You dont have javascript enabled! Please enable it!

মংলা সমুদ্রবন্দর অভিযান, মংলা, বাগেরহাট

পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডো অপারেশন এক গৌরবোজ্জ্বল অনন্য অধ্যায় রচনা করেছে। ১৫ আগস্ট থেকে বিজয় অর্জন পর্যন্ত একের পর এক দুর্বার কমান্ডো হামলায় পাকিস্তানের নৌবাহিনী সন্ত্রস্ত হয়ে উঠে। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিরাজ করছে বহিঃবিশ্বে পাকিস্তানের এই প্রচার প্রসার ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়। নৌ-কমান্ডোদের এই সাফল্যের কথা বিশ্বের প্রচার মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হওয়ায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলও বৃদ্ধি পায়। অপারেশন জ্যাকপটের পরিকল্পনায় মংলা বন্দরে অপারেশন করার জন্য সাবমেরিনার আহসান উল্লাহ বীর প্রতীকের ৬০ জন কমান্ডোর আরও একটি দল পাঠানো হয়। ৪ আগস্টে তারা কলকাতায় ব্যারাকপুর সেনানিবাসে এসে পৌঁছান। কমান্ডোরা রাত্রে আহার সমাপ্তির পর কড়া নিরাপত্তার মাঝে তাঁদের যমুনার তীরে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দরে অপেক্ষমান জাহাজ দেখিয়ে স্পষ্ট একটি ধারণা তৈরী করতে। জাহাজে ইঞ্জিনের অবস্থান মালামাল কোথায় থাকে, শত্রু সৈন্যরা কোথায় কোথায় থাকতে পারে এইসব সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা নিয়ে তারা ফিরে আসেন। ৫ আগস্ট সকালে তারা ডায়মন্ড হারবারের কাছাকাছি ক্যানিং এ পৌছেন। এখান থেকে ৫টি দেশি নৌকায় বিশাল বিশাল নদী অতিক্রম করে পরদিন বিকালে সীমান্তে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাঘাটি কৈখালীতে পৌঁছান। এখানে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল, জি, মার্টিস, বীরচক্র, লেঃ কপিল নৌ-কমান্ডোদের বিদায় দেন। ৬০ জন কমান্ডোকে ৪টি দলে ভাগ করে ৪ জন উপদলনেতার অধীনে পরিচালনার ভার দেওয়া হয়। চারজন উপদলনেতা হলেন শেখ মহসীন আলী, খলিলুর রহমান, মজিবুর রহমান এবং হুমায়ুন কবির। পথ প্রদর্শক ছিলেন পাথরঘাটার রইজ উদ্দিন মাঝি। দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মেজর জিয়াউদ্দিন ও হাবিলদার খিজির আলী বীর বিক্রম। ৬ আগস্ট কৈখালী থেকে নৌকমান্ডোদের নৌকাতে যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সাতদিনের খাদ্য সামগ্রী তুলে নিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় কমান্ডোরা মংলা বন্দরাভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অজানা অচেনা নদীতে সাথে রাখা সামরিক ম্যাপের চিহ্নিত পথ ধরে সাবধানতা অবলম্বন করে অগ্রাভিযান অব্যাহত থাকে। যাত্রাপথ দূর্গম হলেও বনের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য কমান্ডোদের বিমোহিত করে। কমান্ডোরা সার্বক্ষণিক দুরু দুরু বুকে হালে পানি ছলাৎ ছলাৎ শব্দে জঙ্গলের নিস্তব্ধতাকে ভেঙ্গে নদীর এক এক বাঁক পাড়ি দিচ্ছেন। সম্মুখে সতর্ক দৃষ্টি। যে কোনো মুহূর্তে লুকানো শত্রুর গানবোট থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি এসে তাদের সকল ইচ্ছার সমাপ্তি ঘটাতে পারে। ১৩ আগস্ট বিকালে কমাণ্ডো দল মংলার অদূরবর্তী সূতারখালী গ্রামে এসে তারা অস্থায়ীভাবে ঘাটি তৈরি করেন পরিত্যক্ত সম্ভ্রান্ত মাঝি বাড়িতে। মার্চ মাসের পূর্বে মংলা বন্দর এবং এর পার্শ্ববর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো ঘাঁটি ছিলনা। এমনকি বন্দরের সন্নিকটে কোনো থানাও ছিল না। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোট বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করত। সে সময় মংলা বন্দর কিংবা পার্শ্ববর্তীতে কোনো নৌঘাটিও ছিল না। তাদের নৈমিত্তিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য নিয়মিত খুলনাস্থ নৌঘাটিতে ফিরে আসতে হতো, এমনকি পানীয় জলের জন্যও। মার্চ মাসের পর থেকে পাকিস্তান নৌবাহিনী মংলা বন্দর এবং উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা সংগঠিত করে। বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অনেকগুলি গানবোট বন্দরে অবস্থান নিয়ে থাকে। পরে অনেকগুলি বেসরকারি নৌযানকে অধিগ্রহণ করে সেগুলোকে ২০ মিঃমিঃ কামান এবং ৫০ ব্রাউনিং মেশিনগান বসিয়ে যুদ্ধের উপযোগী করে তোলে। ৭১ সালের মার্চে পাকিস্তান নৌবাহিনীর মাত্র ৫টি গানবোট বাংলাদেশে ছিল। এর মাঝে একমাত্র পি এন এস যশোর, খুলনা নৌঘাটিতে অবস্থান করত। এর সাথে ছিল নৌবাহিনীর অনেকগুলি টহল মেরিন ক্রাফট। এপ্রিলের মাঝামাঝি মংলা বন্দরে হালকা অস্ত্র সজ্জিত একটি গ্যারিসন কোম্পানী এবং এক কোম্পানী EPCEAF নিয়োজিত করা হয়। পি এন এস যশোর ছাড়া আরও তিনটি বৃহদাকারের নৌযানকে খুলনা শিপ ইয়ার্ডের মাধ্যমে কাঠামোগত কিছু রূপান্তর করে পূর্ণাঙ্গ গানবোট হিসাবে প্রশস্ত করা হয়। এর সাথে বন্দরে দু’টি পঁচিশ পাউন্ডের কামান স্থাপন করা হয়। শক্তি বৃদ্ধির জন্য এর সাথে থানা পুলিশ, মিলিশিয়া এবং স্থানীয়ভাবে রাজাকার ও আল-বদর নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৫ আগস্ট সকালে দলনেতা আহসান উল্লাহ বীর প্রতীক রেডিও অন করে নির্ধারত গান শুনার জন্য উৎকণ্ঠার সাথেই রেডিও তে কান পেতে থাকেন। ৭-৩০ মিনিটে শুনতে পেলেন কাঙ্খিত গান “আমার পুতুল আজকে যাবে প্রথম শ্বশুর বাড়ি”। দলনেতা সকল কমান্ডোকে একত্রিত করে সর্বশেষ নির্দেশের কথা জানিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতে শপথ করালেন, “আমরা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে কার্পণ্য করব না। বাঙ্গালি যুবক যারা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে এখানে একত্রিত হয়েছি সকলে একই মায়ের সন্তান, কেউ কারো সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। শত্রুভয়ে ভীত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকব না। যুদ্ধ শেষে হয়তো সবাইকে আমাদের মাঝে দেখা যাবে না কিন্তু শপথ করছি কারো মৃত্যু ঘটলে আমরা আদর্শচ্যুত হব না”। চারিদিকে কড়া নিরাপত্তা তৈরি করে নৌকা থেকে লিমপেট মাইন, ফিন্‌স, ড্যাগার এক্সপ্লোসিভ অস্থায়ী আশ্রয় বাড়িটিতে নামিয়ে দলনেতা এবং কমান্ডো মজিবর, মহসীন, খলিল, ইমদাদ ও ইমামবারি মিলে প্রত্যেকটি মাইনে ডেটনেটরাইজড করে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করেন। সন্ধ্যায় আহার সেরে নিজ নিজ যুদ্ধাস্ত্র গুছিয়ে নিয়ে গায়ে প্রচুর সরিষার তেল মেখে যুদ্ধ যাত্রার জন্য অপেক্ষায় রইলেন। স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে দলটির মংলা বন্দরে পৌঁছতে ৪-৩০ মিনিট বেজে যায়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের দেখে গ্রামবাসী দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। গেরিলা দলের যোদ্ধা আফজাল ও আনোয়ার তাদের বুঝিয়ে যার যার ঘরে ফেরৎ পাঠান। সাথে সাথে কমান্ডোরা প্রস্তুত হয়ে গ্রুপসহ সন্তর্পণে নদীতে নেমে নির্দিষ্ট জাহাজের দিকে সাঁতরে এগুতে থাকেন। অপরতীরে বন্দরের মসজিদ থেকে সে সময় ফজর নামাজের আযানের ধ্বনি ভেসে আসে। চারদিকে ফর্সা হয়ে উঠেছে। দলনেতা সাবমেরিনার আহসান উল্লাহ বীর প্রতীক কেবল নিকটের ৬ টি জাহাজে মাইন লাগানোর নির্দেশ দিলেন। তিনি নিজেও মাইন স্থাপন করতে কমান্ডোদের সাথে পশুর নদীতে নেমে পড়েন। তখন নদীতে প্রবল স্রোত, চারিদিকে উজ্জ্বল আলো। অনবরত গানবোটের টহল, সার্চ লাইটের আলো থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য প্রত্যেকে মুখের উপর কচুরিপানা ধরে জাহাজের দিকে এগুতে থাকেন। কিন্তু এমন প্রতিকূল পরিবেশ কমান্ডো দলকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিক্ষিপ্তভাবেই সবাই মাইন স্থাপন করে জোয়ারে গা ভাসিয়ে দ্রুত কূলে ফেরার জন্য প্রাণপণে সাঁতরাতে থাকেন। এর মাঝে শত্রু গানবোট তীব্র আলো ফেলে কমান্ডোদের উপর দিয়ে টহল দিয়ে চলে গেছে কিন্তু নিপুণ প্রশিক্ষণ কমান্ডোদের আত্মরক্ষায় সাহায্য করে। ডুব দিয়ে নিজেকে লুকিয়ে তারা গানবোট অতিক্রম করে তীরে চলে আসেন। এ অভিযানে সমুদ্রগামী ৬টি জাহাজ সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে যায়। এছাড়া SS Lightining নামের বৃহৎ আকারে মার্কিন জাহাজ পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে পাকবাহিনীর সমরাস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বহন করে মংলা বন্দরে এসেছিল। এই জাহাজে ছিল প্রায় ২০ হাজার টন যুদ্ধাস্ত্র গম ও খাদ্য সামগ্রীর নিচে লুকানো ছিল। মাইনের আঘাতে যুদ্ধাস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রীর প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়। পশুর নদীর বিশাল ঢেউগুলোকে গুড়িয়ে দিয়ে যখন প্রথম মাইনের বিস্ফোরণ ঘটে তখন ঘড়ির কাঁটা সকাল ৬ টা ছুঁয়ে গেছে। এরপর বিকট শব্দে একটির পর একটি বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। একই সাথে নদীর তীরে নিরাপত্তার জন্য অবস্থানকারী যোদ্ধাদের এল, এম, জি দু’টিও গর্জে উঠে। পশুর নদীর তীরে এক প্রলয়ঙ্করী অবস্থার অবতারণা হয়। শত্রু গানবোটগুলি আচমকা আক্রমণে হতবিহবল হয়ে প্রথমে সাগরের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। বাণিজ্যিক জাহাজগুলি গুরুতর আক্রান্ত বুঝতে পেরে একটানা বিপদ সংকেত বাজিয়ে উদ্ধারের জন্য এস, ও, এস বার্তা পাঠাতে থাকে। পাকিস্তানী গানবোট ৪টি সম্বিত ফিরে পুনরায় বন্দরে ফিরে হেভী মেশিনগান থেকে নদীর পশ্চিম তীরে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ও মর্টার শেলিং শুরু করে। নদীর তীরে গাছ পালা, বাড়ি ঘর ঝাঝরা করে দেয়। মর্টারের শেলগুলি কমান্ডোদের মাথার উপর দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে সম্মুখে গ্রামের চারিদিকে বিস্ফোরিত হতে থাকে। গ্রামের ভীত সন্ত্রস্ত মানুষেরা ছুটে গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করলে অনেকে শেলিং এর আওতায় পড়ে জীবন হারায়। এর মাঝে কমান্ডোরা অপেক্ষমান নৌকায় ফিরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। কয়েকজন কমান্ডো এসে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যেয়ে উঠেন৷ কমান্ডো ইমাম বারি একটি ভাসমান লাশের আড়ালে শত্রুর সম্মুখ দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন। যুদ্ধ শেষে বন্দর থেকে দূরে কামারখোলা নামক গ্রামের ভিতর একটি স্কুলে সকলের সম্মিলিত হওয়ার জন্য পূর্ব থেকে নির্দেশ দেওয়া ছিল। দু’চার জন কমান্ডো যারা উদ্ধারকারী নৌকায় আসতে পারেনি তারা গ্রামের মানুষের সাহায্য নিয়ে অনতিবিলম্বে নির্দিষ্ট স্কুলগৃহে এসে পৌঁছেন। সকাল ৯টা স্কুলটির সম্মুখে অপেক্ষমান কমান্ডো যোদ্ধাদের ঘিরে শত শত মানুষের