You dont have javascript enabled! Please enable it!

সুখানপুকুরের যুদ্ধ, বগুড়া

বগুড়া জেলায় সোনাতলা উপজেলার অন্তর্গত ছোট্র একটি ইউনিয়ন হলো সুখানপুকুর .১৯৭১ সালের শেষদিকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু ৮ নং সেক্টর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান এর কাছ থেকে যে কোনো উপায়ে নভেম্বর মধ্যে বগুড়া সোনাতলা রেল যোগাযোগ ধবংস করার আদেশ পান। ১০ নভেম্বর ১৯৭১ তিনি গোপন সোর্স মারফত খবর পান যে,১৩ নভেম্বর ১৯৭১ পাকবাহিনীর খুব বড় একটা রসদ সরবরাহ হতে যাচ্ছে রেলপথের মাধ্যমে। তাই পাকবাহিনীর সরবরাহ ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় মুক্তিবাহিনী। তারই একটি অংশ হিসেবে সুখানপুকুর রেলস্টেশনের অদূরে ফাঁদ পাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। কাট অব পার্টি-১ স্টেশনের দক্ষিণে রেল ক্রসিং এর কাছে ওকাট অব পার্টি-২ স্টেশনের উত্তরে হাই স্কুলের দক্ষিনে অবস্থান নেয়। অ্যাকশন পার্টি অবস্থান নেয় নেওয়াপাড়া। যেহেতু শ্ত্রুর ট্রেন রাতে চলাচল করতো না সেহেতু দিনের বেলাতেই জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা লাইনের উপর প্লাসিটক এক্সপ্লোসিভ পুঁতে রেখে শত্রুর রসদ সরবরাহের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়া থেকে সোনাতলীমুখী ট্রেনটি অ্যাম্বুশ সাইট এর মাধ্যে ঢোকার সাথে সাথে কমান্ডার রহুল আমিন নিজ হাতে ইলেকট্রিক ডোটোনেটর এর মাধ্যমে এক্সপ্লোসিড বিস্ফোরণ ঘটান। বিকট শব্দে ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি বিধবস্ত হয়ে খাদে পড়ে যায় এবং যোগাযোগ মাধ্যম বিকল হয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
[৫৯৭] চাঁদ সুলতানা কাওছার

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!