You dont have javascript enabled! Please enable it! ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গণহত্যার তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার গণহত্যার তালিকা

ক্রমিক নম্বর স্থানের নাম, ঠিকানা এবং জিআর, ম্যাপ শিট নম্বর ঘটনার বর্ণনা
১. উজানীসার ধরখার ব্রিজের গণহত্যা, ধরখার, আখাউড়া।

২৯১৩৯৬, ৭৯ এম/১

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে উল্লিখিত ব্রিজ এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান ছিল। বিভিন্ন সময় নিরীহ লোকদের ধরে এনে আটক করে রাখত এবং হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিত। এভাবে প্রায় ১৫০ জনকে তারা হত্যা করে।
২. ছোট বায়েকের গণহত্যা, বায়েক, কসবা। ২৮৫৩১৫, ৭৯ এম/১ মে মাসে মুক্তিযোদ্ধারা রেলওয়ে ট্রলির ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে পাকিস্তানি সেনারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা গ্রামের ৪৬ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৩. মেরকুটার গণহত্যা, বিদ্যাকুট, নবীনগর। ১৮৫৪৬৩, ৭৯ এম/১ নভেম্বর মাসে এখানে পাকিস্তানি সেনারা বেশ কিছু লোককে হত্যা করে ফেলে যায়। পরে তাঁদের নিজ নিজ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
৪. সাইলো এলাকার গণহত্যা, চর চারতলা, আশুগঞ্জ।

 ১০৬৬২৮, ৭৮ এল/১৬

এখানে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাসহ শত শত নিরীহ জনগণকে হত্যা করে এখানে গণকবর দেওয়া হয়।
৫. আইজিএম স্টিমার কোম্পানি, চরচারতলা, আশুগঞ্জ।

১১৭৬৩৪, ৭৮ পি/৪

এখানে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস এখানে গণহত্যা চালানো হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সহ নিরীহ জনগণের গণকবর এখানে রয়েছে।
৬. সোনারামপুরের গণহত্যা, আশুগঞ্জ।

১২৮৭২৮, ৭৯ পি/৪

৩ ও ৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী ঐ এলাকায় প্যারা কমান্ডো অবতরণ করায়। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনী ২ সহোদরসহ মোট ৫ জনকে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর রয়েছে।
৭. ভবানীপুরের গণহত্যা,

 আড়াই সিদা, আশুগঞ্জ।

১২৮৫৯৯, ৭৯ এল/১৬

জুলাই মাসে পাকিস্তানি সেনারা ভবানীপুর গ্রাম থেকে ১৯ জন নিরীহ জহগণকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁদের এখানে দাফন করা হয়।
৮. লামাপাড়ার গণহত্যা,

 লালপুর, আশুগঞ্জ।

০৯০৫৫৫, ৭৯ আই/১৩

১৪ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার ৪৬ জন নিরীহ জনগণকে পাকিস্তানি বাহিনীর লোকেরা এখানে হত্যা করে। তাঁদের ধীরেন্দ্র দাসের বাড়িতে কবর দেওয়া হয়।
৯. বিটঘরের গণহত্যা,

 পানিশ্বর, সরাইল।

২০২৬৬৩, ৭৮ পি/৪

নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী বিটঘর গ্রামের ৭৪ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করে। বিটঘর গ্রামে তাঁদের গণকবর রয়েছে
১০. পানিশ্বর বাজারের গণহত্যা,

 পানিশ্বর, সরাইল।

১৭৭৬৭১, ৭৮ পি/৪

নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী বিটঘর গ্রামের ২৫ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর রয়েছে।
১১. ধর্মতীর্থের ( চাকসাপড়া )গণহত্যা,

কালীকচ্ছ, সরাইল।

২৫৫৩৭৫,  ৭৮ পি/৪

সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রামের ৬ জনকে ধরে এনে এখানে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর রয়েছে।
১২. ধর্মতীর্থ ঘাটের ( ধরন্তী ঘাট ) গণহত্যা,  কালীকচ্ছ, সরাইল।

২৫৪৭১৬, ৭৮ পি/৪

সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানি বাহিনী প্রায় ৪০ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে এখানে হত্যা করে। হত্যার পর তাঁদের পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
১৩. ওয়াপদা রেস্ট হাউসের গণহত্যা,

