবেদার ওহাব তাতে সম্মতি দেন। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দুপক্ষের ব্যাপক গুলি বিনিময়। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকাটি একটি যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়। সুবেদার ওহাবের অ্যাম্বুশ পার্টি রাস্তার পূর্ব পাশে অবস্থান নেবার কারণে পাকবাহিনীকে রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থান নিতে হয়। রাস্তার পশ্চিম পাশে ছিল খোলা মাঠ। রাস্তার আড়াল ছাড়া অবস্থান নেবার মতো কোনো উপযুক্ত জায়গা ছিল না। শত্রু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অ্যাম্বুশ পার্টির সকলের নজর যখন দক্ষিণ দিকে ঠিক সেসময় উত্তর দিক থেকে একটি পতাকাবাহী জিপ সুবেদার ওহাবের অবস্থান অতিক্রম করে দ্রুত বেগে চলে গেল। তৎক্ষণাত সুবেদার ওহাব পতাকাবাহী জিপ ও ডজ গাড়ি দুটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেন। কিন্তু সেফটি ক্যাচ বন্ধ থাকায় গুলি নিক্ষেপে ব্যর্থ হন। জিপটি রাস্তার পাশ ধরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেল। দক্ষিণে নায়েক তাহেরসহ যাদের অবস্থান ছিল তারা শত্রুর বাস-ট্রাক ও রাস্তার আড়ালে অবস্থানকারী পাকিস্তানী বাহিনী লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছিল। তারাও সময়মতো পতাকাবাহী জিপটিকে লক্ষ্য করে কার্যকরভাবে গুলি ছুড়তে ব্যর্থ হলো। কয়েকটি গুলি জিপটিকে বিদ্ধ করে চলে গেল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, ঐ জিপটির ড্রাইভার ছিল কুমিল্লা শাসনগাছার হক মটর ওয়ার্কশপের মালিক আব্দুল হক৷ ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফি দূরের কোনো প্রতিরক্ষা অবস্থানে যেতে হলে আব্দুল হককে নিয়ে যেতেন। আব্দুল হক ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফির খুবই প্রিয়পাত্র ছিল এবং বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি ছিল। আব্দুল হক একজন দক্ষ মেকানিকও ছিল। রাস্তাঘাটে গাড়ির কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সাথে সাথে তিনি তা ঠিক করে ফেলতে পারতেন। সে কারণেও আব্দুল হকের ওপর ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। আব্দুল হক এই সুযোগ নিয়েই মাঝে মাঝে কোনাবনে গিয়ে শত্রু সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে আসতেন এবং ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফিকে মুক্তিবাহিনীর তথ্য দিত। ব্যাপক গুলিবর্ষণের কারণে ডজ গাড়ি দুটি অচল হয়ে থেমে গিয়েছিল। আরোহীদের অনেকেই হতাহত হয়। গাড়ি দুটিতে যারা জীবিত ছিল তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ছাত্র মোজাম্মেল এগিয়ে যায়। ওদিকে নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়া উচ্চস্বরে সারেন্ডার বলে শত্রু সৈন্যদেরকে অস্ত্র নিচে ফেলে দিতে নির্দেশ দেন। রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে একজন নায়েক আত্মসমর্পণের ভান করে এসএমজি উঁচু করে পাকা সড়কের ওপর উঠেই সুবেদার মঙ্গল মিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দ্রুত গতিতে রাস্তার পশ্চিমে আড়াল নেয়। মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল আগের থেকেই তার স্টেনগানটি তাক করে রেখেছিল। নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়া অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল। আবার জীবিত পাকিস্ত ানীদের আত্মসমর্পণের কড়া নির্দেশ দিলেন সুবেদার ওহাব। এ সময় বেলুচ রেজিমেন্টের একজন নায়েক অস্ত্র তুলে আত্মসমর্পণের জন্য সড়কে উঠে আসে। নির্দেশমতো অস্ত্র ফেলে সুবেদার ওহাবের অবস্থানের দিকে আসে। এর পরপরই আরেকজন সিপাহী অস্ত্র রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে এগিয়ে আসে। উক্ত নায়েকটি নিরুপায় হয়ে অস্ত্র রাস্তার ওপরে ফেলে দিয়ে আসে। এদের তিনজনকেই ত্বরিৎ বেঁধে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। মোজাম্মেল অস্ত্রগুলো কুড়িয়ে সুবেদার ওহাবের নিকট নিয়ে আসেন। ডজ গাড়ি দুটিতে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়। ওদিকে দক্ষিণে পর্যাপ্ত আড়াল না পাবার কারণে সড়ক পথটিকে আড়াল করে শত্রু সৈন্যরা বুকে হেঁটে অনেকদূর পেছনে চলে গিয়েছিল। অ্যাম্বুশ পার্টির গুলির আঘাতে ঐদিকে শত্রুর হতাহতের সংখ্যা ছিল অনেক। ফিল্ড অব ফায়ার পরিষ্কার থাকার কারণে অ্যাম্বুশ পার্টির সদস্যরা দেখে দেখে শত্রু সৈন্যদেরকে গুলি নিক্ষেপ করতে সক্ষম হয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফির জিপের ওয়ারলেসসেটের মাধ্যমে কসবা ও কোম্পানিগঞ্জ অবস্থানে সংবাদ দিলে শত্রু পেছন থেকে এসে সুবেদার ওহাবের দলকে ঘেরাও করে ফেলতে পারে। এই আশঙ্কায় বেশিক্ষণ না থেকে সুবেদার ওহাব সিগন্যাল পিস্তল থেকে ছোড়া ভেরি লাইটের মাধ্যমে সকলকে অবস্থান ছেড়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার সংকেত দিলেন। গ্রামের পূর্বদিকে ঝোপ- ঝাড়ের আড়ালে নৌকাগুলো লুকানো ছিল। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয়। সুবেদার ওহাব তার বাহিনী নিয়ে কোনাবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সাথে তিনজন বন্দি পাকসেনা। এ অভিযানে কালামুড়িয়া ব্রিজ ধ্বংস হয় এবং পাকিস্তানীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়। তাছাড়া তিনজন পাকসেনা বন্দি হয়। শত্রুপক্ষের হতাহতের সংখ্যা আনুমানিক ৪০ জনের মত ছিল।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত