১৮ ও ১৯ এপ্রিলের লালমনিরহাট গণহত্যা
লালমনিরহাটের বিশিষ্ট রাজনীতিক শহিদ পরিবারের সন্তান হাফিজ ফেরদৌস স্বপন তাঁর পিতা শহিদ হাসান আহমেদসহ ১৮ ও ১৯ তারিখের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তাঁর পিতাকে হত্যা করা ছাড়াও ওই সময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর অনুগতরা লালমনিরহাট থানা পাড়ার অধিবাসী আজহার আলী খানের মা তার তিন কন্যা ও স্ত্রী শহিদ হন। সে সময় থানা পাড়ায় আরও শহিদ হন ছহিরউদ্দিন (মালবাবু), ফরিদউদ্দিন ও তাঁর দুই ছেলে ফারুক ও জিন্নাহ। এছাড়াও বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন লালমনিরহাট স্বর্ণকার পট্টির রমেশ নন্দি (দীলিপ নন্দির পিতা), নামাটারির আলহাজ আসিরউদ্দিন (নাড্ডা হাজী), আমির হোসেন, আবেদ আলী, খুদি মামুদ, ইমামউদ্দিন, রতনচন্দ্র বিনোদ বিহারি, আজাদী আলী প্রমুখ। নিকটবর্তী উত্তর সাপটানা গ্রামে হত্যার শিকার হন যুমোর দেওয়ানী, মনির উদ্দিন, আবদুর রহমান ও ধর্মনারায়ণ রায় প্রমুখ। ওই সময়ে আরও বেশ কিছু স্থানীয় ব্যক্তি শহিদ হন যাঁদের মধ্যে আছেন ফায়ার সার্ভিস রোডের শেখ মো. সাদেক, কালিবাড়ির ইফসুফ শিকদারসহ অনেকেই।
তাছাড়া ১৮ ও ১৯ এপ্রিলে লালমনিরহাট সদরের ঢঢোগাছ গ্রামে বর্বরতার শিকার হন শহিদ হরিশ, পঞ্চনন নন্দ, রামজীবন ও গ্রামের আনসার আলী মণ্ডলসহ অনেকে। তাঁদের মধ্যে হিন্দু সদস্যদের নাম এখানে বর্ণিত হলো—
ক্র. | নাম | পিতা/স্বামীর নাম | ঠিকানা |
১ | শহিদ রমেশ নন্দি | অজ্ঞাত | থানাপাড়া, লালমনিরহাট |
২ | শহিদ রতনচন্দ | অজ্ঞাত | সদর, লালমনিরহাট |
৩ | শহিদ বিনোদ বিহারি | অজ্ঞাত | থানাপাড়া, লালমনিরহাট |
৪ | শহিদ ধর্ম নারায়ণ রায় | অজ্ঞাত | সদর, লালমনিরহাট |
৫ | শহিদ পঞ্চনন নন্দ | অজ্ঞাত | ঢঢোগাছ, সদর |
৬ | শহিদ রামজী্বন | অজ্ঞাত | ঢঢোগাছ, সদর |
(পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়)
সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন- এসএম আব্রাহাম