ভুয়াপুরে যুদ্ধ, টাঙ্গাইল
৭ অক্টোবর রাতে চার শত মুক্তিযোদ্ধার একটি দল কোম্পানী কমান্ডার হাবিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান আরজু, আঙ্গুর তালুকদারের নেতৃত্বে ভুয়াপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালায়। প্রায় আধঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিবাহিনী পাকসেনার ছাউনিতে উঠে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধারা বিভক্ত হয়ে গুলি চালানোর কারণে একটি গুলি আঃ কুদ্দুসের বুকে লেগে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি শহীদ হন। ১০৮ জন রাজাকার ধরা পড়ে। বাকীরা সব পালিয়ে যায়। আবদুস সালাম নামে আরও একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশের বিভিন্ন নগর, শহর, এলাকায় মাঝে মধ্যেই নিষ্প্রদীপ মহড়া চলত। নভেম্বরের ৫ তারিখে টাঙ্গাইল শহরে নিষ্প্রদীপ মহড়া চলছিল করটিয়ার বায়েজীদ আলমের বজ্র কোম্পানী ও স্বেচ্ছাসেবক মিলে মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন দিক থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিতে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। স্থাপনা গুলোতে পাহারারত ৬জন রাজাকার নিহত ও প্রায় দুই ডজন রাজাকার আহত হয়।
[৬২২] কে. এম. আবদুস সালাম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত