ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গণকবর সমূহের তালিকা
স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর | ঘটনার বিবরণ | শহীদদের তালিকা |
১. মহিউদ্দিন নগরে নাম না জানা ৫ জন শহীদের গণকবর,
সুলতানপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। ২৬৪৪২৭, ৭৯ এম/১ |
অক্টোবর মাসে কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের মহিউদ্দিন নগর পুলের যুদ্ধে নাম না জানা ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। | নাম জানা যায়নি। |
২. দাউরা শ্মশানের গণকবর, গুনিয়াউক, নাছিরনগর।
৪০৩৭৬৮, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনাদল দাউরা গ্রামে ১৩ জনকে ধরে এনে হত্যা করে। পরে এখানে তাঁদের দাহ করা হয়। পাকিস্তানি বাহিনী এ গ্রামের সব কটি বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেয়। | শহীদ চন্দ্র কান্ত চক্রবতী ( পিতাঃ স্বর্গীয় আনন্দ মোহন চক্রবর্তী ), শহীদ যামিনী রায় ( পিতাঃ স্বর্গীয় সরত রায় ), শহীদ বিপিন রায় ( পিতাঃ স্বর্গীয় সরত রায় ), শহীদ নরন্দ্র সরকার (পিতাঃ স্বর্গীয় ভগীরথ সরকার ), শহীদ যোগ্যশ্বর চৌধুরী ( পিতাঃ স্বর্গীয় সুন্দর চৌধুরী ), শহীদ মহেশ চৌধুরী (পিতাঃ স্বর্গীয় সুন্দর চৌধুরী ), শহীদ গিরীন্দ্র চৌধুরী ( পিতাঃ স্বর্গীয় মহেশ চৌধুরী ), শহীদ সচীন্দ্র চৌধুরী (পিতাঃ স্বর্গীয় যোগ্যশ্বর চৌধুরী), শহীদ গয়া চরম চৌধুরী (পিতাঃ স্বর্গীয় যোগ্যশ্বর চৌধুরী ), শহীদ গোবিন্দ সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় ঈশান সরকার ), শহীদ সুকান্ত সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় বাণী কান্ত সরকার ), শহীদ নরেশ সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় যোহ্যশ্বর )। |
৩. বরুড়া শ্মশানে, গণকবর, গুনিয়াউক , নাছিরনগর।
৩৮৪৭৯৩, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনারা এ গ্রামের ৫ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করে। পরবতী সময় এ শ্মশানে তাঁদের দাহ কার হয়। | শহীদ জয় কুমার সাধু ( পিতাঃ স্বর্গীয় শিব চরণ সরকার ), শহীদ ফণীন্দ্র সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় কৃষ্ণ চরণ সরকার ), শহীদ ধনঞ্জয় সরকার (পিতাঃ স্বর্গীয় অতুল সরকার ), শহীদ অমূল্য সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় হরধন সরকার ), শহীদ কমল সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় হরধন সরকার )। |
৪. গুটমা শ্মশানের গণকবর, গুনিয়াউক , নাছিরনগর।
৪০৯৭৮২, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী গুটমা গ্রামের ৮ জনকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তী সময় এ শ্মশানে তাঁদের দাহ করা হয়। ৫ জন শহীদের নাম পাওয়া গিয়েছে। | শহীদ স্বদেব সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় পূর্ণ সরকার ), শহীদ মধু সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় মদন সরকার ), শহীদ ফুল কিশোর সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় ওমেশ সরকার ), শহীদ বিপিন দাস ( পিতাঃ স্বর্গীয় নন্দু কুমার দাস ), শহীদ কুসুম লাল সূত্রধর ( পিতাঃ স্বর্গীয় ভারতচন্দ্র সূত্রধর )। |
৫. নিশ্চিন্তপুর শ্মশানের গণকবর, গুনিয়াউক, নাছিরনগর।
৪০৫৭৭৪, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ৩ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে। পরবতী সময় এ শ্মশানে তাঁদের দাহ করা হয়। | শহীদ প্রেমানন্দ দাস ( পিতাঃ স্বর্গীয় পিয়ারী দাস ), শহীদ বীরেন্দ দাস ( পিতাঃ স্বর্গীয় মহীন্দ্র দাস ), শহীদ মণীন্দ্র সরকার ( পিতাঃ স্বর্গীয় ভারত চন্দ্র সরকার )। |
৬. চিতনা শ্মশানের গণকবর, গুনিয়াউক, নাছিরনগর।
৩৯২৭৯৮, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্ভর মাসে ৩ জন সাধারন লোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবতী সময় এ শ্মশানে তাঁদের দাগ করা হয়। | শহীদ ক্ষীরধর চৌধুরী ( পিতাঃ স্বর্গীয় নলিনী ধর চৌধুরী ), শহীদ অশ্বিনী দেব ( পিতাঃ স্বর্গীয় নুনাতন দেব ), শহীদ গোবর্ধ্ন দেবনাথ ( পিতাঃ স্বর্গীয় দীনবন্ধু দেবনাথ )। |
৭. অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধার গণকবর ( নাছিরনগর), নাছিরনগর।
৩১৪৮১৬, ৭৮ পি/৪ |
নভেম্ভর মাসে পাকিস্তানি সেনারা ১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি সেনাবাহিনী/বিডিআর-এর সদস্য ছিলেন। | |
৮. কুলিকুন্ডা শ্মশানে, গণকবর, নাছিরনগর।
৩৩০৭৯৪, ৭৮ পি/৮ |
নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনারা কুলিকুন্ডা গ্রামের ২ জন হিন্দু ভদ্রলোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তী সময় এ শ্মশানে তাঁদের দাহ করা হয়। | শহীদ গেননাগ চন্দ্র ( পিতাঃ ওপেন্দ্র নাথ ), শহীদ রমেশ সূত্রধর ( পিতাঃ অজ্ঞাত)। |
৯. তন্ডূর ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের গণকবর, ধরখার, আখাউড়া।
২৮০৩৭৭, ৭৯ এম/১ |
আগস্ট মাসে ভারত থেকে প্রশিক্ষিণ শেষে রাঞ্ছারামপুর এলাকায় যাওয়ার পথে তন্ডূর ব্রিজের নীচে নৌকা পারাপারের সময় সেনার আম বুশ থেকে ফায়ার করলে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহদত বরণ করেন। এখানে তাঁদের কবর রয়েছে। | |
১০. দরখার গ্রামের দক্ষিণে গৌরাঙ্গ কর্মকারের পুকুরপাড়ে ৩ জনের গণকবর , আখাউড়া।
২৮০৩৮৪, ৭৯ এম/১ |
আগস্ট/ সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী ৩ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে এখানের নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
১১. গঙ্গাসাগরের পশ্চিম পাড়ের গণকবর,
মোগড়া, আখাউড়া। ৩৩২৩৭৯, ৭৯ এম/১ |
সেপ্টম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মান্দাইর ও জাঙ্গাল গ্রামসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৩৩ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | শহীদ গোলাম কাদির মেম্বর ( পিতাঃ মৃত ছবোদ আলী ), শহীদ ডাঃ আবু তাহের ( পিতাঃ হাজী বক্স মুন্সী ), শহীদ মোঃ তোতা মিয়া ( পিতাঃ অজ্ঞাত ), শহীদ আবুল হাসেম মোল্লা ( পিতাঃ রুসমত আলী মোল্লা ), শহীদ গোলাম মাওলা ( পিতাঃ ছবোদ আলী ), শহীদ আব্দুল গনি ( পিতাঃ ছৈনুদ্দিন ), শহীদ হায়াদ আলী ( পিতাঃ জাফর আলীর ), শহীদ সামচু মিয়া (পিতাঃ পাচু সরকার ), শহীদ আব্দুল মান্নাফ ( পিতাঃ মৃত ওছুদ আলী ), শহীদ আব্দুল খালিক মোল্লা ( পিতাঃ মৃত নাজের আলী ), শহীদ মুজারুল হক সরকার (পিতাঃ মৃত মুকছুল আলী ),
শহীদ মালু মিয়া পিতাঃ মৃত জব্বার আলী শহীদ আঃ সোবহান মিয়া পিতাঃ মৃত রেয়াছত আলী শহীদ মোঃ রাজু মিয়া পিতাঃ মৃত আঃ সোবহান শহীদ মোঃ আঃ ফয়েজ পিতাঃ মৃত মফিজ উদ্দিন শহীদ মোঃ তারু মিয়া পিতাঃ হাজী মন্তাজ আলী শহীদ মোঃ আবুল বাশার পিতাঃ নুর বক্স মুন্সী শহীদ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন পিতাঃ মৃত কিতাব আলী শহীদ মোঃ আঃ হান্নান পিতাঃ মৃত আঃ গফুর শহীদ খেলু মিয়া পিতাঃ মৃত আঃ ছাত্তার শহীদ সিরাজুল হক পিতাঃ এলিক হোসেন শহীদ তারা চান মোল্লা পিতাঃ মোঃ আঃ খালেক শহীদ মোঃ বারু মিয়া পিতাঃ মৃত তারু মিয়া শহীদ নসু মিয়া পিতাঃ মৃত তজু মিয়া শহীদ হাজী সের আলী মিয়া পিতাঃ হাজী নূর বক্স মুন্সী
|
১২. মনিয়ন্দ গ্রামের আজিজ সর্দারের বাড়ির গণকবর,
মনিয়ন্দ, আখাউড়া। ৩৩০৩৫৪, ৭৯ এম/১ |
পাকিস্তানি বাহিনী আজিজ সর্দারের মেয়ে, জামাতা এবং ১ টি ছোট শিশুকে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
১৩. মনিয়ন্দ রেলওয়ে
ব্রিজের পশ্চিম পাশে গণকবর, মনিয়ন্দ, আখাউড়া । ৩২৬৩৬১, ৭৯ এম/১ |
মোগড়া হাইস্কুল ও ইমামবাড়িতে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প ছিল। মনিয়ন্দ ব্রিজের নীচ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীরা
যাতায়াত করতো। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা বিভিন্ন সময় অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে কিছু মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ২০০ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। |
|
১৪. নারায়ণপুর ব্রিজ
গণকবর, আখাউড়া ( দঃ ), আখাউড়া । ৩৬৩৪১৫, ৭৯ এম/১ |
এপ্রিল মাসে পাকিস্তানি সেনারা এলাকার ২৭ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে সারিবদ্ধ করে হত্যা করে এবং তাঁদের খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, তাঁদের মধ্যে ৭ জন মহিলাও শহীদ হন। | (১) শহীদ মোঃ ফজলুল রহমান
পিতাঃ মৃত তাজউদ্দিন ভূঁইয়া (২) শহীদ মোঃ ফচর আলী পিতাঃ অজ্ঞাত (৩) শহীদ মোঃ তাজউদ্দিন মোল্লা পিতাঃ মৃত ওয়াজউদ্দিন মোল্লা (৪) শহীদ মোঃ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া পিতাঃ মৃত তাজউদ্দিন ভূঁইয়া (৫) শহীদ মোঃ দৌলত ভূঁইয়া পিতাঃ মৃত তাজউদ্দিন ভূঁইয়া (৬)শহীদ মোঃ তারু মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ জাফর আলী (৭) শহীদ মোঃ বদর উদ্দিন পিতাঃ অজ্ঞাত (৮) শহীদ মোঃ মাহজন মিয়া পিতাঃ মৃত বদর উদ্দিন (৯) শহীদ মোঃ মোকছেদ আলী পিতাঃ মৃত ছারু মিয়া (১০) শহীদ মোঃ ওসমান আলী পিতাঃ মৃত মোঃ ছারু মিয়া (১১) শহীদ মোঃ কালা চান পিতাঃ মৃত মোঃ আনু মিয়া (১২) শহীদ মোঃ হুরণ আলী পিতাঃ মৃত মোঃ কালা চান (১৩) শহীদ মোঃ ওয়ালি মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ আলিম উদ্দিন (১৪) নাম না জানা ৭ জন শহীদ মহিলা এবং ৭ জন শহীদদের নাম অজ্ঞাত । |
১৫. দুর্গাপুরের গণকবর,
আখাউড়া ( উত্তর ), আখাউড়া । ৩৫৪৪৩৭, ৭৯ এম/১ |
আখাউড়া পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প ছিল। মাঝেমধ্যে পাকিস্তানি বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরীহ লোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
১৬. চক চন্দ্রপুরের গণকবর,
বিনাউটি, কসবা । ৩১৫৩৫৯, ৭৯ এম/১ |
সেপ্টেম্বর মাসে কর্নেল গাফফার ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান নিরূপণের জন্য ঐ এলাকায় প্রেরণ করেন। তাঁরা পাকিস্তানি সেনাদের মুখোমুখি পড়ে গেলে পাকিস্তানি সেনারা তাদেরকে হত্যা করে। এখানে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
