সোনাপুর অপারেশন, নোয়াখালী
১৯৭১ সালের ৩০ জুলাই। সন্ধ্যার দিকে পাকবাহিনীর সৈনিকেরা মার্চ করে ৮নং নোয়াখালি সোনাপুরের মধ্য দিয়ে আমিশাপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। মুজিববাহিনীর হাবিলদার কাসেম, ওয়ালীউল্লাহ সহ ৭/৮ জন গাছের কাছে হাটু গেড়ে লুকিয়েছিলো। হানাদার বাহিনীর সৈনিকেরা পানির মধ্যে একটু দেখা যাওয়া রাস্তাকে খুজে খুজে আসছে। আঘাত হানল মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রপটি। কোন দিক থেকে আক্রমণ চলছে ঠিক ভালোভাবে বুঝতে পারল না হানাদার বাহিনী। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে এই যুদ্ধ চলে। যুদ্ধের এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই গুলি শেষ হয়ে যায়। তাদের গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় অবস্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পেছনে ফিরে আসতে পারে। একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান হাবিলদার ওয়ালীউল্লাহ। তার গুলিও তখন শেষ। রক্ষা পেলেন না তিনি। তাকে ধরে ফেলে গুলি করে হত্যা করল পাকিস্তান হানাদারবাহিনী। তখন তার বয়স ছিল ছাব্বিশ বছর। পরে স্থানীয় জনগণ গাছের পাশে লাশটি পায় এবং নিয়ে দাফন করে।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত