সেলুনিয়া বাজার অপারেশন, নোয়াখালী
আগস্ট মাসের ৫ তারিখ। নোয়াখালির সেনবাগের কানকির হাটে ডা. নুরুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় বিএলএফ এর জেলা টিমের কয়েকজন আছে। তারা সকালে খবর পেলেন যে, সিলুনিয়া বাজারে রুহুল আমিন ভুঁইয়ার কিছু শ্রমিক মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার ও মিলিশিয়া ধরে ফেলেছে। তিনদিক থেকে তাদের ঘেরাও করা হল। সেনবাগ টিম, জয়নালের টিম, জেলা টিম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়ার টিমের অবশিষ্ট সদস্য সেনবাগ টিমে ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন শৈলেন অধিকারী, রফিক, কিবরিয়া, মোস্তফা, কনস্টেবল ইদ্রিস, কনস্টেবল ফখরুল ও আনসার কমান্ডার রহিমসহ অনেকে। তারা দক্ষিণ দিকে পৌঁছাতে পারেনি পানি ছিল বলে। সেখানকার নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেখিয়েছিলেন কিভাবে তারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেবে। বিকেল ৫ টার দিকে আবার পাকিস্তানি আর্মি, মিলিশিয়া বাহিনী ও রাজাকারদের সহ জনা দুইশর একটি বাহিনী। সিলুনিয়া বাজার থেকে গ্রামের দিকে খালের পাড়ে ছিল সেনবাগ টিম। এক মাইল পিছনে ছিল ফেনী ট্রুপস। চার মেইল দূরের কেশারপাড়ের দিকে ছিল জেলা টিম। রুহুল আমিন ভুঁইয়ার ট্রুপ ছিল বিক্ষিপ্তভাবে সব ট্রুপের সঙ্গে। প্রথমে শৈলেন অধিকারী, রফিক, মোস্তফা, কিবরিয়া গুলি চালায়। এই যুদ্ধে কনস্টেবল ফখরুলের পায়ে এবং কনস্টেবল ইদ্রিসের হাতে গুলি লাগে। প্রায় ৪ ঘন্টা গোলাগুলির পর পাকিস্তানবাহিনী চলে যায়।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত