কাটাখালী বধ্যভূমি
গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী ব্রিজের পাশেই একটি ছোট পার্ক ছিল। কাটাখালী ব্রিজের নিকটেই পাকিস্তানিরা একটি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত করে। কাটাখালী ব্রিজটি ছিল ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক এর সেতুবন্ধন। ১০ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে এখানে ব্রিজ এর দখল সংরক্ষণের জন্যেই পাকিস্তানিরা ক্যাম্পটি স্থাপন করে। প্রথমে তারা শুধু ব্রিজটির পাহারার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে নিজেদেরকে। একপর্যায়ে এটিই হয়ে ওঠে পাকিস্তানিদের একটি ভয়ংকর নির্যাতন কেন্দ্র। পাকিস্তানিরা স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী ও রাজাকারদের সহযোগিতায় শত শত যাত্রীদের মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে ধরে এনে কাটাখালী ক্যাম্পে নির্যাতনের পর হত্যা করে পাশেই প্রবাহিত করতোয়া নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিত। এখানে অর্ধ শতাধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। এটি নারী নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে কয়েকজন স্থানীয় বাঙালি সংখ্যালঘু শহিদের নাম পাওয়া গেছে যাঁরা হলেন—
ক্র. | শহিদের নাম | পিতা/স্বামী | ঠিকানা |
১ | শহিদ বিনয় চন্দ্র বর্মণ | অজ্ঞাত | বোয়ালিয়া, গোবিন্দগঞ্জ |
২ | শুটকু বর্মণ দাস | অজ্ঞাত | ছাতার পাড়া, গোবিন্দগঞ্জ |
(পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়)
সূত্র: উত্তর রণাঙ্গনে সংখ্যালঘু গণহত্যা ও নারী নির্যাতন- এসএম আব্রাহাম