১৭. বিনাউটির গণকবর,
বিনাউটি, কসবা । ৩০২৩৫৪, ৭৯ এম/১ |
মে মাসে পাকিস্তানি সেনারা অত্র এলাকায় প্রায় ৩০০-৪০০ লোককে জড়ো করে। ১৪ জন অমুসলিম লোককে আলাদা করে বেয়নেট চার্জ আবস্থায় ২ জন পালানোর চেস্টা করলে তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। গ্রামবাসী মৃত দেহগুলো গণকবর দেয়। | (১) শহীদ যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস
পিতাঃ তিতা মণি দাস (২) শহীদ রজক রিশি পিতাঃ রুহিদাস রিশি (৩) শহীদ প্রিপিল রিশি পিতাঃ তিতা মণি দাস (৪) শহীদ রমনাথ রিশি পিতাঃ শ্রী দাস রিশি (৫) শহীদ শুক্র রিশি পিতাঃ অংধর রিশি (৬) শহীদ মন্টূ রিশি পিতাঃ দেবেন্দ্র রিশি (৭) শহীদ রামমোহন রিশি পিতাঃ দেবেন্দ্র রিশি (৮) শহীদ মঙ্গল রিশি পিতাঃ রবি রিশি (৯) শহীদ চক্রধর রিশি পিতাঃ আবু চরণ রিশি (১০) শহীদ হরিলাল রিশি’ পিতাঃ বিধুরাম রিশি (১১) শহীদ রবি রিশি পিতাঃ চূড়ামণি রিশি (১২) শহীদ ইন্দ্রমোহন রিশি পিতাঃ গঙ্গাধর রিশি (১৩) শহীদ রতীন্দ্র রিশি পিতাঃ রাজমোহন রিশি (১৪) শহীদ রাজ একশোর রিশি পিতাঃ চন্দ্রমোহন রিশি |
১৮. আসকিনার গণকবর,
কসবা, কসবা । ২৬০২৭০, ৭৯ এম/২ |
আগস্ট মাসে পাকিস্তানি সেনারা এ গ্রামের ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাদীকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবতী সময় গ্রামবাসীরা তাঁদের এখানে গণকবর দেয়। | (১) শহীদ মোঃ জযু মিয়া
পিতাঃ মৃত মোঃ তোতা মিয়া (২) শহীদ আঃ জলিল পিতাঃ মৃত হাজী মোঃ নবী (৩) শহীদ মোঃ আবুল খায়ের মাস্টার পিতাঃ মৃত মোঃ আব্দুল লতিফ (৪) শহীদ মোঃ হুমায়ুন ( ইঞ্জিনিয়ার) পিতাঃ মোঃ নুরুল (৫) শহীদ মোঃ আঃ আজিজ পিতাঃ মৃত মোঃ আনসার আলী (৬) শহীদ মোঃ মোসকেত আলী পিতাঃ মৃত সুন্দর আলী (৭) শহীদ মোঃ মালু মিয়া পিতাঃ মৃত দিল্লুর আলী (৮) শহীদ মোঃ ওসমান মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ নূর বক্স (৯) শহীদ মোঃ আব্দুল মোতালেব পিতাঃ মৃত মোঃ আবু মিয়া (১০) শহীদ মোঃ ইদন আলী পিতাঃ মৃত মোঃ সুরুজ মিয়া (১১) শহীদ মোঃ সুন্দর আলী পিতাঃ মৃত মোঃ হাফিজ উদ্দিন (১২) শহীদ আরু মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ মোসকেত আলী (১৩) শহীদ মোঃ সরব আলী পিতাঃ মৃত মোঃ কেরামত আলী (১৪) শহীদ মোঃ নূর বক্স পিতাঃ মৃত মোঃ আলী নেওয়াজ (১৫) শহীদ মোঃ সোনা মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ ফজর আলী (১৬) শহীদ মোঃ আঃ কাদের পিতাঃ মৃত মোঃ সোনা মিয়া (১৭) শহীদ মোঃ কালু মিয়া পিতাঃ মৃত মোঃ ফজর আলী |
১৯. রঘুনাথপুরের গণকবর,
বায়েক, কসবা। ২৯১২০৮, ৭৯ এম/১ |
সম্মুখযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী আজ্ঞাতনামা ২ জন মুক্তিযীদ্ধা কবর এখানে রয়েছে। | |
২০. মাদলার গণকবর,
বায়েক, কসবা । ৩৪০২০৩, ৭৯ এম/২ |
পাকিস্তানি সেনারা গ্রামের ৩ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে এখানে কবর দেয়। | |
২১. মন্দভাগের গণকবর,
মন্দভাগ, কসবা । ২৮৩২০৭, ৭৯ এম/২ |
আগস্ট মাসে পাকিস্তানি বাহিনী এবং ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধা দল সুবেদার ওহাব ও নায়েক সুবেদার বেলায়েতের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে। এ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের এক কোম্পানি সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হত্যাহত হননি। বিমান আক্রমণে গ্রামের নিরীহ ৭-৮ জন শহীদ হন। তাঁদের এখানে গণকবর দেওয়া হয়। | |
