You dont have javascript enabled! Please enable it!

মানিকনগর যুদ্ধ -২, মেহেরপুর

বাগোয়ান সেগুন বাগানের মধ্যে পাকসেনাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখে ২০ জুলাই দুপুরে একজন কৃষক তার গরু মোষ তাড়াতে তাড়াতে এসে মুজিবনগর এলাকায় টহলরত মুক্তিযোদ্ধাদের খবর দেয়। মতিন পাটোয়ারী, আল আমিন, সোনা, মফিজুল, রনি, বরকত-অস্ত্র কাঁধে খুঁজে যায় বল্লভপুর-বাগোয়ান রাস্তার দক্ষিণে। সুবিধামতো অবস্থান থেকে একযোগে গুলিবর্ষণ করে ২ জন পাকসেনাকে খতম করতে সক্ষম হয়। মাত্র ১৫/২০ মিনিট স্থায়ী এই যুদ্ধশেষে ফিরে আসতেই হাবিলদার আব্দুর রউফের কাছে খবর পাবার পর এই দলকেই আবার মানিকনগরে পাকসৈন্যদের সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হয়। এ সময় কমরুদ্দীনের গেরিলাবাহিনী ও যোগ দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী এ যুদ্ধে কমপক্ষে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয় বলে জানা যায়। এই দিন গাংনী থানার সাহারাবাটির দক্ষিণে একটি এ্যান্টি ট্যাংকমাইন বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর জিপ উড়ে যায়। দুজন পাকসেনা নিহত হয়।
এই মাইনটি স্থাপন করেছিল সাহারবাটির ভাষানী ন্যাপের কর্মী গোলাম মোস্তফা, রমহান আলী, মোজাম্মেল হক প্রমুখ। এরা মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং না নিয়েও দেশের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা ধরনের কাজ করছিল।
(১০৩) রফিকুর রশীদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!