পান্ডুল গণহত্যা
উলিপুর থানার পান্ডুল এলাকাটি ব্রিটিশ যুগে বেশ কিছু স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্ম দেয়। এখানে পাকিস্তান যুগে বামপন্থী কমিউনিস্টদের বেশ তৎপরতা ছিল। এলাকাটি হিন্দু প্রধান ও প্রগতিশীল কর্মীদের নানাবিধ তৎপরতায় সরব ছিল। এই এলাকার আখতারুল ইসলাম হারুনসহ বেশ কয়েকজন সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁরা পার্শ্ববর্তী নাজিমখান এলাকা থেকে নানা সময় পাকিস্তানি অবস্থানে গেরিলা আক্রমণ করতেন। নাজিমখানের টিমটি বেশ কয়েকবার পাঁচপীর ও দূর্গাপুর এলাকায় গেরিলা আক্রমণ করেন। তাঁদের কারণে পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকাররা বেশ বিচলিত ছিল। রাজাকারদের নেতা ছিল কুখ্যাত খুনি আব্দুল হামিদ ওরফে ডাগ্গিল মওলানা। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দমনে রাজাকার বাহিনী ২৭ নভেম্বর পান্ডুল এলাকায় অভিযান করে। সেখানে তারা নাজিমখান আওয়ামী লীগ নেতা ও নাজিমখান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম এর নিকট আত্মীয় আপুয়ার খাতা পাঠান পাড়া নিবাসী ডা. সুলতান আহমেদ খান এবং তাঁর পুত্র আব্দুল হামিদ খানকে হত্যা করে। রাজাকাররা একই দিনে পান্ডুয়েরর খোঁচাবাড়ী সাকিনের কৈলাশ ও ব্রজেন নামক সহোদর দুই সহোদরসহ বেশ কয়েক জনকে হত্যা করে। ঐ হত্যাকাণ্ডে ডাগ্গিল মওলানার সাথে সহযোগী হিসেবে ছিলেন—স্থানীয় শুকুর আলী, সাহেব আলী, বাদশাসহ বেশ কয়েকজন এতদ্বিষয়ে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছিল।
ক্র. | শহিদের নাম | পিতা/স্বামী | ঠিকানা |
১ | শহিদ ব্রজেন্দ ওরেফে ব্রজেন | অজ্ঞাত | খোঁচাবাড়ী, পান্ডুল উলিপুর, কুড়িগ্রাম |
২ | কৈলাশ | অজ্ঞাত | খোঁচাবাড়ী, পান্ডুল উলিপুর, কুড়িগ্রাম |
সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন– এসএম আব্রাহাম