সুন্দরবন এলাকায় শরনার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়ক ক্যাম্প
৯ নং সেক্টর কমান্ডের অধীন কয়রা এলাকায় আগস্ট মাস পর্যন্ত ৫ টি ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হয়। হাতিয়াডাঙ্গার বঙ্গবন্ধু ক্যাম্প, হাতিয়াডাঙ্গার ভবানী বাবুর বাড়িতে অবস্থিত বিশ্বকবি ক্যাম্প, কিনুকাটির শহীদ নাজমুল ক্যাম্প, সোহরাওয়ার্দী ক্যাম্প ও শহীদ নারায়ন ক্যাম্প। বঙ্গবন্ধু ক্যাম্প ও বিশ্বকবি ক্যাম্প দুটি সরাসরি স. ম. বাবর আলী পরিচালনা করতেন। সোহরাওয়ার্দী ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন রেজাউল করিম। প্রথমে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে এই ক্যাম্প গঠিত হয় এবং পরে তা বেড়ে প্রায় ৫০ জনে দাঁড়ায়। শহীদ নারায়ন ক্যাম্পের প্রথম কমান্ডার ছিলেন রাজেন, এরপর শামসুর রহমান ও কেরামত আলী পর্যায়ক্রমে এই ক্যাম্পের কমান্ডার নিয়োজিত হন। অবশ্য জালাল ঢালী কেরামত আলীর সাথে যৌথ দ্বায়িত্ব পালন করেন বলে জালাল ঢালী দাবী করেন। এ দাবী সমর্থন করে শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু ও কেরামত আলী। এ ক্যাম্পে অন্যান্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, আব্দুল রাজ্জাক অন্যতম ছিলেন। ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে শুরু হওয়া এ ক্যাম্প প্রায় ৬০ জনে উন্নীত হয়। এ ক্যাম্প থেকে যোদ্ধারা সুন্দরবন এলাকা কপোতাক্ষ নদ ও শিবসা নদীর পশ্চিম পাড় এলাকায় নিয়মিত টহল দিয়ে শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভারত গমনাগমনের পথ নিরাপদ রাখত। এরা পরে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত