You dont have javascript enabled! Please enable it!

খুনিয়াদীঘি গণহত্যা ঠাকুরগাঁও

১৯৭১ এর মে মাসে ঠাকুরগাঁও এর খুনিয়াদীঘিতে ব্যাপক গণহত্যা করে পাকিস্তানিরা। রাণীশংকৈল থানা প্রাঙ্গণে পাকিস্তান আর্মি বড় ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। সেখান থেকেই তারা আশপাশের এলাকাগুলোতে লুটতরাজ ও খুব খারাবি করত। এই এলাকায় পাকিস্তানিদের প্রধান সহযোগী ছিল স্থানীয় মালদাইয়ারা। মে মাসের পর পাকিস্তানিরা একদিন অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ১৮ জন নিরীহ বাঙালিকে ধরে নিয়ে আসে। তাঁদেরকে ধরে এনে সেখানেই হত্যার পর খুনিয়াদীঘিতে ফেলে দেয়। পাকিস্তানিরা ১৮ জনকেই শুধু নয় তারা বিভিন্ন সময়ে খুনিয়াদীঘিতে কয়েক সহস্র হিন্দু মুসলিম নারী পুরুষ-শিশুকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর খুনিয়াদীঘি থেকে কয়েক ট্রাক হাড়-হাড্ডি উদ্ধার করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে  এখানে ৩০০০ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। এখানে পাকিস্তানিদের বর্বরতার কথা শুনে এ বধ্যভূমিটি পরিদর্শন করেছিলেন অস্থায়ী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ও মন্ত্রী কামরুজ্জামান। এ বধ্যভূমিটিতে ঠাঁই পাওয়া হতভাগ্য শহিদেরা ছিলেন প্রায় সকলেই বহিরাগত। তারা ভারতগামী শরণার্থী ছিলেন। পথিমধ্যে এরা পাকিস্তানি ও মালদাইয়াদের হাতে পড়ে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন। বহিরাগত হওয়ায় তাঁদের নাম ঠিকানা যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এ যাবত ১ জনের নাম ঠিকানা যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে তাঁরা হলেন—

ক্র. নাম পিতার/স্বামীর নাম ঠিকানা
শহিদ খোকা ঋষি অজ্ঞাত রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও

(পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়)

সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন– এসএম আব্রাহাম

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!