ভিড় জমে গেছে। গ্রামের মানুষ যোদ্ধাদের আপ্যায়নের জন্য প্রচুর ডাব, নারিকেল, গুড়, মুড়ি যে যা পেরেছে সাথে এনেছেন। এখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা নিরাপদ নয় ভেবে কমান্ডো দল নৌকায় সুতারখালীর উদ্দেশ্যে বিজয়ের গৌরব নিয়ে ফিরে চলেন। সুন্দরবনের মধ্য থেকে সামছুল আলম, মহেন্দ্ৰ, কুদ্দুস ও ইমাম বারি বহু কষ্টে বিকালে মূল আশ্রয়কেন্দ্র সুতারখালীতে ফিরে আসেন। দুপুর শেষে বানিয়াশান্তা গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলির মানুষের উপর নেমে আসে পাশবিক অত্যাচার। নরপশুরা সমগ্র পতিতা নিবাসটি জ্বালিয়ে দেয়। বেয়নেট খুঁচিয়ে হত্যা করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সহ শিশুদের। কয়েকটি শিশুকে ছুড়ে পশুর নদীতে ফেলে দেয়। যুবতী যারা পালানোর সুযোগ পাননি উঠিয়ে নিয়ে যায় তাদের গানবোটে। যাদের নাম পরিচয় আর কোনোদিন মেলেনি। বিকালে সুতারখালী ফিরে দলনেতা যথাশীঘ্র ভারতে প্রত্যাবর্তন করার নির্দেশ দেন। কারণ শত্রু সৈন্যরা এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে কমান্ডোদের খুঁজে ফিরবেই। এছাড়া ক্যাম্প পরিচালক কমান্ডার জি, মার্টিসের নির্দেশ ছিল অপারেশন শেষে পলাশী ক্যাম্পে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করার। এই অভিযানের কমান্ডোবৃন্দ সুন্দরবন এলাকা থেকে বনবিভাগের নিরাপত্তারক্ষীদের রাইফেল খাদ্য সামগ্রী এবং দু’টি বৃহৎ আকারের টহল লঞ্চ বনলক্ষী ও বনহুর দখল করে ভারতে নিয়ে যায়। এই দু’টি লঞ্চকে পরবর্তী সময়ে রূপান্তর করে মেজর জলিল গানবোটে রূপ দেন। মংলা বন্দর অভিযানে অংশগ্রহণকারী কমান্ডোদের স্থানীয় জনগণের সাহায্য ছাড়াও শত্রুর মোকাবেলার জন্য নিজস্ব শক্তিতে অগ্রসর হতে হয়েছে। তাদের আত্মগোপনের জন্য ছিল সুবিশাল সুন্দরবন। এই অভিযানে হৃদয়বিদারক ঘটনা হলো, ভারত প্রত্যাবর্তনকালে কমান্ডোদের ৭ জনের একটি দল শত্রু সেনাদের এ্যামবুশে পড়ে সম্মুখ যুদ্ধে দু’জন কমান্ডো সিরাজুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিন শহীদ হন। এবং শত্রুর হাতে ধরা পড়েন ইমাম বারি, মজিবুর রহমান, ইমদাদুল হক ও খলিলুর রহমান। বন্দি ৪ জন কমান্ডোর উপর যশোর সেনানিবাসে একমাস নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর তারা সেখান থেকে পালিয়ে পুনরায় যুদ্ধে যোগ দেন। নৌ-কমান্ডোদের বিশ্বময় সাড়া জাগানো অপারেশন জ্যাকপটে মংলা বন্দরে নিমজ্জিত মার্কিন জাহাজ এস.এস. লাইটিনিং নৌ-কমান্ডোদের পাতা মাইনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও ৫টি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবির পর হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডাড এ খবর প্রচার করে। দি টাইমস ফলাও করে প্রকাশ করে, The British Government has confirmed that frogmen severely damaged a twelve thousand ton British Cargo ship, the Teviotbank in the East Pakistan port of Chalna. The Bangladesh resistance movement has claimed responsibility. One report from Calcutta says the frogmen attackted the ship with limpet mines and efforts are being made to keep her a float. Soon after the attack last sunday-another British Ship sailed from Chalna. It was attacked by gunfire, but no reports of injuries or damage.” Times: Confirm Dipeorr (Brileyo: (VBO:DGE)
[৪৫] কমান্ডো মোঃ খলিলুর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!