বামুনিয়া হেমন্ত রায়ের পরিবারের উপর নির্যাতন ও গণহত্যা
বামুনিয়া নদীর পাশেই বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা করেছিল। এখানে গ্রামবাসীরা নানা সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করত বলে পাকিস্তানিদের কাছে অভিযোগ ছিল। নিকটস্থ গোয়ালপাড়াটি ছিল হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। এ পাড়া থেকে অনেকেই ভারতে গমন করলেও বেশকিছু পরিবার সেখানে ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী একদিন আক্রমণ করে গোয়ালপাড়ায়। তারা সেখানে আক্রমণ করে জনৈক হেমন্ত কুমার রায়সহ তাঁর পরিবারের ছয়জন সদস্যকে ধরে নিয়ে আসে বামুনিয়া নদীর পাড়ে। সেখানে তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করে নদীর পাড়ে একটি গর্ত করে পুঁতে রাখে। এখানে যুদ্ধকালে আরও বেশ কিছু বাঙালিকে ধরে এনে হত্যা করে এই বধ্যভূমিতে ফেলে রাখে। শহিদের নাম নিম্নে বর্ণিত হলো—
ক্র. | শহিদের নাম | পিতা/স্বামী | ঠিকানা |
১ | শহিদ সুরবালা রায় (অন্তঃসত্ত্বা) | শহিদ হেমন্ত কুমার রায় | তেসায়ার পাড়া, ডোমার, নীলফামারী |
২ | শহিদ হেমন্ত কুমার রায় | অজ্ঞাত | বামুনিয়া, নীলফামারী |
৩ | শহিদ বাবলু রায় | শহিদ হেমন্ত কুমার রায় | বামুনিয়া, নীলফামারী |
৪ | শহিদ বাচ্চু রায় | শহিদ হেমন্ত কুমার রায় | বামুনিয়া, নীলফামারী |
(পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়)
সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন– এসএম আব্রাহাম