You dont have javascript enabled! Please enable it!

লাকসাম কলেজের যুদ্ধ, কুমিল্লা

৮ ডিসেম্বর লাকসামের লাকসাম কলেজে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর লাকসাম থানা যুক্ত হয়। ১০ ডিসেম্বর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ঘিরে ফেললে পাক বাহিনী ক্যান্টনমেন্ট থেকে একজন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন ও জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারের পরিবার সহ ত্রিশটি পরিবারের লোকজনকে মুক্তি দেয়। কুমিল্লা পুলিশ বাহিনী একটি ট্রাকে করে কয়েক দফায় তাদের কোতয়ালি থানায় আনেন। থানা থেকে তারা নিজ নিজ ঘরবাড়ি ও আত্মীয় স্বজনের কাছে ফিরে যায়। সেদিন সকাল নয়টায় কুমিল্লা সার্কিট হাউজে এডভোকেট আহাম্মদ আলী এম পি এ, আব্দুল আজিজ খান এম পি এ, ডিসি, এসপি, বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিনিধি ও মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধিদের লেফটেন্যান্ট কর্নেল বাকী, সিকিউরিটি বিভাগের মেজর সেলিম, মেজর মোস্তফা, মেজর সিদ্দিকী ও ক্যাপ্টেন কবির। এই নরপশুদের পৈশাচিকতায় আরো সহযোগিতা করে কুমিল্লা ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম কে আমীন, কুমিল্লা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ম্যানেজার আলীম এবং কুমিল্লা জামাত ইসলামী, মুসলিম লীগ পি ডি পি নেজামে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রসংঘের (বর্তমান নাম ইসলামী ছাত্রশিবির) কতিপয় রাজনৈতিক নেতা।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!