 শাহবাজপুর , সরাইল।

৩১১৬৩৬, ৭৮ পি/৪

ঢাকা-সিলেট বাস্তায় শাহবাজপুরে দক্ষিণ পাশে ওয়াপদা গেস্ট হাউসে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্প ছিল। তারা নিরীহ জনসাধারণকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে ধরে এনে এখানে হত্যা করে। গেস্ট হাউজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ১২-১৫ জনের গণকবর রয়েছে।
১৪. রামপুরের  গণহত্যা,

 চান্দুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

৩৪৪৬৩৫, ৭৮ পি/৪

পাকিস্তানি বাহিনী এ এলাকার ৫ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। এখানে তাঁদের  গণকবর দেওয়া হয়।
১৫. মিরাসানি পলিটেকনিক্যাল অ্যাকাডেমির গণহত্যা,

 সিংগার বিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

৩৬৫৪৮৪, ৭৯ এম/১

এখানে পাকিস্তানি বাহিনীর কোম্পানি সদর দপ্তর ছিল। তারা ৭-৮ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করে।
১৬. সিংগার বিল বাজারের গণহত্যা,

 সিংগার বিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
৩৫৬৪৬৯, ৭৯ এম/১এ

এখানে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। ৮-৯ জন নিরীহ লোককে তারা হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
১৭. বিষ্ণুপুর বাজারের গণহত্যা,

 বিষ্ণুপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

৩৭৫৫০১, ৭৯ এম/১

জুলাই মাসে পাকিস্তানি বাহিনী ৭-৮ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে এখানে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
১৮. নাটাইর গণহত্যা,

 নাটাই (উ.), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২১৯৫৬৮, ৭৯ এম/১

অক্টোবর মাসে এ গ্রামের ৭-৮ জন নিরীহ লোককে ধরে এনে হত্যা করে। নাটাই গ্রামে প্রধান রাস্তায় পশ্চিম পাশে দিঘির পাড়ে তাদের কবর রয়েছে।
১৯. মজলিশপুরের গণহত্যা,

 মজলিশপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২৭৯৬২৫, ৭৯ এম/১

জুলাই মাসে ৩ জন আনসার এবং ৩ জন নিরীহ গ্রাম বাসিকে ধরে এনে হত্যা করে। এখানে ৫ জনকে গণকবর দেওয়া হয়। সিরাজ মিঞা নামক ১ জন আনসার সদস্যর মৃতদেহ তাঁর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
২০. দাড়িয়াপুরের গণহত্যা,

 পৌর ওয়ার্ড নম্বর ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২১৯৫৫২, ৭৯ এম/১

এপ্রিল মাসে ( ৩ বৈশাখ ) পাকিস্তানি বাহিনী ৩ জন অসামরিক লোককে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে। মসজিদের উত্তর পাশে তাঁদের কবর দেওয়া হয়।
২১. দক্ষিণ  পৌরতলার গণহত্যা,

 পৌর ওয়ার্ড নম্বর ৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
২১৯৫৪৪,৭৯ এম/১

৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা নজরুলসহ আরো প্রায় ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোককে হত্যা করে। পরে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
২২. দায়িরা ওয়াপদা অফিসের গণহত্যা,

পৌর ওয়ার্ড নম্বর ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২৩৯৫৩৮, ৭৯ এম/১

ওয়াপদা এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সদর দপ্তর ছিল। নভেম্বরের শেষ দিকে বেশ কিছু নিরীহ জনগণকে ধরে এনে হত্যা করে। এখানে তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়।
২৩. কাউতলী কুরুলিয়ার গণহত্যা,

পৌর ওয়ার্ড নম্বর ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২৩৩৫৩১, ৭৯ এম/১

৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী শহীদ অধ্যাপক লুৎফর রহমানসহ প্রায় ৫০ জন নিরীহ জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে যে ৬ জনের নাম পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন – অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অ্যাড. সৈয়দ আকবর হোসেন, মোঃ মনির উদ্দিন, সিরাজ মিঞা, কার্তিক চন্দ্র চক্রবতী, সুরণ আলী।
২৪. রামারাইল খাঁ বাড়ির গণহত্যা,

 রামারাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২৩৯৪৯২, ৭৯ এম/১

১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর শেলের আঘাতে ৫ জন গ্রামবাসী মৃত্যুবরণ করেন। এখানে তাঁদের গণকবর রয়েছে।
২৫. বিজেশ্বর বাজারের গণহত্যা,

রামারাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

২২৫৫০৯, ৭৯ এম/১

ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনাদের শেলের আঘাতে এখানে ১৪-১৫ জন নিহত হন। তাঁদের এখানে গণকবর দেওয়া হয়।