ঠাটমারী ব্রিজ বধ্যভূমি
তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা আছে। এই রাস্তাটিকে মাহিগঞ্জ সড়ক বলা হয়। এই রাস্তা ধরে তিস্তা-কুড়িগ্রাম রেল লাইনে রাজারহাট-টগরাইহাট রেল স্টেশনের মাঝ এলাকায় ঠাটমারী রেল ব্রিজ। এই ব্রিজের পাশেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেগুলেটর রক্ষায় নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য একটি ছোট্ট কোয়ার্টার ছিল। সে কোয়ার্টারটিকে পাকিস্তান আর্মি নারী ও পুরুষ নির্যাতনের সেল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওখানে নির্যাতনের পর নির্যাতিতদের জীবিত এবং মৃতদের ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়া হতো। এখানেই দূর্গাপুরের আব্দুল জব্বার আনসারী এবং তার জামাতাকে ধরে এনে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী। এখানে রেলব্রিজ ও রোড ব্রিজের মাঝখানে সরকার স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করেছে। এখানে পার্শ্ববর্তী বাজেমুজরাই এর চারজনকে এখানে হত্যা করে। যার মধ্যে তিনজন হিন্দু ছিলেন তাঁরা হলেন—
ক্র. | শহিদের নাম | পিতা/স্বামী | ঠিকানা |
১ | শহিদ গোপাল চন্দ্র রায় | বাউরা রাম বর্মণ | বাজেমুজরাই, রাজারহাট |
২ | শহিদ রাম কুমার রায় | বাউরা রাম বর্মণ | বাজেমুজরাই, রাজারহাট |
৩ | শহিদ জীতেন্দ্রনাথ রায় জিতু | সলেয়া রাম বর্মণ | বাজেমুজরাই, রাজারহাট |
সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন– এসএম আব্রাহাম