২২. আকবপুর অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর,
কসবা, কসবা। ৩৯৯২৮৯, ৭৯ এম/১ |
সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন সময় যুদ্ধে যে-সব মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন, তাঁদের এখানে কবর দেওয়া হয়। তাঁদের নাম জানা যায়নি। বিশেষ করে চন্দ্রপুরের যুদ্ধে শাহাদত বরণকারী ৬-৭ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর এখানে রয়েছে। | |
২৩. শাহাপুরের গণকবর,
কসবা, কসবা । ২৫৫২৮৯, ৭৯ এম/১ |
সেপ্টম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনারা অন্য এলাকা থেকে ধরে এনে লোকজনকে তাঁদের নিজের হাতে গর্ত করায় এবং হত্যা করে ঐ গর্তে পুঁতে ফেলে। | |
২৪. আড়াইবাড়ির গণকবর,
কসবা, কসবা । ২৭৯২৯০, ৭৯ এম/১ |
এ গ্রামে পাকিস্তানি সেনা, আলবদর ও রাজাকারদের সদর দপ্তর ছিল। তারা এলাকার অনেক নিরীহ লোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ গ্রামে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
২৫. খিরনালের ২৮ জন অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধার গণকবর,
গোপীনাথপুর, কসবা । ৩২৫৩৩৪, ৭৯ এম/১ |
সেপ্টেম্বর মাসে চন্দ্রপুরের যুদ্ধে শহীদ ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে দাফন করা হয়। | |
২৬. হরিয়াবহ, চন্ডদার গণকবর,
গোপীনাথপুর, কসবা .৩১৫৩০৯, ৭৯ এম/১ |
জুন-জুলাই মাসে চন্দ্রপুর যুদ্ধের পূর্বে পাকিস্তানি বাহিনী এলাকার কিছু নিরীহ লোককে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
২৭. বিষ্ণুউরির গণকবর,
গোপীনাথপুর, কসবা । ৩৪৫৩০৩, ৭৯ এম/১ |
জুন-জুলাই মাসে চন্দ্রপুর যুদ্ধের পূর্বে পাকিস্তানি বাহিনী এলাকার কিছু নিরীহ লোককে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।কক। | |
২৮. বাঘাউড়ার গণকবর,
মিরপুর, নবীনগর । ১৩৯৪৪১, ৭৯ এম/১ |
সেপ্টেম্বরে গুড়িগ্রামের যুদ্ধে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রতিশোধমূলক আগ্রাসনে এলাকার কিছু নিরীহ লোককে পাকিস্তানি সেনারা নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
২৯. শ্রীরামপুরী গণকবর,
শ্রীরামপুর, নবীনগর । ০৬৯৩৮৪, ৭৯ আই/১৩ |
অক্টোবর মাসে টহলরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করলে ঐ আক্রোশে পাকিস্তানি সেনারা কোনাঘাট এলাকার কিছু জনসাধারণকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
৩০. আলেয়াবাদের গণকবর, নবীনগর পৌর এলাকা, নবীনগর।
০৮৬৪২৯, ৭৯ আই/৩ |
মে মাসে পাকিস্তানি সেনার এলাকা টহল দেওয়ার সময় আলয়াবাদ গ্রামের আলী আজ্জম ও আব্দুল মালেক নামে ২ জন লোককে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। | |
৩১. খাজানগরের গণকবর নবীনগর পৌর এলাকা, নবীনগর ।
০৮১৪৬৫, ৭৯ আই/১৩ |
মে মাসে নবীনগর ক্যাম্পের পাকিস্তানি সেনারা মনতলা থেকে কিছু লোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁদের খাজানগর গ্রামে গণকবর দেওয়া হয়। | |
৩২. দরিলাপাং এর গণকবর নবীনগর ( প. ), নবীনগর।
০৬৪৪৬৫, ৭৯ আই/১৩ |
এপ্রিল মাসে পাকিস্তানি সেনারা কয়েকটি গানবোট যোগে নদীপথে টহল দেওয়ার সময় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মাহবুর এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঐ গানবোটে আক্রমণ চালায়।
পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি সেনারা ঐ গ্রামের ওপর গান বোট থেকে শেলিং করে। পরে ১১ জন গ্রামবাসী শাহাদত বরণ করেন। তাঁদের ৯ জনকে এখানে গণ কবর দেওয়া হয়। |
|
৩৩. দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরের গণকবর, কৃষ্ণপুর, নবীনগর।
০৯৯৪৯৬, ৭৯ আই/১৩ |
অক্টোবর মাসে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের একটি গানবোটে আক্রমণ চালালে গানবোট ফেলে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায় । পাকিস্তানি ফেলে পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্মীপুর গ্রামের ৭ জনকে হত্যা করে। তাঁদের এখানে গণকবর দেওয়া হয়। | |
৩৪. খারঘরের গণকবর, খার ঘর, নবীনগর।
০৯৯৪৯৬, ৭৯ আই/১৩ |
অক্টোবর মাসে নবীনগর থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক আবুল বাসারের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা বরাঈ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য খারঘর গ্রামে অবস্থান নেয়। বরাইল বাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানে গুলিবর্ষণ করে। পাকিস্তানি সেনারা খারঘর গ্রামের ৪৩ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানে গোপাল নামক ১ জন মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ হন। এ গ্রামে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়। | |
৩৫. লালপুরের, গণকবর,
পূর্ব শরীফপুর, আশুগঞ্জ । ০৯৭৫৫৭, ৭৯ আই/১৩ |
||
৩৬. গোপালপুর গণকবর,
শ্রীরামপুর, নবীনগর। ০৪৫৪১৫, ৭৯ আই/১৩ |
||
৩৭. নাটাই গ্রামের গণকবর,
চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। ২২৪৫৬৯, ৭৯ এম/১ |
||
৩৮. দারিয়াপুরের গণকবর,
উত্তর ইছাপুরা , ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। ২১৯৫৫৭, ৭৯ এম/১ |
||
৩৯. দক্ষিণ পৈরতলা রেললাইনের পাশে গণকবর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পৌরসভা । ২১৫৫৫২, ৭৯ এম/১ |
||
৪০. কাউতলী কুরুলিয়া নদীর পাড়ের গণকবর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। ২৩৯৫৩৩, ৭৯ এম/১ |
||
৪১. বিজেশ্বর বাজারের গণকবর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। ২২৯৫১০, ৭৯ এম/১ |
||
৪২. রামরাইল ঈদগাহ মাঠের পাশের গণকবর, ছান্দুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
২৩৭৪৯৪, ৭৯ এম/১ |
||
৪৩. সেমন্তঘর গ্রামের গণকবর,
বিদ্যাকুট, নবীনগর। ১৩৪৪৫৩, ৭৯ এম/১ |
||
৪৪. খালাজোড়ার গনকবর, মোগড়া, আখাউড়া ।
৩৭৫৩৭৬, ৭৯ এম/১ |
||
৪৫. চাঁদপুরের গণকবর, দক্ষিণ ইছাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
২৭৫৪৭৫, ৭৯ এম/১ |
||
৪৬. রাউতহাট গ্রামের গনকবর,
মনিয়ন্দ, কসবা । ২৮৮৩৩৩, ৭৯ এম/১ |
||
৪৭. খাড়েরা হাইস্কুলের পুকুরের পশ্চিম পাশের গণকবর,
মনিয়ন্দ, কসবা । ২৪৬৩১৫, ৭৯ এম/১ |
||
৪৮. উত্তর সিঙ্গার বিল বাজারের গণকবর,
উত্তর সিঙ্গার বিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর । ৩৬৫৫১১, ৭৯ এম/১ |
||
৪৯. চন্দার চরের গণকবর,
বিদ্যাকুট , ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর । ১৪৮৪৭৮, ৭৯ এম/১ |